কবি-কবিতা
তুমি বনলতা সেন কিংবা প্রমিলা দেবি
তুমি চীর অধরা অস্পষ্ট ছবি।
যতবার ছুঁতে চাইলাম তোমায়,
আমায় তুমি করলে বাক-রুদ্ধ
কিংবা কখনো দিলে অপমৃত্যু,
তবু দেখ আমি নই ভীতু:
তোমার খেয়ালি নিপুবনে
বার বার ফিরে আসি,
আজও আমার বুকে বাজে তোমার প্রেম বাঁশি।
হাঁ আমি সেই নজরুল কিংবা জিবনান্দদাস।
যার হৃদয়ে, প্রেম, বিরহ, কাব্যে
সর্বত্র তোমার সহজাত বসবাস।
শত বৎসর কিংবা তারও বহু আগে,
তুমি - আমি প্রথম এলাম,
মানব মানবির হৃদয়ে রাগে - আনুরাগে।
আমায় তুমি নিজ হাতে শিল্পী বানায়ে পৃথিবীকে করলে সভ্য,
আর আমি রচনা করলাম তোমার
অমর শ্বাশত কাব্য।
সেই হতে তুমি-আমি,
কবি-কবিতা অবিনাশী
মানব মানবির হৃদয়ে বার বার আসি।
না, আমাদের কোন নাম নেই,
দেশ নেই, কাল নেই নেই কোন সীমা,
সব কিছুর উর্ধ্বে, যুগ হতে যুগান্তকারে
চীরন্ত ভার্ষ্বর আমাদের প্রেম পূর্ণিমা।
আমরা অতিতেও ছিলাম আজও আছি,
আগামিতেও থাকবো নিশ্চয়ই,
হবে আমাদের নতুন কোন নাম, নতুন কোন পরিচয়।
এ কি বিস্ময়!! শুধু বিস্ময়!!
তবু আমাদের কোন পরিনতি নয়,
শুধু আছে এক, চীর অক্ষয় প্রণয়।