কি আছে এ সম্পর্কের মাঝে?
এক বিদঘুটে সন্ধ্যা
যেখানে একেবারে আলো নিভে যায়নি,
একেবারে অন্ধকারো ভেঙ্গে পড়েনি।
অবিশ্বাস ছুতে এসেছিল
তারপর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কি দেখেছিল কে জানে
বিশ্বাসের শেষ সলতে জ্বালিয়ে রেখেছিল যেন নিভে যাবে এখনি?
কোন শান্তির বার্তা কি দিত,
নাকি অবিশ্বাসের খচখচানি বেশি বাধতো?
বহুতল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে নিশ্চিন্তে দূর, বহুদুরের
শহরের সীমান্তে এলোমেলো কংক্রিটের মাঝে ছায়াময় গাছেদের ভীড়ের ছবি ভালই লাগতো।
তাইবলে নিচের দিকে তাকিয়ে কাপনি ধরেনি তা অস্বীকার করবে কে?
কাচপাত্র দারুন! কিন্তু যদি ভেঙ্গে যায় তা দিয়ে দেহ যখম করা যায় না?
কিংবা একটা শান্ত শীতল খুন।
দোলার মাঝে ঝিম ঘুমানি আসে কিন্তু তাই বলে বলে দোলাচল?
বড় দ্বিধা রেখে যায়,
ক্লান্ত হওয়া আর অবসাদ কি এক সমান্তরাল মানে নিয়ে চলে?
অদ্ভুত কি সব প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে যায়, তাইনা?
বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝামাঝি কিছুর জন্য একটা রেখা আকতেই হবে।
হ্যা, দৃঢ় একটা হ্যা বলতেই হয়।
সম্পর্ক গুলো যেন এ রেখা বরাবর চলছে।
সঠিক কিছু নেই এখনি সব কিছু ভেঙ্গে পড়বে।
না ধপাস করে কোন শব্দ নয়,
কাঠফাঠা রোদ্রে শুকাতে দেয়া কাঠের চৌচির হওয়া চিরচির শব্দও যেন সঠিক বলে বোঝাতে পারবে না।
এক ধরনের দোলাচলের শব্দ।
কেউ শোনেনি কেউ না।
এমন চির ধরেছে সম্পর্ক গুলোর মাঝে যেখানে কেবল দোলাচল নিয়ে বাচতে হয়।