Posts

কবিতা

কাণ্ডারীর প্রতি (Premium)

September 17, 2024

আওয়াল হোসেন টুটুল

0
sold
রক্তনদে ঢেউ উঠেছে, লাগছে হাওয়ার দোল,
যুদ্ধে যাবো! ওরে তরুণ, শীঘ্র নোঙর তোল।
সময় হলো নাও ভাসাবার, ঝড়ের বাতাস ধায়,
উজানস্রোতে নৌকা ভাসা— সময় বয়ে যায়।

উড়ছে নিশান, বাজছে বিষাণ, হাঁকছে প্রলয়ভেরী,
ভীতি ভুলে ভাষণ দিচ্ছে ন্যায়ের ঝাণ্ডাধারী।
শাণিত কথার কম্পন তার, রক্তে তুফান তোলে,
সে তুফান লেগে জনসমূদ্র থেকে থেকে ওঠে দুলে।
“শোনো হে বন্ধু, শোনো হে স্বজন, শোনো হে ভগ্নি-ভ্রাতা,
দুঃসময়ে কেউ কারো নয়, নিজেই নিজের ত্রাতা।
নিজ পরাক্রমে পাড়ি দিতে হবে দুর্লঙ্ঘ্য-পারাবার,
রক্তগঙ্গায় হাল ধরে যাবে— হিম্মত আছে কার?
প্রাণ খুলে হেসে সম্মুখে এসে ধরো বজরার হাল—
কাঁদে নিপীড়িত, ডাকে মজলুম, ডাকে দ্যায় মহাকাল।
রক্তস্রোতে ভাসবে নিরীহ, ডুববে শক্তিহীন,
সব জেনেশুনে দুখে-দুর্দিনে তরী বেয়ো নিশিদিন,
ঝঞ্ঝাঁক্ষুব্ধ সমুদ্রজলে ডুবুডুবু হবে নাও,
বিপদব্যথায় তবু য্যানো কভু হাল ছেড়ে না দাও।
ভিন্ন পথের, ভিন্নমতের যাত্রী হাজারও পাবে।
মতের আদর্শ ভুলে, মনে রেখো, তারাও ‘মানুষ’ সবে।

ভোলো ভেদাভেদ, মুছে ফেলো খেদ, ঝেড়ে ফেলো মিছে রোষ,
হোক মুসলিম-বৌদ্ধ-ইহুদি— সবাই তো ‘মানুষ’!
অবহেলা পেয়ে যদি কেউ মরে হবে তোমার অপমান,
মানুষের প্রেমে গাইবেনা কেউ মানুষের জয়গান।”

সত্য-ন্যায়ের-নৌকা ভাসাবো রক্তাক্ত গঙ্গায়—
ডাকছে আওয়াল, শীঘ্র তোরা আয় বেরিয়ে আয়।

This is a premium post.

Comments

    Please login to post comment. Login