আমরা ইতিহাস পড়ি। আর শিহরিত হই ইতিহাসবিদদের প্রজ্ঞা দেখে। সভ্যতার শুরুর দিকের ঘটনা তারা কিখাবে তুলে ধরেন। দর্শনশাস্ত্র আরো একধাপ এগিয়ে। কনফুসিয়াস, মেনসিয়াস, সক্রেটিস, প্লেটো, হেগেল, এরিস্টটল ও আরো অনেকে। পড়ি আর আশ্চার্য হই। ইতিহাসের পাতায় মেসোপটেমীয়, গ্রীস, ট্রয়, রোমান সভ্যতা পড়ে পুলকিত হই। মর্ডান বই বা সাহিত্যে যা তুলে ধরা সম্ভব নয় তা কিভাবে জানবো। এক্ষেত্তে অামাকে অাপনাকে অবশ্যই ইসলামিক ইতিহাস পড়তে হবে। ইসলামিক ইতিহাস শুধু অাল কুরঅান বা মোহাম্মাদিজম নয়। তাওরাত, ইনজিল ও বাইবেল ইসলামিক ইতিহাস এর অন্তর্ভূক্ত। বলছি মাসুদ সভ্যতা বা জাতি নিয়ে। যুগটি ছিল নবী সালেহ (আঃ) এর সময়। যিনি নবী নূহ (আঃ) এর পুত্র সামের এর বংশধর। মহান রাব্বুল অালামিন প্রত্যেক নবী কে আল্লাহর একাত্ত্ববাদ প্রচারে ও মানুষকে হেদেয়াতের এর জন্য প্রেরন করেছেন।নবী সালেহ (অাঃ) ও তাই। কিন্তু মাসুদ জাতি মজিজা চাইল অার বললো, অাপনি পাশের পাহারের ভেতর থেকে একটি মা উট (যার পেটে বাচ্চা অাছে) বের করতে পারলে ইসলাম গ্রহন করবো বা অাপনার অাদেশ নিষেধ মেনে চলব। অাল্লাহর ইশারায় সালেহ (অাঃ) রাজি হলেন। নির্ধারিত দিনে উনি সবাইকে নিয়ে পাহারের সামনে গেলেন অার বললেন তোমরা যা বলেছো তা করবো কিন্তু তোমরা অবশ্যই ইসলাম মানবে আর কখনো এই মা উট ও তার বাচ্চার ক্ষতি করতে পরবে না। যদি করো তবে আল্লাহর শাস্তি ও আযাব নেমে অাসবে। উপস্থিত সবাই রাজি হল। অাল্লাহ অাদেশে পাহাড়কে নির্দেশ করার সাথে সাথে পাহাড় ফেটে একটি মা উট বের হয়ে অাসলো। একসাথে প্রায় ২৫০০ লোক ইসলাম গ্রহন করলো (কম/বেশি হতে পারে)। কিছু দুষ্ট লোক ইসলাম গ্রহন করল না এবং পরবর্তী সময় মা উটটিকে মেরে ফেলে। বেইমানদের জন্য শাস্থি অবধারিত। অাল্লাহর হুকুমে নবী সালেহ (অাঃ) অন্য ইমানদার ব্যক্তিদের নিয়ে মাসুদ নগরী ছেরে অন্য নগরী চলে যান এবং এর পর তিন সপ্তাহ এর মধ্যে পুরো এলাকার মানুষগুলো মারা যায় অার ভূকম্পনের মাধ্যম মাসুদ সভ্যতার ধংস হয়। সেই স্থানটি এখন ‘মাদায়েনে সালেহ’ নামে পরিচিত যা সৌদিতে বিদ্যমান। ডেড সি বা ফেরাউনের লাশের মত এই এলাকাটিও আজও বিদ্যমান মানুষের হেদায়াতের জন্য।
..বলি কি,আল কুরআন পড়ুন বাংলা অর্থ সহ...