পোস্টস

কবিতা

পুরান কালে কালে ফিরে যাওয়া যাক

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Amir Hamza

মূল লেখক আমির হামজা

অনুবাদক আমির হামজা

  পুরান কালে কালে ফিরে যাওয়া যাক

                                পুরান কালে কালে ফিরে যাওয়া যাক




 

চলো সেই সময়ে

ফিরে যাওয়া যাক,

যখন নিয়ম ছিল না

তুমি কত আমি কত। 

ধরা যাক,তুমি চোদ্দ;

আমি সেই সুকান্তর আঠারো।

পরিবার চাপে 

আমাদের দুইজনের বিয়ে দিয়ে দিলো!



 

আমি তোমাকে দেখিনি,

তুমিও দেখোনি আমাকে। 

তোমার যে সাদাকালো

পেয়েছিলাম ছবিটা,

ধরা যাক ঐটা দেখে 

তোমাকে আমি পারিনি চিনতে। 

মেনে কি নিতে পারো

তোমাকে আমার দরকার রঙিনে?



 

আচ্ছা,তোমাকে বলতে হবে না

তুমি আমার কল্পনা শুনে যাও কান পেতে!

কি বলছো?কল্পনা শুনতে না দেখতে হয়?

তুমি ঠিক আমার কথা বলার ফাঁকে 

নিজেকে দেখে নিও আয়নাতে। 



 

আচ্ছা,কোথায় ছিলাম যেন?

ওহ,তুমি সেই চোদ্দ আমি আঠারো। 

রক্তে প্রেম জাগার আরো তিন 

বছর পরে

তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হলো।



 

ধরো,পুরাণ সময়ে,

তুমি আমার সামনে ঘুরো

ঠিক কল্পনার শাড়িগুলি পরে। 

এদিকে তুমি হাঁটলে 

পায়ের মলা বাজে ঝনঝন করে;

সারা বাড়ি মুগ্ধ আমার 

তোমার ছন্দতে।



 

ধরো,তখনও লজ্জায় 

তুমি জানো না আমার সঙ্গে

কীভাবে কথা বলতে হয়। 


 

ভেবে নাও,আমাদের বিয়ে

হয়েছে কিছুদিন হলো,

তখন তুমি বালিকা

নারী হয়ে উঠোনি কো।



 

হয়ত জানো না কীভাবে 

চা বানাতে হয়,

রুটি সেঁকতে গিয়ে হাতটা

পুড়িয়ে ফেললে শেষটায়।



 

তখন তোমার বয়স অল্প;

আমিও খুব বেশি না। 

আমার তোমার বিয়ে হলো

হঠাৎ এমন আচমকা। 



 

কথা বললেই তোমার মুখ লাল;

তোমাকে তখনও লাল সভা পেত,

এখনও ঠিক যেমন তাই পায়।


 

তখন তো অনেক মেলা হতো,

একটা সময় তোমায় নিয়ে গেলাম হয়ত।

এগুলো সবই ভাবনা,

সত্যি কিনা ভাবতো?

মেলায় ঘুরে ঘুরে কিনলাম চুরি;

নতুন সংসার 

পকেটে নেই বেশি টাকাকড়ি।


 

ইচ্ছে ছিল কিনে দিবো আলপনা

সেই সময়েও দাম তার অল্পনা। 

আমি কিনলাম এক গাছি চুড়ি

তোমার হাত ধরে পরিয়ে দুইলাম;

দেখতে সুন্দর লাগছিলো ভারী।


 

একথা বলতে তোমায়,

খুঁজে পেলে না 

বদন কোথায় লজ্জা লুকায়। 

মেলায় ঘুরলাম অনেক

দেখলাম তোমায় শতরূপে

একই দিনে। 

চুলে দিলাম কাটা

নাকের নোলক আটা। 



 

তখন এগুলোই চলতো,

আমরা তো তখনই ছিলাম;

এখন সবই নেই তো। 



 

আবার ধরো,দুজনে মিলে

বেরুলাম হাঁটতে,

বাংলা সিনেমা

তোমার পায়ে বিঁধলো কাটা।

এখন ভাবতে পারো কী যায় করা?


 

আবার ধরো,তুমি অনেক দূরে,

ততদিনে কিছুটা শিখেছো চিঠি 

কীভাবে লিখতে হয়। 

তোমার আঁকাবাঁকা হাতের লিখায় 

যেখানে অনেক বানান ভুল যায়;

আমি সেসকল বাদ দিয়ে

চিঠিতে খুঁজে পেলাম,সাথে  

তোমার প্রেম আর মায়াকে।

আমি উত্তর দিলাম চিঠির,

কেমন হবে,কেমন লাগবে 

যদি সেই  চিঠি বেরোয় পুরাটা ফাঁকা!? 


 

আচ্ছা,তোমার বলতে হবে না!

কি বলছো?“কল্পনা কখন শেষ হবে?

আর ভালো লাগছেনা এইগুলা শুনতে।”


 

আচ্ছা,কল্পনা কী কখনো ফুরোয়?

মানুষই এর মাঝে শুধু হারায়।

আছে তো অনেক ইচ্ছে,

তোমাকে এর খুব অল্পই বলতে হচ্ছে।

যাই হোক,শুনো আর অল্প একটু তবে!



 

ধরো কল্পনায় 

তারও অনেকদিন পরে,

যখন তোমার  আমার সম্পর্ক

অনেকটা সহজ হবে। 

আমাদের কথা যখন

পাখির কিচিরমিচির,

প্রভাত থেকে শুরু হয়ে

ঘুমের আগে পর্যন্ত সরব;

থামেনা বিরাম চিহ্নে!!


 

হয় না জগতের কোনো চিন্তে!?

তখন কেমন হবে?

তুমি কি আমাকে ঠিক

আগের মতোই চাইবে?



 

আচ্ছা এইগুলা বাদ রাখি,কি বল?

নেই তো আদিম কাল;

বর্তমানেই ফেরা যাক চলো!

যেখানে ডিভাইস নিধারণ করবে;

তুমি আমার ঠিক কত!