পোস্টস

প্রবন্ধ

তখন আর এখন পার্থক্য কতখানি?

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেদওয়ান তালুকদার

৭১ এর পরবর্তী সময় থেকে যে কয়টি রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশে ক্ষমতায় এসেছে সাবাই যেমন অপরাধ-দূর্নীতির সাথে অনেক উন্নয়নও করেছে ঠিক তেমন আওয়ামীলীগও দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে
সাথে দূর্নীতিও করেছে অঢেল!
ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে অসংখ্য অসৎ অপদার্থ লোকজনের দখলে ছিলো লীগ।
আওয়ামীলীগ এবং এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনে যারা সৎ ও ন্যায় ভাবে চলতে চেয়েছে তাদেরকেও তোপের মুখে এক কোনে পরে থাকতে হয়েছে নষ্ট লীগের দাপটে!
দেশে বাক স্বাধীনতা ছিলো তলানিতে, কারো সত্য এবং যৌক্তিক কথা যদি লীগের বিরুদ্ধে যেতো তবে চাপাতি-রামদার কোপ একটাও নিচে পরতো না!
শেখ মুজিবকে সম্মান করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এমন রাজনৈতিক দলগুলোকেও দমন করে দেশে আওয়ামীলীগের এক দলীয় দেশ কায়েম করে চলেছিলো হাসিনা।
নির্বাচনে লীগেরই এক পক্ষকে অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে রক্ত ঝরতে দেখে তিনি কিছুটা আনন্দই পেতেন কি না জানি না!

৫ই আগস্ট হাসিনা সমেত আওয়ামীলীগী শাসনের অবসান ঘটেছে, লীগের দূর্নীতিবাজ, খুনি, নলখাগড়ারা পলাতক-গ্রেফতার কিংবা মৃত!
মৃত কিংবা পলাতক লীগের হাতেই নির্যাতিত লীগের সৎ পথে চলার চেষ্টা করা নেতা কর্মীরাও।

৫ তারিখ হাসিনা সহ আওয়ামিলীগ ধ্বংসের পর যারা দেশে ক্ষমতায় আছেন এবং ক্ষমতার চেয়ারে বসার কাছাকাছি আছেন তারাও ঠিক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আচরণই করছেন!
বিপ্লব গেছে নানান ভুলে ঝাঁঝরা হয়ে।
বিএনপির হাইকমান্ড ঘনহারে বহিষ্কার করেও দলের অপদার্থ নেতা কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না!
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল হক নুর আবার জিন্নার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের সাধুবাদ জানাচ্ছে!

দেশে বর্তমানে কে কখন কি চাইবে বোঝা যাচ্ছে না!
তবে প্রায় সবার কাছেই যে দেশ-সমাজ-জনগণের চেয়ে ক্ষমতার চেয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে!

১৮-০৯-২০২৪