থেমে ছিল সন্ধ্যা,
মৃত কল্পনার বাসনা জেগেছিল অঝর ধারায়।
অলিন্দ্যর ভিতরে আরেক যে কোঠারে লুকিয়ে বেচে ছিল আশ্রয়হীন স্বপ্ন।
তারপর শেখড়ের টানে মুছে দিয়েছিল অম্ল ধারার গানের কথা।
এভাবেই অধুনা কবিতা এলোমেলো শব্দ গুচ্ছ সাজিয়েছিল
নিকষ কালো অন্ধকারের হাতড়িয়ে ফিরে বলেছিল
বাহ দারুন!
কি যে বুঝিয়েছিল, আর কে যে বুঝে আবেগে আবাহন করেই অযথায় বলেছিল আহ বেশ বলেছেন।
আমি বলি ধুর মশাই কবিতায় শুধু শব্দরা কিচিরমিচির করে নাকি???
কথা বলে,
শেলের মত বুক এফোড় ওফোড় করে দেয়
কখনো প্রেমিকার চোখে জল
আবার ঘন কুয়াশা ভেজা রাতের নিস্তব্ধতার মাঝে
খড়ের গাদা হতে পড়া শিশিরের শব্দ
এমন সব শব্দ স্বৈরাশাসকের ভিত নড়িয়ে দেয়
কবিকে হতে হয় গারদখানার নায়ক
কিংবা প্রেমিক
কিন্তু আজকাল থেমে থাকা সন্ধ্যা, বাতির ছোয়া তো দূরে থাক, জ্বলজ্বলে তারার উত্তাপও পায়না
সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে বলবো না,
লোমকূপ নুয়ে পড়েছে, প্রেমিকার চোখের ভ্রুতে কৃত্রিম রং লেগেছে,
প্রেমের উত্তাপ ছড়ায় না, আর কবিতাকে নান্দনিকতা ঘিরে ধরেছে।
কিছু শব্দের বুনট মাত্র যেখানে শধু কিচিরমিচির শব্দ
প্রেমিকের প্রেমকে সাজায় বটে, জাগিয়ে তোলে না।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে, মিছিলের স্লোগান হয় না আর কোন কবিতা।