পোস্টস

নন ফিকশন

স্বল্প পুঁজিতে ব্যাবসার উপায়: প্রো-টিপস ও ১০০০ টাকা দিয়ে শুরু করে উচ্চ মুনাফা লাভ।

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্রিপটিক ডেন

আপনি কি কম মূলধন ব্যাবহার করে অধিক মুনাফা লাভ করতে চান? আপনি স্টুডেন্ট আর ব্যাবসায়ে আগ্রহী তবে যথেষ্ট পুজি বা সড়্রসের অভাব? গাইডলাইন পাচ্ছেন না? এমন হলে আমি অল্প কথাতেই আপনার স্কিল চিহ্নিত করে আপনার জন্য পার্ফেক্ট বিজনেস আইডিয়া দিতে পারব তাও এই একটি মাত্র লেখার মাধ্যমে। কীভাবে জানতে চান? তাহলে সম্পুর্ন অংশ পড়ুন।

 

নিজের স্কিলকে জানা:

নিচের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে নিজের স্কিলকে চিহ্নিত করুন

১) আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করেন?

২) আপনার জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য হবে এমন ৩ টি ব্যাবসার ব্যাপারে ভাবুন। ১০০০ টাকার মধ্যে স্টেশনারি আইটেম,হ্যান্ডমেইড আইটেম,খাবারের ব্যাবসা, অনলাইনভিত্তিক কোনো ব্যাবসা ইত্যাদি হতে পারে।

৪) আপনি যে তিনটি ব্যাবসা ভাবলেন এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটাকে বেছে নিন যেটাতে আপনার বেশি সময় দিতে হবে না আর টাকা-পয়সার ব্যাপারও সাধ্যের মধ্যে হতে পারে।৫)আপনি যদি সেই একটি ব্যাবসা ভাবতে পারেন তাহলে স্বাগতম আপনি বড় একটি কাজ করে ফেলেছেন তবে শেষ প্রশ্নটি এটা যে এই ব্যাবসাটি দীর্ঘমেয়াদী কি-না? আর না হলে কীভাবে দীর্ঘ মেয়াদী করতে পারেন তা ভাবুন। এখন আপনি যদি দেখেন এটা দীর্ঘ-মেয়াদী নয় তবে পুনরায় এই ৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিন।

 

যারা তিনটি ব্যাবসার আইডিয়া ভাবতে পারেনি তাদের জন্য

আমি উপরে কিছু ব্যাবসার কথা উল্লেখ করেছিলাম তার মধ্যে ২ টির কথা বলি ১/ খাবারের ব্যাবসা,এটি আপনি অনলাইনে বা সরাসরি করতে পারেন কারণ ফাস্টফুড খাবারের দোকান দিলে কেউ না কেউ কিনবেই তবে অনেকেই বিভিন্ন জড়তার কারণে এভাবে সরাসরি অফলাইন মাধ্যমে খাবার বা কোনো ব্যাবসা করতে না পারলে তারা নিজস্ব এলাকাভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়ে নিজের ব্যাবসার প্রচারণা করতে পারবেন। এতে আপনার খরচ অনেক বেশি কমবে। ২/ ঘরে তৈরি হ্যান্ডমেইড জিনিস,দেশীয় প্রোডাক্টের কদর বাড়ছে তাই আপনার যদি এ বিষয়ে গুণ থাকে তাহলে কাজে লাগাতে পারেন। 

আমি কাপড়ের ব্যাবসাকে নিরুৎসাহিত করব না তবে এই পর্যন্ত অনেক নামকরা পেইজ হয়ে যাওয়ার অনলাইনে কাপড়ের ব্যাবসাতেলাভবান হতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।

৩/ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন সবজি তরকারি যদি চাষ করতে পারেন তাহলে সেগুলোকে কোনো না কোনভাবে বিক্রি করতে পারবেনই।

গাছের ব্যাবসা এখন যথেষ্ট বড় বাজার পেয়েছে।তাই এ বিষয়ে সুবিধা থাকলে দেখতে পারেন

note: মনে রাখবেন ব্যাবসা শুরু করলে নিজের এলাকার দিক টা আগে বিবেচনা করবেন কারণ তাদের মধ্যেই কেউ আপনার প্রথম কাস্টমার হতে পারে।

 

এবার আসা যাক বিজনেদ গ্রোথ ইস্যুতে

১/ ১০০০ টাকার ৮০০ টাকা দিয়ে পণ্য কিনে ২০০ টাকা রেখে দিবেন এ দিয়ে প্রিন্টিং এর দোকান থেকে প্রিন্ট করে প্রচারণা করতে পারবেন। 

২/ মনে রাখবেন আপনার যে বিষয় নিয়ে সুবিধা তা নিয়েই ব্যাবসাটি শুরু করবেন।

৩/ অতিরিক্ত মূলধন খরচ করবেন না আর প্রথমে বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ আর পাইকারি কেনার সময় দাম সচেতন হয়ে কিনবেন।

৪/ ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ তাদের কথা মাথায় রেখে ভালো সার্ভিস দিন আর তাদের অভিযোগকে আমলে নিন

৫/ ব্যাবসায়ে ধীরে ধীরে প্রযুক্তির সাহায্য নিন।

 

একটা ব্যাবসা করার জন্য আপনাকে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে, আর বাকি যে বিষিয়গুলো বললাম তা আমনে নিতে হবে, আর আমি যদি বলি যে তাৎক্ষণিক সুবিধাজনক ব্যাবসা অবশ্যই ফাস্টফুড খাবারের ব্যাবসা। আর এই ব্যাবসা আপনি কম মূলধনের সাহায্যে অধিক লাভ করতে পারবেন। আমি দুটি উদাহরণ দিব এক্ষেত্রে 

১/সরাসরি বা অফলাইন মাধ্যমে

আপনি যদি কোনো পার্ক,স্কুল বা জনসমাগম বে্‌ি হয় এমন যায়গায় বার্গার,ফুচকা,চা,কেক ইত্যাদির দোকান দেন দেখবেন কেউ না কেউ কিনবেই।এক্ষেত্রে ছোটদের কথা বিবেচনায় করবেন কারণ ফাস্টফুড তারাই বেশি পছন্দ করে

২/ অনলাইন মাধ্যম হলে

অনলাইনে খাবারের ব্যাবসায় যে আইটেমই নেন না কেন নিজের এলাকার কোনো গ্রুপে যুক্ত হবেন।সেখানে নিজের ব্যাবসার প্রচার করবেন।খাবার বিষয়ক গ্রুপগুলোতেও এসব করতে পারবেন।

note: যে মাধ্যমেই করেন না কেন প্রথম দিকে অফার দিন,ডিস্কাউন্ট বা buy 1 get 1 টাইপের কিছু দিন। এখানে হিউমান সাইকোলজির বিষিয়টি ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কাজ করে।

সবশেষে মনে রাখবেন

ব্যবসা শুরু করার জন্য কি কি দরকার ? তিনটি সহজ বিষয়ঃ আপনার পন্য সম্পর্কে অন্যের চেয়ে বেশী জানুন, গ্রাহকের চাহিদা জানুন এবং সফল হওয়ার তীব্র ইচ্ছা রাখুন ।

— ডেভ থমাস

 

“ব্যবসা হল এমন কাজ যা মানুষকে স্বাধীনতা দেয়।” – হেনরি ফোর্ড।

 

কোনও সিদ্ধান্তই ভুল সিদ্ধান্ত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তাকে সঠিক সিদ্ধান্তে পরিনত করতে হয়।
-রতন টাটা