পোস্টস

প্রবন্ধ

জামায়াতের কি হওয়া উচিত

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেদওয়ান তালুকদার

বিএনপি সহ দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই মনে করে জামায়াত ইসলাম দলটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো এবং পাক বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলো!

যদিও তারা সেটা প্রকাশ্যে খুব কম বলেন এবং জামায়াতকে বিভিন্ন সময়ে তাদের স্বার্থে কাজে লাগান।

এবি পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে ২০২০ সালে জামায়াত-শিবিরের একটা অংশের নেতৃত্বে(যাদের মার্কা ঈগল)।

তারা বলেছিলো জামায়াতকে তারা ৭১সালের ভুলের জন্য অনেক বার জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে কিন্তু জামায়াত ক্ষমা চায়নী!

 

দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ অনেকগুলো ইসলামি রাজনৈতিক দল আছে যারাও দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়,

এত ইসলামী দলের বিড়ে আপনি জামায়াত-শিবিরকে কেন সমর্থন করবেন সেটা নিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় আপনার ভাবা উচিত বোধয়! 

ইসলামত অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা কিংবা গনহত্যা সমর্থন করে না, এটা কবিরা গুনাহ।
 

তবে ১৯৭১এ স্বাধীনতার বিরোধিতার জন্য জামায়াত ইসলাম সাংগঠনিক ভাবে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত এমন ভাবনা যারা ভাবেন তারাও ঠিক ভাবেন বলে মনে করি না।

৭১ সালে যারা পাপ করেছে তাদের পাপের দায় তাদের, আর যারা পাপ করেছে তাদের বিচারও হয়েছে!

যদিও যাদের বিচার হয়েছে তারা সবাই মহাপাপী এমনটা ভাবাও বোধয় ঠিক নয়!

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রতি আওয়ামিলীগের রাজনৈতিক আক্রোশও যে কিছুটা থাকতে পারে সেই ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না!

আর রাজাকার যে শুধু জামায়াতের মধ্যে ছিলো এমনটাওত ঠিক নয়,

যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের বিচার হয়েছে তার মধ্যে জামায়াত ছাড়া অন্য দলের লোকও আছে!

অনেকেত বলেন হাসিনার বেয়াইও রাজাকার।

 

যাই হোক, এখানে পার্থক্যটা হচ্ছে জামায়াত ইসলাম সাংগঠনিক ভাবেই ৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে আর অন্য দলের যুদ্ধাপরাধীরা ব্যক্তিগত ভাবে নিজেরা(কিংবা তাদের তৎকালীন সংগঠন)স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, যুদ্ধের পরে তারা যে দলে যুক্ত হয়েছে সে দল স্বাধীনতার বিরোধিতা করেনী ৭১এ।

 

শেষে বলবো, জামায়াত ইসলাম দলটির নিবন্ধন ফেরত চাওয়ার আগে অন্তত একবার জাতির কাছে একাত্তরের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।

 

বর্তমান জামায়াত ইসলামের অনেক ভালো গুণও আছে।

 

১৭-০৯-২০২৪