পোস্টস

নিউজ

বাতুমিতে আলী ও নিনোর মুভিং স্ট্যাচু

২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউজ ফ্যাক্টরি

রোমিও-জুলিয়েটের ট্র্যাজিক কাহিনী বেশিরভাগ পাঠকই জানেন। কিন্তু আলী-নিনোর ভালোবাসার ট্র্যাজিক কাহিনী কত জন জানেন? সম্ভবত খুব কম মানুষই আলী এবং নিনো সম্পর্কে জানেন। জর্জিয়ার বন্দর নগরী বাতুমির সমুদ্রতীরে রয়েছে এই প্রেমিক যুগলের অসাধারণ একটি মুভিং স্ট্যাচু।

‘আলী এন্ড নিনো’ নামের রোমান্টিক উপন্যাসটি লিখেছেন আজারবাইজানি লেখক কুরবান সাঈদ। তবে অনেকেরই ধারণা কুরবান সাঈদ লেখকের আসল নাম নয়। ছদ্মনামেই তিনি বইটি লিখেছেন। বইটির প্রকৃত লেখক নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। 

উপন্যাসটি ১৯৩৭ সালে জার্মান ভাষায় প্রথম প্রকাশিত হয়। অস্ট্রিয়ার একজন প্রকাশক বইটি প্রকাশ করেছিলেন। এ পর্যন্ত বইটি ৩০ টির বেশি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

আজারবাইজানি মুসলিম আলী এবং জর্জিয়ান খ্রিষ্টান নিনোর প্রেমকাহিনী আলী এন্ড নিনো। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বাধা পেরিয়ে যদিও তারা একত্রিত হয়। কিন্ত এর মধ্যেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। জন্মভূমিকে মুক্ত করতে যুদ্ধে যায় আলী। যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যায় সে।

আলী এন্ড নিনো বইটি আজারবাইজানের জাতীয় উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৬ সালে আলী এন্ড নিনো নামে একটি সিনেমা মুক্তি পায়। ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা আসিফ কাপাডিয়া এটি তৈরি করেন।  

২০১০ সালে বাতুমিতে আলী-নিনোর মুভিং স্ট্যাচুটি স্থাপন করা হয়। জর্জিয়ার ভাস্কর তামারা কভিসিতাদজ এটি নির্মাণ করেন। স্টিলের তৈরি দৈত্যাকার ধাতব এই শিল্পকর্ম ‘স্ট্যাচু অব লাভ’ নামেও পরিচিত।

প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দুটি ধাতব মূর্তি পরস্পরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। একসময় তারা একে অপরের মধ্য দিয়ে চলে যায় কিন্ত কখনই একত্রিত হয় না।

সূত্র: অ্যাটলাস অবস্কিউরা, ইমার্জিং ইউরোপ