পোস্টস

প্রবন্ধ

মব কিলিং চলছে...

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেদওয়ান তালুকদার

দেশে মব কিলিং চলছে চরমে...

যেমন খুশি তেমন যেখানে খুশি সেখানে পিটিয়ে-কুপিয়ে-গুলি করে মারা হচ্ছে মানুষ!

অথচ বেহায়া নির্লজ্জের মতো অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন ৩৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত দেশে নাকি কেউ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নী এবং এর মূল কৃতিত্ব নাকি আসিফ নজরুল স্যারের!

অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন অমানুষ সুলভ কথা শুনে আমার স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাক দুটোই হয়ে যেতে বসছিলো!

কিন্তু জন্মের পর থেকেই এ রাষ্ট্র যন্ত্রের নিগূঢ় সত্যকে ডাহা মিথ্যা বানানো আর ডাহা মিথ্যাকে নিগূঢ় সত্য বলে চালিয়ে দেয়ার যে রাজনৈতিক কালচার সেটা দেখতে দেখতে কলিজা আর মগজে সয়ে গেছে, তাই স্টোক আর হার্ট অ্যাটাকটা হয়নী এখনো।

তোফাজ্জেলের লাশ আর ভাতের থালার উপরে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কিভাবে এমন কথা বলেন আমার সত্যিই বুঝে আশে না!

যদিও যে লোক মনে করেন জুলাই মাস ৩৬ দিনের তার মুখ থেকে এমন কথা ভের হওয়া অস্বাভাবিকও নয় বোধয়!

 

একটি সভ্য রাষ্ট্রে কোন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডই হওয়া উচিত নয়, হলে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের অবশ্যই বিচার হতে হবে!

সুতরাং ৫ আগস্টের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নির্দেশে যে গণহত্যা হয়েছে তার সাথে ৫ আগস্টের পরে আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে যে ভয়ংকর ভাবে হত্যা করা হয়েছে/মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে তার প্রতিটির বিচার হতে হবে!

এবং অবশ্যই হতে হবে, কারন হাসিনার অপশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে Better শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যইত হাসিনা সমেত লীগকে হটানো হয়েছে! So আওয়ামিলীগী শাসনের চেয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন নাহিদ-ইউনুস সরকারের আমলে যদি দেশে পূর্বের থেকে Better আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হয় তবে জনগণ বলবে এই সরকার হাসিনার আওয়ামী সরকারের চেয়েও বেশি ফ্যাসিস্ট, আওয়ামী সরকারের চেয়েও বেশি স্বৈরাচার, আওয়ামিলীগ সরকারের চেয়েও বেশি ভণ্ড!

 

কিন্তু দেখতে পাচ্ছি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স ২ মাসের কাছাকাছি হয়ে গেছে অথচ এখন পর্যন্ত দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে পারেনি তারা!

নিজেরা ব্যর্থ হওয়ার ফলে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা!

তাতেও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে দেখছি না!

 

অধিকাংশ সম্মানিত উপদেষ্টার কথা শুনলে মনে হয় তারা এখনো টকশোতে বয়ান দেয়া সুশীল কিংবা খোপে বসে জানালার ফাঁক দিয়ে আসমানে তাকিয়ে সুদূরপ্রসারী স্বপ্নে বিভোর বুদ্ধিজীবী!

তারা যে বর্তমানে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পোষা রাষ্ট্রের সংকট সময়ের গুরুত্বপূর্ণ এক একজন উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন সে হুশ তাদের এখনো হয়নী।

কোথাও কোন হত্যা, সংঘাত, অনিয়ম, অপরাধ সংঘটিত হলে তারা আম পাবলিক আর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই বলেন- 'এটা খু্‌বই দুঃখজনক', 'আমরা এটা আশা করি না', 'বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে', 'এগুলো আমরা দেখতে চাই না', 'এর বিচার হতে হবে' ইত্যাদি ইত্যাদি...

 

হাস্যকর বিষয়!...

আরে জনাব এগুলোত বলেবে আমার মতো আম পাবলিকে কিংবা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো...

আপনাদেরত কাজ এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এগুলো বন্ধ করা।

 

দেশে কারা যে পাবলিক, কারা যে বিরোধী রাজনৈতিক দল, আর কারা যে উপদেষ্টা বোঝা যাচ্ছে না!

 

“আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল, ব্যক্তির দায় দলের নয়” বলে আবার আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করতে চাওয়ার হালকা বাতাস পাইতেছি!

ইলিশ যাবে না যাবে না যাবেই না বলে আবার নাকি যাচ্ছে দেখি ৩০০০টন!

 

“বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই”

এই শ্লোগান দিয়ে শুরু করা আন্দোলন দেখলাম শেষ হইলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে!

 

আজব এক ব-দ্বীপে বসবাস করি।

২৪-০৯-২০২৪