পোস্টস

পোস্ট

হয়তো

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দানিয়েল


হয়তো 'যখন সব দিন কারো কাছে সমান হয়ে যায় তখন মানুষ তার জীবনের হররোজ ওঠা সূর্যের সাথে আসা নতুন আর ভাল ব্যাপারগুলোকে চিনতে পারে না।' আর শয়তান যখন হৃদয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তখন ভালো কিছুতেও ভালো কিছু চোখে পড়ে না। মন্দ কিছুর অনুমানে চোখকে ঘিরে ফেলে। সুন্দর কাজেও ঠাট্টা, উপহাস করার মতো উপকরণ খুঁজে পায়। আপনি ইচ্ছে করলেও তাদের থেকে দূরে যেতে পারবেন না। কারণ পৃথিবীটা অনেক ছোট, অবাস্তব। কারণ যারা অনেক কাছের ছিলো, তাদেরকেও আপনি অবজ্ঞা অবহেলায় দূরে ঠেলে দিয়েছেন। 'যেমন আমি আমার বাবাকে ছেড়ে এসেছি, ছেড়ে এসেছি মা, আমার শহর, আমার প্রিয় দূর্গটাকে। অনেক পিছনে। তারা এখন আমাকে ছাড়াই অভ্যস্ত। যেভাবে আমার পালিত গরুগুলো আস্তে আস্তে মানিয়ে নিয়েছে। আমার অভাব বোধ করে না।' তাই আপনি পৃথিবীর যেখানেই যান না কেন, একসময় আপনাকে অন্যের হাসাহাসির পাত্র হতেই হবে, অন্যের কাছে ছোট হতেই হবে। সেটা আপনার পরিহিত কাপড় নিয়ে হোক, পড়াশুনায় একটু কাঁচা, কিংবা আপনার গায়ের রং, চেহারা, হয়তো আপনার শরীরের গন্ধ নিয়েও। আপনি কোথাও আপনার অনুকূল পরিবেশ পাবেন না। কারণ মানুষ চায় আপনি তাই করুন, যা আপনি নন। মানুষ তাদের চেয়ে ভিন্ন কাউকে তাদের সাথে চায় না। দুনিয়াটা বড়ই আজব। অবাস্তব এক জান্নাত। প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে হতে শেষ বিচারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবুও মানুষ এর পিছনে ছুটে চলে। রবের পরিবর্তে  আস্থা রাখে অর্থে, ক্ষমতায়,বিষয়-সম্পত্তিতে, পরিধানরত পোশাকে। অথচ এসবের কোনোকিছুই তার নয়। নেয়ামতকে অস্বীকার করে নিজের প্রাপ্য ভেবে রাজ করতে চায়। কেউ আপনার কান্নায় ভ্রূক্ষেপ করবে না। কেউ আপনার দুঃখে দুঃখিত নয়। কেউ আপনার ব্যথায় ব্যাথিত হওয়ার জন্য বাধ্য নয়। কেউ  আপনার অভাবে নজর দিবে না, ভাগীদার হবে না। অথচ সবাই আপনার ভুল লক্ষ্য করে নিরীক্ষণ চালাবে। 'এই দুনিয়াটা একটা খুব বড় আর্বজনার স্তূপ। এখানে সব লোক আপন আপন স্বার্থের কোনো টুকরো, ব্যক্তিগত লাভের কোনো খোসা বা মুনাফার কোনো ন্যাকড়া খাবলানোর জন্যে সবসময় তৈরি হয়ে আছে। তাই যারা আপনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বা নীচ মনে করে তারা মনের পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখুক-সেখানে কত-না ময়লা আবর্জনা রয়েছে।' আপনি হয়তো ভাবছেন তাহলে করবটা কি? কিছু করার নেই। আপনাকে শুধু থামতে হবে। চারদিককের যে ঐশ্বরিক সৌন্দর্য আপনাকে ডাকছে তাতে সাড়া দিতে হবে। ধর্মীয় আরাধনার পবিত্র অনুভূতি অন্তরে অনুভব করতে হবে। আপনি হয়তো পুরো দুনিয়ার পরিবর্তন থামাতে পারবেন না। কিন্তু আপনি নিজেকে থামাতে পারেন আপনার স্ব-গর্ব,অহংকার,লোভকে সংবরণ করে। অন্যকে কষ্ট না দিয়ে। নিজেকে সময় দেয়ার মাধ্যমে। নিজেকে ভালোবেসে। নিজেকে ছোট না ভাবার মধ্য দিয়ে। আপনার রবের সাথে যে বিশুদ্ধ এক সম্পর্ক রয়েছে তা সংরক্ষণ করে, লালন করে।