বয়সের এই সময়টায় আমরা সবাই আগন্তুক।
সময়ের প্রচুর পরোয়া, আকাশে তাকানোর নেই অবসর,
নিজের কাছে নিজেই এক আগন্তুকের মতন।
মনের মাঝে কোনো স্থিরতা নেই, না আছে শরীরের উপর নিজের ভর;
নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি, বিপ্লব খুঁজতে বেরিয়ে পড়ি দিক বেদিক হয়ে।
কোনো বিপ্লব নেই আর,
বাকি নেই কোনো তাণ্ডব।
সময়ের সীমা রেখায় বাধা বাঁধা বুনো চিৎকার;
দেহের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে একেকটা সোনালী অতীতের গা!
আবার সময় থমকে দাঁড়ায়।
নিজের অস্তিত্বকে প্রশ্ন করে পৃথিবীর পুরোনো সব পাপবোধ,
আমরা জাগ্রত হই-
চেয়ে দেখি মুখ আর হাত অন্যের অধীনে চলিত এক প্রজ্বলিত আঁধারের শিকা।
সব,
অচেনা, অজানা।
শবের মত নিজের বিশ্বাসকে বয়ে চলি একা একা।
কে আছে?
কে নেই?
কিংবা কার জন্য আমার এই আগমন,
সবকিছু আজ প্রশ্নাতীত।
বিভেদের জঞ্জাল ভেঙ্গে,
শরীরের রাগ আর ক্লান্তি ঠেলে কয়েক পা এগোলাম;
বোকার মত চেয়ে দেখি সব আমার অচেনা।
স্বাগতম হে অজানা বিশ্ব,
আমার আমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি,
নিজেকে আবিষ্কার করেছি আগন্তুক হিসেবে।