Posts

নিউজ

মার্কেজ সম্পর্কে ১০টি বিস্ময়কর তথ্য

September 11, 2024

নিউজ ফ্যাক্টরি

104
View

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ কলম্বিয়ান উপন্যাসিক, ছোট গল্পকার এবং সাংবাদিক ছিলেন। ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে তিনি গ্যাবিটো বা গাবো নামে পরিচিত। নোবেলজয়ী এই লেখকের সম্পর্কে বিস্ময়কর এবং অজানা কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।    

১. ম্যাজিক রিয়েলিজম বা জাদুবাস্তবতা সাহিত্যের একটি ধারা। আর মার্কেজ তার লেখনীতে এই জাদুবাস্তবতার সবচেয়ে সফল প্রয়োগ করেছেন। সাহিত্যের এই ধারাটি জনপ্রিয় করেছিলেন তিনি।

২. মার্কেজের লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় বই ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড’। এটি বাইবেল ছাড়া সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্প্যানিশ বই। বিশ্বজুড়ে এটি ৩৫টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি ৩০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।

৩. ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউডের ইংরেজি অনুবাদ মার্কেজ বেশি পছন্দ করেছিলেন। তিনি অনুবাদক গ্রেগরি রাবাসাকে বলেছিলেন, মূল বইয়ের চেয়ে অনুবাদটি বেশি ভালো হয়েছে। কিউবান-আমেরিকান সাহিত্যের অধ্যাপক গ্রেগরি রাবাসা ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড অনুবাদ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিপ্টোলজিস্ট হিসেবে কাজ করা রাবাসার ৭টি ভাষায় দক্ষতা ছিল। আর এই বইটি তাকে দিয়ে অনুবাদ করার জন্য মার্কেজকে অন্তত ১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

৪. মার্কেজ সাংবাদিক হিসেবে স্মরণীয় হতে চেয়েছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে নয়, এমনকি ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউডের লেখক হিসেবেও নয় বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে স্মরণীয় থাকতে চান বলে জানিয়েছিলেন এই লেখক। শেষ বয়সে এসে মনের এই আকাংখার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সাংবাদিকতাকে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পেশা মনে করতেন।

৫. নিজের মায়ের সঙ্গে মার্কেজের সম্পর্কটা একটু অদ্ভুত ছিল। তিনি দাদা-দাদীর কাছেই বেড়ে উঠেছিলেন। লেখক নিজেই দাবি করেছেন, ৭ বছরের আগ পর্যন্ত তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেননি। মার্কেজের নোবেল বিজয়ের পরে তার মা বলেছিলেন, নোবেলজয়ী ছেলের চেয়ে সন্যাসিনী কন্যার মা হিসেবে আমি বেশি গর্বিত।   

৬. মার্সেদেস বার্চা যখন ৯ বছর বয়সি বালিকা ছিল, তখনই ১৪ বছর বয়সি মার্কেজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই মেয়েটিকেই বিয়ে করবে সে। অবশেষে ১৯৫৮ সালে মার্সেদেসকে বিয়ে করেন তিনি।

৭. ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে খুব পছন্দ করতেন মার্কেজ। আর তার নাম অনুসারেই নিজের মেয়ের নাম রেখেছিলেন ইন্দিরা। মার্কেজের গোপন প্রেমিকা মেক্সিকান সাংবাদিক সুসানা কাতোর গর্ভে জন্ম হয়েছিল এই কন্যার। 

৮. মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং উইলিয়াম ফকনার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন মার্কেজ। বিশেষ করে ফকনারের লেখার প্রতি তিনি বেশি অনুরক্ত ছিলেন। তিনি সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। কারণ এই এলাকাটি উইলিয়াম ফকনারের লেখাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

৯. তিনি ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড উপন্যাসটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তারা হলিউড তারকা রবার্ট রেডফোর্ডের মত কাউকে এই ছবির জন্য নির্বাচিত করবে, এবং আমাদের বেশিরভাগের আত্মীয়ই রবার্ট রেডফোর্ডের মত দেখতে নয়।

১০. মার্কেজ বামপন্থী এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছিলেন। ১৯৫০ এর দশকে কলম্বিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে তিনি ৩০ বছর আমেরিকান ভিসা পাননি। বিল ক্লিনটন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তিনি ক্লিনটনের অতিথি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান।

সূত্র: বোস্টন গ্লোব, টাইমস অব ইন্ডিয়া     

Comments

    Please login to post comment. Login