পোস্টস

চিন্তা

আলোচনা: কেনো শিক্ষা জীবনে গবেষণায় কাজ করাটা জরুরী? কিছু ফ্যাক্ট আর করণীয়

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাহজুবা তাজরি

ছাত্রজীবনে আমরা কী করি? 

 

  • আমাদের তো জানা ছিলো ছাত্রজীবনে গিয়ে আমরা পড়াশোনা করি। প্রজেক্ট বানাই, পেপার লিখি তারপর মাঝেমধ্যে একটু আড্ডা দেই। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরিফিরি। মাঝে মধ্যে শুধু বন্ধু বা শুধু বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই।  কিন্তু আমাদের বাবুদের হাতে যে পরিমাণ সময়! দুই চার লাইন, কয়েকটা চোথা আর বিগত সালের সাজেশন দেখে পাশ করে তারপর তো অফুরন্ত সময়। তাই অবসরে মানুষকে পিটাইতে যায়। কারণ ও আর কিই বা করবে। যেরকম এগ্রেশন একটা মানুষের বিদ্যাহীন পরিস্থিতিতে থাকলে তৈরি হয়, তাদেরও তাই হয়েছে। সে চিৎকার করে, অহেতুক মারধোর করে আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় নিজের 'মানবিক' ভারসাম্য হারায়। কিন্তু একজন ছাত্র, যার কাজ পড়াশোনা করা, আইডিয়া জেনারেট করা আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নেয়া।  সে চোখ বন্ধ করে কোনো একটা আওয়াজ শুনতে পারছে শুধু।  কি আওয়াজ সেটা না ও নিজে জানে, না ওর মাথা, পা, হাত জানে।

 

ছাত্রজীবনে শূন্যে ভাসা কিছু ফ্যাক্টসঃ 

 

আমাদের ছাত্রজীবন এবং সামাজিক জীবনে কোথাও কোনো জায়গায় বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নাই। কোথাও কোনো জ্ঞানের চর্চাও নাই। এমনকি একাডেমিক লাইফ শেষ হইলেও সেখানে চাকরির পিছনে ক্লাস ৯-১০এর পড়া বড়জোর ইন্টার পর্যন্ত পড়া। সেখানে এডুকেশন ইউটিলাইজ করার একটা বড় অপ্রাপ্তি। কারণ সেক্টর ভিত্তিক চাকরি তো নাই ই৷ বিশেষ কোনো একাডেমিক দক্ষতা শেষমেশ কাজেও লাগেনা তেমন।  কাজেই এক্সপার্ট ফিল্ডগুলো খালি পড়ে থাকে। কিন্তু না! শিক্ষাব্যবস্থার এরকম হুমকি থাকার পরেও সবাই বিসিএস দেবে৷ কারণ বিসিএস/ সরকারী চাকরি ছাড়া চারিদিকে ধুধু অন্ধকারই দেখে বেশীরভাগ মানুষের জন্য। আর বাকিরা বিদেশে যাইতে না পারলে চারিদিকে অন্ধকার দেখে সম্ভবত।

 

 


এখন আসি গবেষণা কেনো জরুরী?

 

🚦 নিজের আইডিয়া নিয়ে কাজ করাঃ একাডেমিক গবেষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য যে ছাত্র যে "আইডিয়া" নিয় কাজ করতে চায় সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা এবং তারপর লেখা৷ ('আইডিয়া' নট 'সাবজেক্ট')।  অর্ধেক জ্ঞান, সিলেবাস মুখস্থ করা এসব থেকে এইসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও আসলে।   এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদের ভাবতে অনুপ্রাণিত করা। গবেষণার সুযোগ যদি পাওয়া যায় তাহলে ভিন্ন শিক্ষার্থী ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা রপ্ত করতে পারবে৷ ফলে সেই যে কাজের ক্ষেত্রে শূন্য জায়গা দূর হবে। "চাকরির মার্কেট খুব খারাপ" এসব ভাবনা কিছুটা লাঘব হবে,  চাকরির পেছনে অন্ধত্ব দূর হবে৷  পাশাপাশি এটা একটা চেইন বিল্ড আপ ও হবে।ছাত্র অবস্থায় যত গবেষণা করবে তত সে জানবে আর তত স্বাধীন কর্মসংস্থান তৈরী করতে সক্ষম হবে। নিজেরাও নিজেদের জুনিয়রদের নিয়ে কাজ করতে পারবেন। যদিও গত ২০ -৩০ বছরধরে নিজ কর্মসংস্থান তৈরী করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে সর্বস্তরের মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।  

 

🚦মগজাস্ত্রে ধার দেয়াঃ  একটা মানুষ যত বই পড়ে তার কাছে ইনফরমেশন তত বেশী আসে আর কর্মক্ষেত্রে আর চাকরিতে জয়েন করলেও লম্বা লম্বা ট্রেনিং আর জোর করে নিজেকে সে জায়গায় বসাতে হবেনা। কারণ তিনি তো এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। এইযে আমরা মোটিভেশনাল স্পিকারদের বলতে শুনি।। প্রতিটা স্টুডেন্ট এর উচিত শিক্ষা জীবন থেকে কাজ শুরু করা । কতজন  স্টুডেন্ট নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সুযোগ পায়? সে কেনো শীক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিসি সম্পর্কে জানবে না? সে কেনো কনজিউমারের মত থাকবে? সে কেনো শুধুমাত্র আন্দোলনের সময়ই জাগ্রত হবে? জ্ঞান, বিদ্যা অর্জনের সময় সে পার্টিসিপেট করেনা কেন?  নিজের জ্ঞান কে কাজে লাগানোর জন্য আর ইনফরমেশন আর নলেজ কে জ্ঞানশক্তি হিসেবে কাজে লাগানোর জন্যও তো বেশী বেশী পেপার এবং জার্নালে লেখা উচিত। 

 

🚦দৃষ্টিভঙ্গি সজাগ করাঃ  সিজিপিএর সাথে থিসিস এবং গবেষণার মেলবন্ধন কোথায় আমি আজও জানিনা। কাজের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট এর সিজিপিএটা কী ল্যামিনেট করে ডেস্কে টানায় রাখে মানুষ? যে গবেষণা করে সে এলিট ছাত্র এই ধরণের ব্যাসবাক্য বন্ধ করা উচিত। গবেষণা উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। তবে সেখানে হয় শীক্ষার্থী নিজে গবেষক হয়ে কাজ করবে আর শিক্ষক সুপারভাইজ করবে অথবা শিক্ষক তার গবেষণায় ছাত্রদের সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।। সেক্ষেত্রে একটা গবেষণা পত্রের পেইজ এলাইন করে দেয়াটাও একটা কাজ।  কথার কথা আরকি! 
অনুষদ অথবা বিভাগ যাই হোক না কেন ? সেখানে কি গবেষণার বিষয় কম আছে? এখনো অনেকেই চিন্তা করে কেউ যদি গবেষক সম্ভবত শুধুই সাইন্টিস্টরা হয়। কিন্তু এই ধারণা তো ঠিক না। এটার সাথে তো পরিচিত হতে হবে।  ধারণাই যদি না থাকে জ্ঞান কিভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে তো মানুষের নামে নমুনাই হয়ে থাকবে।

 

🚦ছাত্র-শিক্ষক বৈষম্যই দূরীকরণঃ  শিক্ষকেরা যদি সারাজীবন  জাস্ট লেকচার দিয়ে ক্লাস থেকে চলে না গিয়ে, নিজেদের বই/গবেষণার কাজ করতেন আর সেখানে ছাত্রদের সহকারী গবেষক হিসেবে নিযুক্ত করতে পারতেন৷  নিজেদের প্রজেক্টে এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজে নিতে পারতেন! তাহলে আপনাদেরও কাজ সহজ হইতো৷ সম্মান বরং কমতো না, বাড়তোই। স্টূডেন্টও একটু  উৎসাহিত হতো! কিন্তু কি আর বলবো! শিক্ষকদের নিজেদেরই গবেষণা পত্রের যে অবস্থা।  আজকে দেখলাম নিজেই মূল্যায়ন করেন,  নিজেই আবার সেটার জন্য  পদোন্নতি দেন৷ এডুকেশন সেক্টরের মত একটা জায়গাও মানুষ খিল্লিবাজি করতে আসে।  ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ চাপায় দেয়।  যাইহোক বিচিত্র দেশ! তবে শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য দূর করা৷  কারণ তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আপনার  ক্লাস ৫ এর প্রাইভেট স্টুডেন্ট রিংকু না।  ওদের মানসিক বিকাশ ওরা অনেক দূর ই পার করে আসছে৷  সুতরাং দাঁত ভাঙা যে গবেষণা পত্রটি শিক্ষক লিখেছেন সেখানে তাঁরা অবশ্যই সাহায্য করতে পারবেন।

 

🚦সময়কে কাজে লাগানোঃ যারা থিসিস নিয়ে কাজ করে (কপি-পেস্ট ছাড়া থিসিস) তারা আসলে জানে একটা পেপার লিখতে আর কতখানি পড়াশোনা করা লাগে। যে মেথডেই পেপার লেখা হোক না কেন আইদার কোয়ান্টিটেটিভ অর কোয়ালিটেটিভ৷ চাপের শেষ নাই। এবং এই জিনিস ইটসেল্ফ প্রচুর স্ট্রেস্ফুল।  সুতরাং, এই অবস্থায় এত সহিংসতার সময় কই? আমার থিসিস চলাকালীন আমি প্রতিদিন অফিস থেকে স্ট্রেইট বাসায় গিয়ে শুধু পড়তাম আর লিখতাম৷  বার বার যা নলেজ গ্যাদার করতাম সেগুলা ন্যারোডাউন করতাম।  একটা সময় মিনিমান সামাজিকতার সময় টুকুও থাকতো না। আমার টা যদিও একটু ভিন্ন আমি এত বাইরেও থাকিনা। একা থাকতেও পছন করি। কিন্তু তবুও যারা শিক্ষাক্ষত্রে গবেষণা নিয়ে কাজ করে তাঁরা জানেন গবেষণা পত্র লেখার জন্য কিছু তো সময় ব্যয় করতে হয়। অবশ্য এখন তো মানুষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স দিয়েও লেখে। সেটাও কম সময় সাপেক্ষ না। আপনি আপনার গবেষণার অবজেক্টিভই যদি না জানেন । চ্যাট জিপিটিই বা আপনাকে কি লিখে দেবে?

 

🚦বিশেষ দক্ষতা অর্জনের জন্যেঃ  সর্বস্তরে জ্ঞান অর্জন করে যদি মানুষ সারাজীবন কনফিউশনে কাটায় তাহলে একই সাথে এত নলেজ দিয়ে কি হবে? নিজের ইন্টারেস্ট ন্যারোডাউন করাটা খুবই জরুরী। একটা মাছ কে যদি বলা হয় তুমিও গাছে উঠে ডিম পাড়ো জিনিষটা তো খুবই অড। আমাদের ছাত্রজীবনের মাঝে বা শেষে এই চিন্তা তো সবারই থাকে।যে কে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চায়? কোন বিষয়ে সে দক্ষ? আইডেন্টিটী ক্রাইসিস এ ভোগে। এইসব দূর করার জন্য হলেও তো ছাত্রজীবনে নিজের পছন্দমত গবেষণা করা উচিত অথবা টেকনিকাল প্রজেক্টে কাজ করা উচিত। যেনো ছাত্র-জীবনে থাকতেই বোঝা যায় যে সে আসলে জীবনে কি করতে চায়। 

 

কিছু সামাজিক এবং মানসিক স্টিগমা

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ কার্যক্রম আর স্কুল-কলেজ জীবনের পাঠ কার্যক্রম অনেক আলাদা বাংলাদেশে। আমাদের সামাজিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা উভয়ই নিজের ইন্ডিভিজুয়ালিটি নিয়ে প্রচুর স্টিগমা তৈরী করে রাখছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে লিডারশিপ স্কিল ডেভেলপ করতে সাহায্য করেনা। সবজায়গায় কাজ কিভাবে করতে হয় সেটাও আসলে ঠিক মত শেখানো হয়না। শুধু কিছু পরীক্ষা আর গ্রুপ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হাসতে খেলতে খেলতে পার করে ফেলে তাঁর স্নাতক জীবন। আর এরপর কর্মক্ষেত্র। ব্র্যান্ড ভ্যালু ছাড়া সহজে চাকরি নাই। নিজের স্টার্টাপ শুরু করতে গেলে সাহস নাই। আর নিজের উপর আত্নবিশ্বাস নাই। কারণ পাঁচ বছরের প্রেজেন্টেশন বা পরীক্ষা কোনোটাই তো আদৌ কর্মক্ষেত্রে কোনো কাজে আসেনা। তো মানুষ পুরোটাই আসলে শেখে তাঁর কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর।  

 

এখানে আবার চাকরির পরীক্ষা কথাটা নিয়ে আসি। একজন মানুষ জীবনের ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের পড়াশোনা করলো। এবং ৩১-৩৩-৩৫ বছর বয়সে গিয়ে সে ফ্রেশার হিসেবে চাকরি শুরু করলো! তখন সে চাকরি পরিবেশ এবং প্রফেশনাল জীবন সম্পর্কে কিছুই জানেনা! কি আশ্চর্য মানুষের গড় আয়ুর অর্ধেক পর্যন্ত সে একই পড়াশোনা বার বার ঘুরে ফিরে করতে থাকে। এর মধ্যে তাঁর নিজের আলাদা কোনো পরিচয়ই রইলোনা!  ঘরে বসে থেকে যেহেতু একজন মানুষ ৩০ বছর পর্যন্ত ইতিহাস মুখস্তই যখন করছেন, এত এত বই পড়ছেন। এগুলো নিয়ে উনি তো একটা বই লিখে ফেলতে পারতেন! কিন্তু উনি টেবিল চেয়ারে বসে একই জিনিষ ১৮ ঘন্টা করে পড়লেন। কিন্তু ভাই ব্রেইনেরও তো একটা ক্যাপাসিটি আছে। আমার মাঝেমাঝে প্রশ্ন জাগে একই জিনিষ বার বার পড়লে মানুষ হাবলা হয়ে যায় না?

 

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ট্রেন্ড শুরু করা উচিত। কারো যদি গাছের পাতা নিয়ে আগ্রহ থাকে সে গাছের পাতা নিয়ে গবেষণা করবে, কারো যদি ইট নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে সে ইট নিয়ে গবেষণা করবে। আর কারো যদি গবেষণা করতে ভালো না লাগে তাহলে তাঁর যা ভালো লাগে সেটা নিয়ে পোর্টফোলিও বানাতে কাজ করবে। যে , যে বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করবে তারা সবাই সে বিষয়ে দক্ষতা দেখাতে পারবে নিজের পছন্দের জায়গায়! কারণ কাজ তো মানুষ প্যাশন নিয়ে করে ! রোবটের মত কাজ কি সবাই করতে পারে?  নিজের জীবনের মূল উদ্দেশ্য বা এইম ইন লাইফ যে শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া না সেখান থেকেও বের হয়ে আসতে হবে।জীবনে পঞ্চাশ বছর তো এইম ইন লাইফ নিয়ে প্যারাগ্রাফ আমরা লিখলাম ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট। আর কত?  গবেষক হওয়া এইম ইন লাইফ হওয়া উচিত সেটা বলছি না। তবে জীবনে সাহস অর্জন করাটা এইম এইন লাইফ হওয়া উচিত। যেনো যা ইচ্ছা হয় সেটা করার সাহস টা পায়। যাই হোক কথা ভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে । 

 

আমরা ছাত্র-রাজনীতির নামে এক গুচ্ছ বন্য প্রানীদের ভয় পেতে পেতে এক সময় শেষ হয়ে যেতে দেখেছি। যাদের কাজ ছিলো পড়া তারা পাড়ায় পাড়ায় মোটর সাইকেল নিয়ে সন্ত্রাসবাজী করা । এতগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন সামাজিক এবং ব্যক্তিগত পরিসরে নষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা এর থেকে ভিন্ন কিছুই না। হয়তো ওরা চলে গেছে ওদের আইডিওলোজি এখনো রয়ে গেছে। ওদের হাতে কি অফুরন্ত সময়? নাকি ওরাও যে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত তারাও তাঁদেরকে ছাত্র নয় বরং সন্ত্রাসী হিসেবে তৈরী করছে? নাকি এখানে আমাদের মস্তিস্কের চরম বিকৃতই আসল কারণ? আমরা খুঁজতে থাকি, আর ওদিক দিয়ে আরো কিছু মানুষ মরে যাক।

 

আমার অসংযুক্তভাবে একটা লাইন মাথায় আসছেঃ ‘সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়, আর হাজার হাজার মানুষ মরে যায়।