জীবনের গন্তব্য স্টেশন কত দূর!
মানুষের লাগামহীন লালসা
আর নিরন্তর প্রচেষ্টায়-
দূরের কুঁড়ে আলোর সেই ঝুপরি ঘরটি আজ-
রাজপ্রাসাদ।
এখন আর সচরাচর দেখতেও পাওয়া যায় না-
সেই ঘুঁটে কুড়ানি।
পাতি কাকের কা কা শব্দ মাঝে মধ্যে শোনা গেলেও
দাঁড় কাকের আওয়াজ এখন কেন যেন-
দুঃস্বপ্ন মনে হয়।
হিজল গাছটার কথা না হয় বাদই দিলাম।
শুনেছি- এশিয়ার যে ছয়টি দেশে সাত প্রজাতির শকুন পাওয়া যায়,
তার মধ্যে এদের সংরক্ষণে এগিয়ে বাংলাদেশ।
খটকা লাগে-
শকুন-শকুনির জন্য ক্ষতিকর ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন ২০১০-এ নিষিদ্ধ হওয়ার পর
এখনো তাদের যত্রতত্র দেখা মেলে ।
গরু আর ঘোড়ার গাড়ির আধুনিকায়নের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি।
থামছে না নতুনত্ব।
ক্লান্ত হচ্ছে পৃথিবী।
জঙ্গলগুলো আজ ভরপুর জঞ্জালে -
এই যেমন ধরুন চকোলেট আর চিপসের মোড়কে;
নদী আর সমুদ্রের পানিতে দেখা যায় তেলের প্রলেপ-
ঠিক যেন হাড়িতে ভেসে থাকা দুধের সরের মত,
মাঝে মাঝেই শুনতে পাই-
সৈকতে ভেসে আসছে
মৃত- তিমি, আরও কত প্রানী।
কষ্ট পাই,
যখন দেখি-
সুন্দর ঝিলের পাশটা অবাদে নোংরা করছে প্রকৃতি প্রেমীরা,
আর ময়লা ফেলার বাক্সের অপলক তাকিয়ে
একাকীত্বের শুন্যতায় ভোগা।
সমস্ত ভেজালকে আজ আমরা হালাল বানাচ্ছি,
এই যেমন ধরুন ভেজাল দুধ কিনে খাচ্ছি, বিষ মেশানো ফল বিক্রি করে,
আবার কেউবা- ফল কিনছি ফরমালিনের মাছ দিয়ে।
মনুষ্যত্বকে কবর দিয়ে আমরা
প্রতিনিয়ত ছুটছি- আত্মার শান্তির খুঁজে।
মানুষ এখন আর ভেজালকে কন্ট্রোল করতে পারে না,
ভেজালই মানব সভ্যতাকে কন্ট্রোল করছে।
প্রকৃতি ঠিক এর জবাব দিবে।
অপেক্ষা- শুধু সময়ের।