পোস্টস

কবিতা

খ ব্যবহারে শালিক লিখা যায়

২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এমদাদুল

মূল লেখক এমদাদুল

কতিপয় পাখি চিনেছি আমি,
তাদের মধ্যে শালিখ উল্লেখযোগ্য বলতে পারি।
শালিখ বেশ কয়েক ধরনের হয়; 
গো-শালিখ, ভাত শালিখ, ঝুঁটি শালিখ, আরো অন্যান্য
আবার শালিখ বানানে ক ব্যবহার করা যায়।
বাদাম রঙ শরীর, ঠোঁট আর ঠেং জোড়া হলুদ হয়; 
এমন একটা প্রায় প্রতিদিন বারান্দায় আসে, 
ওরা প্রায়ই আসে ভোর বেলাতে, প্রায় পাঁচটা একচল্লিশ মিনিট সময়ে
এসে বসে ডাকে, ডেকে চলে যায়; দিনের অন্য সময় ওদের আর দেখি নাই।
শালিখ বেশ কয়েক ধরনের হয়;
গাঢ় বাদামি শালিখকে ভাত শালিক বলা হয়। 
এদের ঠোঁট ও পা উজ্জ্বল হলুদ রঙের। আগেই উল্লেখ করেছি সেটা। 
এর বাইরেও রয়েছে গাঙশালিখ, বামন-শালিখ এবং ইত্যাদি। 
কতিপয় শালিখ রয়েছে, যার মধ্যে বাদামি শালিখের কথা বলছি এখানে।
শালিখের স্বরতন্ত্রী বেশ জটিল, এমনটা লিখা আছে উইকিপিডিয়ায়। 
তো, আজ যেটা হল, দু-কামরা ঘরে আমার
বিছানার সাথে যে বারান্দা আছে
সেখানে দেখি এক শালিখ এসে বসে, বারান্দায় বসে বসে চিৎকারে ডাকে
এমন কিছুর পরে
পাখি কথা লিখবো বলে, পড়ার ঘরে এসে
দেখি, এখানেও, অপর এক শালিখ আছে বসে
জানালার পাশ ঘেঁষা বর্ধিত রডে 
বসে থাকা এ পাখি-ও অবিকল ডাকে, যেন অবিকল ডাকে।
যেন কথা বলে।
বারান্দার বাদাম শালিখ ডাকে প্রথমে, তারপর থামে
জানালার বাদাম শালিখ ডাকে পরক্ষণে, তারপর থামে
যেন কথা বলে।
জানালায় বসা পাখি চারিদিকে দেখে, কাকে যেন খুঁজে,
খুঁজে খুঁজে পায় না কিছু খুঁজে
দুইজন এরপর কয়েক বার ডাকে। পরপর ডাকে।
ডেকে ডেকে চুপ হয়, অবাক হয়ে শেষে।
দুটি ভিন্ন স্ব-স্থানে।
তারপর, কিছুক্ষণ পর, পাখি দুটি চলে গেলে
চারিদিক ছেয়ে যায় ঘন ভীষণ নীরবতায়। 
অনুমান করি
পাখি দুটি উড়ে গেছে। বহুদূর চলে গেছে, দুজনে চলে গেছে ভিন্ন দুদিকে।