স্টুডেন্ট পাওয়ার
মো: আবুল কালাম আজাদ
১৯৫২ , ১৯৭০, ১৯৯০
বিজয়ের উত্তর সুরিরা
মিলে মিশে একাকার বাংলায়।
নাহিদ, সারজিস, হাসনাত, আসিফ
আবু বকর, আরিফ, রিফাত
নাম না জানা ছাত্রজনতা
কাঁপিয়ে দিয়ে বিপ্লবে বাংলাদেশ ।
তুমি কে ? আমি কে ?
রাজাকার, রাজাকার
কে বলেছে ? কে বলেছে ?
স্বৈরাচার , স্বৈরাচার
চাইতে গেলাম অধিকার ?
হয়ে গেলাম রাজাকার ।
শ্লোগানে শ্লোগানে কম্পমান সাড়া দেশে
দেশ ব্যাপি কোটা সংস্কার আন্দোলনে
অগনিত লাষের মৃত্যুর মিছিলে
তীব্রতার মুখে সরকার পতনের
রুপ নেয় এক দফা দাবিতে ।
প্রাণের জন্মভূমি আজ মহা সংকটে
কারফিউ উপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথ
জনস্রোতে ভারি হয়ে ওঠে ।
৫ই আগষ্ট লাখো লাখো ছাত্র জনতা
সদ্য রক্ত স্নাত মর্ম ছেঁড়া করে,
অজস্র নাড়ী ছেঁড়া ধনের,
রক্তাক্ত বাংলাদেশে
মায়ের গাল বেয়ে ঝড়া অশ্রু
বৃষ্টির মতো করে ঝড়ঝড়িয়ে পড়ে ।
সরকারি ঘাতক বাহিনীর বুলেটে
বুক পেতে দেওয়া ছাত্ররা
ঘাতকের উদ্যত অস্রের সামনে নিজেকে সঁপে
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মৃত্যু পুড়িতে
পেছনে পুলিশ সামনে নতুন স্বাধীনতার প্রত্যয়ে
কাঁদছে সমগ্র বাংলা কাঁদছে প্রকৃতি ।
মানুষে মানুষে আতংক দেশ জুড়ে
নিস্ঠুর, নিকৃষ্ট ষোল বছরের দৌদন্ড প্রতাপে
জনগণের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার।
অবিচার , অত্যাচার, নিপীড়ন , নির্যাতন
হত্যা, গুম, খুন, সম্পদ লুন্ঠন
শোষণ, বঞ্চনা অধিকার হরনে
জুলাই আর আগষ্ট মিলে
মহাবিপ্লবের মধ্যে
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
নিলজ্জ ভাবে পালিয়ে জীবন রক্ষা তার।
কত অন্ধকার গ্রাস করে সমাজ কে পংগু করে
দেশ ও জাতিকে নিমজ্জিত করে গভীরে।
কাল থেকে কালক্রমে চলবে ঘরে ঘরে ,
শতাব্দীর অন্যতম ফ্যাসিবাদ শাষক
পৃথিবীর বুকে স্বৈরাচারের পরাজয়
স্টুডেন্ট পাওয়ার গন অভূত্থানের গল্প।