বেঁধে দাওয়া নিয়মে চলছো কেনো,
নিজ জীবন জানো কী কেমন,
এমন তেমন ঠিক যেমন মন হয় নিজের মতন,
স্নিগ্ধ আলোর রশ্মির ক্ষুদ্র দ্যুতি ফুঁটছে দেখো
নিয়ন বাতিতে জোছনার আদল,
পথে ঘাটে বাজার ঘিরে,
সমান হবে সকালে কখন।
আহ!
বলোনি কবে. কোন কালে সময়ের গোচরে অথবা অগোচরে...
ঘড়ির কাটা হলে শেষে,
মুহূর্তে বাঁচার সঙ্গী সে,
এইতো আমি ঘড়ির নাটাই,
আমারও যে কিচ্ছু নাই,
প্রহর হাসে মলিন হয়ে,
দিন বদল আর হবে কবে. . .
চোখের দুপাশ জ্বলছে যেনো
মনো আর নাইবা মানো
জীবন নিয়ে লুকোচুরি
হৃদয়টাতেই খাঁচার বাড়ি
গাড়ি বাড়ি সবই থাকে শেষে
একটাই জীবন একটাই যাপন
ক্ষণিকের সুখের নাই প্রয়োজন
দরকার ছিল কি কখনো
তখনো যখন ‘ছিল না কিছুর’ মুহূর্তগুলো
কি করে ভুলেছ ঐ শপথ
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লোকালয়ের পথ,
নদ-নদী , পর্বত সাগর পেরিয়ে
শেষে পেলাম নগরের ফটক,
ঝকঝকে ছিল না তেমন এমন ~ যেমন
গড়েছিলাম যে-সব সেসব আজ কল্পজগৎ,
তাইতো উদাস ক্ষিপ্ত ক্ষোভ
ভোগে ব্যস্ত আজকের জনপদ
বিরক্তি আর বিরতির মাঝে
আমাদের চেনায় আমাদেরই নিখিল
তাইতো,
আমরাই আমাদের আর বলছি না-
জানি না কত বার , কত কী জানি
ভুলে আছে সব জনপদ - ভুলে আছে
শুধুই করতে হয় জননীর ঋণ পরিশোধ
ভজন সাধন করে যে জন
সেই ভোজে ~ মা'রে আছে কার
শুদ্ধ সিদ্ধ স্নিগ্ধ নগ্ন মন
প্রতি ক্ষুদ্র সময় যেমন করছে ভ্রমণ
হিসেবের বই লিখছে কলম
যতই এড়াবে ততই পাবে
বন্ধু হয়ে থাকবে সত্য চিরন্তন
যতোটা বিনয়ে ব্যাপ্ত সুজন
ঠিক ততটাই শৃঙ্খল হয় প্রকৃত আদল,
বাতাস বইছে হাওয়ার পথে, দেখো
তোমরা নিজস্ব বিস্তৃত গঠন…
ফিরবে সব শব এক দিন যেই মাটির ভিতর,
রীতির নীতি অভিন্ন হলে অস্থি পাবে জলজ পথ,
থাকবে যে শুধু ওই নিজস্ব কাজের ফসল।
এইতো অংশগ্রহণ,
সৃষ্টির সাথে সেই তো আলিঙ্গন,
যে ভালোবাসা আমার তোমার সঙ্গী চিরন্তন।