Mysticism এক জটিল বিষয়। সবার বোধগম্য হয় না। মিথের শক্তি চিহ্নিত শাস্ত্রের কাঠামোগত বিদ্যাকে পাত্তা দিয়ে চলে না। অলিখিত কানুন দিয়ে সহজিয়া তরিকার অহিংস ও নির্লোভ মানুষদের জীবন গড়া। লোকধর্মের মানুষদের গুরুবাদী স্মৃতিচিহ্ন সংখ্যাগরিষ্ঠের ক্ষমতার জোরে বহুবার ভেঙে দেয়া যায়। কিন্তু যে ভক্তের মনে তার প্রেমাস্পদ মুরশিদ বিরাজমান সেই মন ভাঙবেন কেমনে? ভেঙেচুরে বিভাজিত সমাজ কায়েমের স্বপ্ন দেখে ঠিক কার স্বার্থ হাসিল করছেন? এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কালান্তরে আপনাকেও যে কেউ ভাঙতে আসবে না তার কী গ্যারান্টি আছে? ঘৃণায় তো ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয় না। আমরা কেউইতো কোথাও ক্ষমতার অধীশ্বর হয়ে বসিনি। আজ যিনি পাওয়ারফুল, কাল তার করুণদশা -প্রকৃতির নিয়ম তো এটাই।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই ব্যাপারটি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন...
চিরদিন কারো সমান নাহি যায়
আজিকে যে রাজাধিরাজ
কাল সে ভিক্ষা চায়।
তাই বলি, হাজার বছরের ইতিহাস বিধৌত লোকাচারকে তার জায়গায় থাকতে দিন। ওদেরকে ওদের রাস্তায় বাঁচতে দিন। আমরা কেউতো অমরত্বের ধ্বজাধারী না। জোরজবরদস্তি আর ভাঙাভাঙিতে উন্মত্ত না হয়ে ভালোবেসে পাগলকে কাছে টানুন, মানুষ নিয়ত বদলায় না এমন তো না! আপনাকে ভাল্লাগলে আপনার কাছেই ওরা বায়াত গ্রহণ করবে।
মানুষ ভজলে তবেই তো সোনার মানুষ হবেন। যেই মানুষে বিরাজ করে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা।
লেখক: সাংবাদিক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪