পোস্টস

চিন্তা

"ক্রোনি ক্যাপিটালিজম " কি আবারও?

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এস জামান

 খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দেশের বর্তমান রাজনীতি সম্পর্কে ধারনা রাখে এমনটা নয়।  রাজনীতি বুঝতে  সুপার শব্দটার সাথে পরিচয় করবার প্রয়োজন নেই। যারা অধিকতর ধারণা রাখেন তারাই আবার দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে আছে পরম্পরায়। 
আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতা তারা এখনো  " এলিট তত্ত্বের " ভিতর পরে আছে, ওখান হতে রা্ষ্ট্র যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে।  শ্রেণির বিন্যাসের উপর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। এটা কি ভেবেছেন? 
কোন একটি  পক্ষ  আবার বুঝতে পেরে নিজের দূর্বলতাগুলো অপ্রকাশ রুখতে নিজেরাই রাখ ঢাকের তালে নৃত্য প্রদর্শনকারীর দলে আবির্ভাব ঘটাচ্ছেন।

 

" ক্রোনিজম " শব্দটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত।১৯৮৯ সালে চীনে গণতন্ত্রের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। দাপ্তরিক নথিপত্র অনুসারে সে বছরের ১৮ মে চীনের ১৩২টি শহরে একযোগে ৬০ লাখ মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তিয়েনআনমেন স্কয়ারের সেই বিক্ষোভ কমিউনিস্ট পার্টি বল প্রয়োগে দমন করে। এরপর দলের ভবিষ্যত্ নেতাদের মধ্যে আনুগত্য পুনঃসৃষ্টিতে সব স্তরের নেতাদের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়। আর এভাবেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জবাবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়, যার মাধ্যমে শুরু হয় ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা দল বেঁধে লুটপাটের পুঁজিবাদ।

 

বলা বাহুল্য আমাদের দেশে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বিডি ২.৪( নাম করন করা)  ঘটে গেছে অকপটে।  তখন আমরা কি করেছিলাম? শাসক দল তখনও এলিট তত্ত্বের উপরেই নির্ভর করেছিল এবং বিরোধীদের দমন করেছিল।  

 

গত এক সপ্তাহের ঘটনা গুলো বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। তবে  কি আবারও  কোন ক্রোনি ক্যাপিটালিজম কে স্বাগত জানাচ্ছি?

জনগন তিন বেলা খেতে পারলেই খুশি মুখে আপনাদের/ রাজনৈতিক নেতাদের কুর্নিশে মগ্ন থাকবে। এত ভয়ের কারণ আমি খুঁজে পাই না। দেশের মানুষ সকলকে পর্যবেক্ষক করছে।

প্রশ্ন হলো তবে  বিচলিত হচ্ছে কারা?

বিচলিত না হয়ে,  আস্তা রাখুন একে অপরের প্রতি। 

পরিস্থিতি যত নাজুক হোক না কেন  এখন ঐক্য প্রক্রিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত করা খুব জরুরী।।