মাত্র দুটি উপন্যাস লিখেছেন ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়। আর প্রথম উপন্যাসেই তিনি বুকারের মত মর্যাদাবান সাহিত্য পুরস্কার জয় করতে সক্ষম হন। এছাড়া তিনি অসংখ্য রাজনৈতিক লেখা লিখেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন মানবতাবাদী এই লেখক। ৬২ বছর বয়সী এই লেখক জীবনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছেন। একনজরে সেগুলো দেখে নেয়া যাক।
১. সাহিত্য জগতে প্রবেশের আগে অরুন্ধতী রায় বেশ কিছুদিন চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে ‘ইন হুয়িচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’ সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই সিনেমায় তিনি অভিনয়ও করেছিলেন।
২. ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ অরুন্ধতীর লেখা প্রথম উপন্যাস। আর এই উপন্যাসের জন্যই তিনি ১৯৯৭ সালে বুকার প্রাইজ পেয়েছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় লেখক যিনি মর্যাদাবান এই সাহিত্য পুরস্কারটি অর্জন করেছিলেন। বইটি লিখতে তার ৫ বছর সময় লেগেছিল।
৩. বর্ণপ্রথা এবং ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার অরুন্ধতী রায়। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনের অগ্রভাগেও থেকেছেন তিনি। বৈশ্বিক শান্তি এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার এই অঙ্গীকারের জন্য ২০০৪ সালে তিনি সিডনি পিস প্রাইজ পেয়েছিলেন।
৪. অরুন্ধতী রায় ‘ব্যানিয়ান ট্রি’ নামে একটি টিভি সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। এছাড়া তিনি ‘ড্যাম/এজ: অ্যা ফিল্ম উইথ অরুন্ধতী রায়’ নামের একটি তথ্যচিত্রেরও চিত্রনাট্য লিখেছেন। এটি ভারতের নর্মদা বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে লেখকের একটি সাহসী প্রচারণা ছিল। এজন্য আদালত অবমাননার দায়ে তাকে প্রতীকী শাস্তি হিসেবে ১ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
৫. বুকারজয়ী এই লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ছিল ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস’। এটি ২০১৭ সালের বুকার প্রাইজের জন্য মনোনীত বইয়ের দীর্ঘ তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল।
৬. ২০২২ সালে অরুন্ধতী রায় সেন্ট লুইস লিটারারি অ্যাওয়ার্ড পান। এটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সাহিত্য পুরস্কারগুলোর একটি। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর বিশিষ্ট একজন লেখককে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়। এর আগে মার্গারেট অ্যাটউড, জন আপডাইক, সালমান রুশদী, অগাস্ট উইলসনের মত লেখকরা এটি পেয়েছিলেন।
সূত্র: ভোগ