পোস্টস

নিউজ

জর্জ অরওয়েল সম্পর্কে বিস্ময়কর ৫টি তথ্য

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউজ ফ্যাক্টরি

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ বইটি পড়েননি এরকম পাঠকের সংখ্যা খুবই কম। জর্জ অরওয়েল নামে সুপরিচিত এই ইংরেজ উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক এবং সাংবাদিকের আসল নাম এরিক আর্থার ব্লেয়ার। তিনি ১৯০৩ সালের ২৫ জুন ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত এই লেখক সম্পর্কে বিস্ময়কর ৫টি তথ্য নীচে দেওয়া হল:  

১. অরওয়েল ৭টি বিদেশি ভাষা জানতেন। জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি ল্যাটিন, গ্রীক, স্প্যানিশ এবং বার্মিজ ভাষা শিখেন। এছাড়া তিনি ফরাসি ভাষায় সাবলীল ছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি একটি সংবাদপত্রের কলামে লিখেছিলেন, আমার জীবনে আমি ৭টি বিদেশি ভাষা শিখেছি। এগুলোর মধ্যে দুটি মৃত ভাষা ছিল। সেই সাতটির মধ্যে আমি কেবল একটিই ধরে রেখেছি।   

২. তিনি স্বেচ্ছায় স্পেনের গৃহযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সহকর্মী লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং বামপন্থী অন্যান্য লেখকদের মত অরওয়েল স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৬ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই সংবাদপত্রে নিবন্ধ লেখার আশায় ৩৩ বছর বয়সী অরওয়েল স্পেনে আসেন। পরবর্তীতে তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রিপাবলিকান মিলিশিয়াতে যোগ দেন। ‘হোমেজ টু কাতালোনিয়া’ বইতে তিনি তার যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।

৩. অরওয়েলের অ্যানিমেল ফার্মের পাণ্ডুলিপি একটি বোমার আঘাতে প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার লন্ডনের বাড়িতে জার্মান বাহিনীর উড়ন্ত একটি বোমা পড়েছিল। সে সময় তিনি, স্ত্রী আইলিন এবং তাদের ছেলে রিচার্ড হোরাশিও বাড়িতে ছিলেন না। পরবর্তীতে তিনি তার বই এবং কাগজপত্রের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে অ্যানিমেল ফার্মের পাণ্ডুলিপিটি তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা অনুসন্ধান করে অবশেষে পাণ্ডুলিপিটি খুঁজে পান। অরওয়েল তারপর সবকিছু একটি ঠেলাগাড়িতে করে তার অফিসে নিয়ে যান। 

৪. মুরিয়েল নামে তার একটি পোষা ছাগল ছিল। ইংল্যান্ডের ওয়ালিংটনের বাড়িতে অরওয়েল এবং তার স্ত্রীর বেশ কিছু পোষা প্রাণী ছিল। এদের মধ্যে ছাগল মুরিয়েলের নাম করা যায়। তার বিখ্যাত বই অ্যানিমেল ফার্মে একই নামের একটি ছাগল চরিত্র রয়েছে। অ্যানিমেল ফার্মের বুদ্ধিমান এবং নৈতিকভাবে সুস্থ প্রাণীদের মধ্যে একটি ছিল মুরিয়েল ছাগল। এটি পাঠকদের পছন্দের একটি চরিত্র। 

৫. জর্জ অরওয়েল ‘কোল্ড ওয়ার’ শব্দটি উদ্ভাবন করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোল্ড ওয়ার বা শীতল যুদ্ধ শব্দগুচ্ছের প্রথম ব্যবহার করেছেন তিনি। ১৯৪৫ সালে ‘ইউ অ্যান্ড দ্য অ্যাটম বোম্ব’ প্রবন্ধে তিনি এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলার দুই মাস পরে এই প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল। 

সূত্র: মেন্টাল ফ্লস