পোস্টস

কবিতা

Il Pleut

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

কাঁটার মতো বিঁধে বিঁধে শীত ফুটে যায়
আর ওই যেমন আসে, হুটহাট জ্বর।
নরম থানের নিচে কোনোক্রমে মাথা গুঁজে
শুধু রশিদ খাঁ রশিদ খাঁ রশিদ খাঁ।
‘ছায়ে বাদরা কারে কারে...’
ঝাপটা আসে একেকটা
নীল-সবুজ-সাদা।
বাটিতে বাতাবিলেবু
গায়ে সরিষাদানার প্রলেপ।
আরো বিভিন্ন মশলা, আর হার্ব যা থাকে।
বেশি বায়োফ্যাভোনয়েড। 
তাই এলো ইলিশ। 
সে প্লেট ঠেলে ইলিয়াস।
‘এই মনোরম মনোটোনাস শহরে অনেকদিন পর আজ সুন্দর বৃষ্টি হ’লো...’
আরো হোক। ভিজে যাক চরাচর।
শ্যাওলা জমে থাক, পিছলে পড়ুক সবাই।
সব জুতোর তলা কাদায় পূর্ণ হোক।
বাতাস উঠুক। যেমন দমকা বাতাসে সিগারেট ধরানো খুব কঠিন।
রাস্তাজুড়ে পড়ুক ইলেক্ট্রিসিটির তার।
তার শুধু, ইলেক্ট্রিসিটির তার।
রিকশায় ভেজা নীল পলিথিন, 
তার ছড়িয়ে যাওয়া, মুচড়ে যাওয়া, 
বেশ লাগে কিন্তু! 
হলুদ ট্রাকে ত্রিপল, তার ওপর বসে থাকা ছাগল।
সবই সমান সুন্দর।
তুমিও কেমন ভিজে যাও, মফস্বল বাড়ির টবে। মরিচফুলের সাথে। 
আমার ইচ্ছে করে একতাড়া পুদিনাসমেত মিন্ট লেমোনেড গিলতে। 
তার আগে একা টুলে বসে সেটার অপেক্ষা করতে।
আর সেটা করতে করতে মনে মনে পোস্টারের বানান শুদ্ধ করতে।
‘আমারই জন্যে তৈরি এরকম লোনলি-লগ্ন আমি কতোদিন পাইনি, কতোকাল, কোনোদিন নয়।’
আমি কি জরাথ্রুস্ত্রের শ্বাস? 
সহস্রাব্দ ধরে ই-চিংয়ের পাতায় আটকে থাকা পোকা?
সদ্য ঋতুবতী কিশোরীর ক্যালেন্ডারের পাতায় রাখা চোখ?
‘বৃষ্টি-বুনোট এইসব রাতে আমার ঘুম আসে না, বৃষ্টিকে ভারি অন্যরকম মনে হয়, বৃষ্টি একজন অচিন দীর্ঘশ্বাস...’