Posts

গল্প

ধোঁয়াশা

September 24, 2024

ডাকপিয়ন

Original Author Mohammad Jakaria

173
View

বৃষ্টিস্নাত সন্ধায় ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ-এ চুমুক দিয়ে নিজের অস্তিত্বের কল্পনায় ডুব দিয়ে আনাফ।
এটা আমার প্রতিদিনকার নেশা বলতে পারেন..সারাদিনের ভুল গুলোর অস্তিত্ব প্রতি সন্ধায় খুঁজে বেরাই....
গভীর রাত জাগার বদঅভ্যেস কাটাতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিলো....
তবে এখন আমার জীবনে একটা ফুটফটে কণ্যা সন্তান রযেছে..
ওর বয়স মাত্র ২ বছরের মতো..গুটি গুটি পায়ে হেটে বাবা, বাবা বলে চিৎকার করে তখন দুনিয়ার সকল আক্ষেপ দূরে পালিয়ে যায়।কিন্তু হতভাগ্য বাবা কখনো তৃণার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারিনি..পারবোই বা কীভাবে, আমি তো জানিই নাহ তৃণার মায়ের পরিচয়! 
তাহলে শুরু থেকেই বলি,
ভার্সিটি লাইফে প্রায় সময়ই রাতে বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হতাম।পদার্থবিজ্ঞানের স্টুডেন্ট হওয়াতে প্রেম নামক কোন কিছুই জীবনে আসতে দেইনি,বললে ভুল হবে।প্রেমে ঠিকই পড়েছিলাম কিন্তু কখনো সাহসের জন্য বলে উঠতে পারিনি..
আমি তখন ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। প্রতিদিনের ন্যায় নভেম্বরের ১৪ তারিখ,শুক্রবার,রাত তখন প্রায় দুইটা হালকা শীতের মৃদু.একটা প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে কিছুটা দূরে হালকা ঝোপ আকৃতির নিরব এক স্হানে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেলাম..
ভেবেছিলাম এত রাতে নিরব স্থানে এমন ঘটনা হয়তো শয়তানের কোন কারসাজি হবে ভয়ও পেয়েছিলাম বেশ, কারন বাইকের স্টার্ট অটো বন্ধ হয়ে  যায়!তার ২০/২৫ ফুট দুর্দান্ত  থেকে আওয়াজটা আসতেছিলো....বাইক স্টার্ট করে চলে আসতে আসতে কেন যেন মনে হলো বিষয়টা না দেখে আশা ঠিক হবে নাহ...কারন ক্লিনিকটা অতটাও দূরে ছিলো নাহ....
শুকনা মৌসুম হওয়াতে বাইক নিয়েই ঝোপের কাছে চলে যেতে বেগ পেতে হয়নি....
তবে ঝোপের কাছে গিয়ে পুরুষের চোখের পানি আটকে রাখতে পুরোপুরি অক্ষম হয়েছিলাম।
দুই দিনের সদ্য নবজাতক ফুটফুটে একটা শিশু কান্না করছে...
তখন আকাশে চাঁদের আলোয় শিশুটিকে ঝলমলে লাগছিলো..
একটা কাপড়ে মোড়ানে... 
আল্লাহর উপর ভরশা রেখে শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়েছিলাম, ভয় করছিলো অনেক কেননা শয়তানের ধোঁকাও হতেও পারে এই ভেবে....
আল্লাহর রহমতে সেদিন ব্যাগে পানি নিয়ে বের হয়েছিলাম,ভয়ার্ত অবস্থায় বোতলের পানি দিয়ে অযু করে শিশুটির কানে আযান দেই....কারন শয়তানের ধোঁকা হলে ঘোর কেটে যাবে!
কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি... শিশুটির মুমূর্ষ অবস্থা দেখে দ্রুত শহরের সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে যায়.. 
ফোন করে ছোট ভাই নাহিয়ান-কে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে আসতে বলি...বিষয়টা বাবা-মাকে বলতে বারন করি নাহলে তারা আবার চিন্তায় পরে যাবে.!
কিন্তু সমাজ এমন যে আপনি সত্যি বলবেন তো আপনাকে হয়রানি হতেই হবে...
হাসপাতাল কতৃপক্ষের প্রশ্ন এমন ছিলো, 
~এত রাতে এই বাচ্চা কোথায় পেলেন? কাপরে ঘাস লেগে আছে কেন?
~উত্তরে বলেছিলাম,আগে আমার মেয়েটাকে বাঁচান তারপর সব বলছি...
তারা তৃণার ট্রিটমেন্ট করলো কিন্তু প্রশ্নের উত্তর তাদের জানতেই হবে!
সেদিন বাধ্য হয়ে মেয়েটার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ভেবে মিথ্যা বলেছিলাম,কেননা সত্যি বললে তারা পুলিশ কেইস সহ হয়রানি তো অবশ্যই করবে বলে ধারনা করেছিলাম!
~আসলে আমি এসেছি গ্রাম থেকে... তাই এতটা রাত হয়েছে আর বুঝেনই তো গ্রামীণ পথ..আর ওর আম্মুর কন্ডিশনও বেশি ভালো নয়...
~তাহলে আপনার সাথে অন্য কেউ আসেনি কেন?(সন্দেহের চোখে)
~আমার ছোট ভাই আসতেছে...একটু সময় লাগবে!
তবে ভাগ্য আমার মেয়েকে বাচিয়ে দিয়েছিলো...
নাহিয়ান রিসিপশনে এসেই বললো, 
~ভাইয়া তৃণার কি অবস্থা এখন?(নাহিয়ান) 
আসলে ওকে ফোনে সবটা বলেছিলাম,ভাগ্যিস ও বুদ্ধি করে নামটা বলেছিলো..
~এখন মোটামুটি ভালোই... ওনাদের বিল কত আসছে দেখে পেমেন্ট করে দে, আর একটা কেবিনের ব্যাবস্থা কর!

রিসিপশনের লোকজন কথাপোকথন শুনে আর প্রশ্ন করেনি...
কিন্তু আমরা দুই ভাই বেশ ঝামেলার মধ্যে দিয়েই গিয়েছিলাম!
একে তো দুধের শিশু, তারউপর কে বা কাদের অপকর্মের ফল,মা-বাবা কে কিই বা বলবো!এসব ইত্যাদি ইত্যাদি ভেবে আমরা দুজন সিদ্ধান্ত নিলাম।

আমি একবার ভেবেছিলাম হসপিটাল কতৃপক্ষের সাথে বলে যারা বেবি এডপ্ট করে তাদের কাছে তুলে দিবো...
কিন্তু নাহিয়ান বলছিলো,
~ভাইয়া!এমনটা করিস নাহ।ওকে যদি অন্যের কাছে তুলে দেই তাহলে তুই বা আমি কেউই রাতে যে ৩ ঘন্টা ঘুমাই সেটাও পারবো নাহ...(নাহিয়ান)
~তা খারাপও বলিসনি..এত সুন্দর একটা বাবুকে কেউ এভাবে ফেলে গেলো কীভাবে! এরা তো শু*য়ারের মতো... ছিঃ মানুষ এত নিচও হয় নাহিয়ান? 
~ভাইয়া দুনিয়াটা এরকমই..কিন্তু আমি তৃণাকে অন্যকারো কাছে দিবো নাহ...তুই যদি না বলিস তারপরও আমি তৃনাকে নিয়েই যাবো,সকালে আব্বুকে বললে সব ম্যানেজ করে নিবে.(নাহিয়ান)
এই কথা বলার সাথে সাথে নাহিয়ান-কে জড়িয়ে ধরেছিলাম.. 
আসলে আব্বুকে কি বলবো না বলবো সেটার জন্যই সবচেয়ে ভয় ছিলো...বাবা বিজনেসের জন্য প্রায় সময়ই দেশের বাইরে থাকেন!তাই আরকি তার সাথে আমার সখ্যতা খু্ব একটা বেশি নেই....ভালোবাসেন, প্রতিদিন একবার হলেও খোঁজখবর নিবেনই...কিন্তু সিরিয়াস ইস্যুতে আমি বাবার সাথে কথা বলতে অভ্যস্ত নই..
~কিন্তু ভাইয়া সমস্যা তো অন্যস্হানে! (নাহিয়ান)
~আবার কি?বাবা সেট মানে সব ক্লিয়ার তৃণা আমার মেয়ে হিসেবেই বড় হবে..
~সমস্যা তো আম্মু!আমার প্রেম কাহিনী শোনায় লড়ানি দিছিলো.. এবার তো পুরা মাইয়ার বাপ!(নাহিয়ান).
~সিরিয়াস মোমেন্টে মজা নিস নাহ...মেয়ের নাম তুই দিছো তো তুই পাক্কা কট ব্রাদার!
~ভাইয়া উল্টাপাল্টা বলবি না বলে দিলাম...মেয়ে তোর বুঝবিও তুই...(নাহিয়ান)
~আচ্ছা!সেটা দেখবোনে...ভোর রাত প্রায় ৪ টা! নাহিয়ান তৃণাকে নার্সের কাছে রাখাটা এখন আর সিকিউরড নাহ, তুমি দ্রুত কেবিনে শিফট হও...(আসলে ভয়ের ঘোর এখনও কাটেনি)
~আর তুই?
~আমি নিচে যাবো হাতে মুখে পানি দিতে হবে! আর মেয়ের জন্য পোশাক + যাবতীয় সরজ্ঞাম কিনতে হবে...আর শোন তৃনার জন্য বুকের দুধের ব্যাবস্থা করতে পারো কিনা সেটাও দেখ,অনেক পেশেন্ট আছে হাসপাতালে..  
~বাব্বাহ!জীবনে প্রেম করিসনি কিন্তু একেবারে রেসপন্সিবেল ড্যাড হয়ে গেলি...(নাহিয়ান)
~নাহিয়ান এইটা মোটেও ফাজলামোর সময় নয়! এখন যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা করো..আর ভোরে আমি আম্মুকে নিয়ে আসবো তারপর তুই বাসায় যাবি
~আচ্ছা তুই যা ভালো মনে করিস!(নাহিয়ান চুপচাপ চলে গেলো)
আসলে নাহিয়ানকে আমি সবচেয়ে বেশি ভরশা করি...ও আমার থেকে ৪ বছরের জুনিয়র হলেও আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ন..
তারপর একহ্রাস চিন্তা নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামার সময়ে পরে যেতে নিয়েও বেঁচে যাই...টং দোকান থেকে কড়া লিকারের এক কাপ রং চা আর সিগারেট নিলাম ঘুম কাটানোর জন্য দারুণ কার্যকরী! 
ভাবছিলাম,কি করবো আমি এখন?
তৃণাকে সুস্থ রাখতে হলে এখন মাস্ট বি বুকের দুধ জরুরি.. 
তারপর আমি আদও কি পারবো যোগ্য বাবার মতো আচরণ করতে!ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ার মানে ব্যাপক চাপ মাথার উপর...এসব ভাবনার মাঝে ফোনের রিং পেয়ে চিন্তা থেকে জ্ঞান ফিরলো!
~হুমমমম!নাহিয়ান বল? 
~ভাইয়া বাবুর চিন্তা করিস নাহ "আল্লাহর রহমতে বাবুকে খাওয়াতে পেরেছি" আর ঐ পরিবারটা অনেক ভালো ফোন নম্বরও দিয়ে দিছে...(নাহিয়ান)
~আচ্ছা একটা কাজ কর ওনাদের পাশের ক্যাবিনটা নে... কতৃপক্ষ ঝামেলা করলে কীভাবে ঝামেলা সামলাতে হয় তা তুই জানিস..
~হুমমমমম ব্রাদার!
আসলে আপনি যতটা অসহায় অবস্থাতেই থাকুন নাহ কেন পকেটে পেয়সা হে তো সাব কুচ আচানিছে হো জাতিহে...
তবে আল্লাহর উপর ভরশা রাখতেই হবে কারন এই অর্থ আল্লাহ আপনাকে দিয়েছে....

হাসপাতালের পাশে অনেক দোকানই খোলা থাকে সারারাত...
কয়েকটা তোয়ালে আর বাবুকে যাতে ঠান্ডা আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য পোশাকও নিলাম...
নিকৃষ্ট মানুষদের কাপরটা যত দ্রুত পরিবর্তন করতে পারবো তত তাড়াতাড়িই পবিত্র শিশুটি মুক্তি পাবো নিকৃষ্টদের অস্তিত্ব থেকে.... 

সকাল বেলা ১০ টার দিকে আমরা দেখলাম হসপিটালে আম্মু এসে হাজির..
~আম্মু তুমি এখানে কি করে?
~তোর বাবা ভোর বেলা ফোন করে সব বললে...নাহিয়ান ভোরে তোর আব্বুকে ফোন করেছিল...আনাফ রাত্রে সর্বপ্রথম তোর উচিত ছিলো আমাকে হসপিটালে নিয়ে আশা..কিন্তু তোদের মুখ থেকে কিছুই শুনলাম নাহ.!(আম্মু)
~আসলে আম্মু আমরা চেয়েছিলাম তোমাকে বলতে কিন্তু রাত বেশি হওয়ায় বলিনি!(নাহিয়ান)
~নাহিয়ান তুমি চুপ করে থাকো..তোমার ভাই কান্ড ঘটিয়ে উনি একাই মহৎ সাজতে চাইতেছে, মা হিসেবে কি আমাকে সর্বপ্রথম তোমাদের জানানো উচিত ছিলো!

আম্মুর কথা শুনে বুঝলাম আব্বুর কাছ থেকে শোনার জন্য সে একটু রাগ হয়ে আছে আবার অভিমানও হতে পারে...
যাইহোক, আম্মু তৃণাকে কোলে নিয়ে কেঁদে দিয়েছিলেন!
কারন সে জানেন মাতৃত্বেরর স্বাদ কিরকম,কিন্তু তৃণার ভাগ্য জন্মানোর পর থেকেই খারাপ...নিজের মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন! 
গতরাতে আমি তৃণাকে না পেলে হয়তো 😑😑😑😑😑😑.....
এভাবে ৭ দিন চলে যায়..  
হসপিটাল থেকে বাসায় চলে আসি আমরা..তবে দুর্ভাগ্য আমাদের পিছু ছাড়েনি..
তৃণার ঠান্ডা জনিত সমস্যা ধরা পড়েছিলো.. তবে ডাক্তার বলেছিলেন বয়স যখন তিন হবে তখন ওর একটা সার্জারী করাতে হবে নাহলে ভবিষ্যৎ এ সমস্যা হয়ে যাবে! 
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তৃণাকে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াতে হয়েছে...
তবে একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাকে এখনো কুড়ে কুড়ে খায়!
মানুষ সবসময় তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করে, 
মা-বাবা চেয়েছিলেন আমি যেন বিয়ে করে নেই কারন তৃণা বড় হয়ে যেন তার ভয়ংকর অতীতটা সম্পর্কে কোন ধরনের আচ না পায়....
কিন্তু আমি চাইনি জীবন সঙ্গী যে হবে সে ভুল কিছু না জানুক....মা-বাবা বলতে চেয়েছিলো তৃণার আম্মু জন্মদেয়ার সময় গত হয়েছে...কিন্তু আমি চাইনি এমনটা বলা হোক!
কারন মিথ্যা তো মিথ্যাই হয়.. 
সে অনুযায়ী মেয়ে খোঁজা হলো,
মোটামুটি অনেকের ফ্যামিলিই রাজি হয়েছিল মা-বাবার বলা কথায় কিন্তু আমি যখন তাদের সত্যিটা বলি তখন তারা আর রাজি হয়নি...একটা কথা খুব কানে বাজে--
"এই বাচ্চা কার না কার পাপের ফসল, এই পাপ আমার মেয়ের সাথে যুক্ত হোক তা কখনোই চাই নাহ"
সেদিনই ছিলো শেষবারের মতো বিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা! 
স্পষ্ট বলেছিলাম,"আমি আমার মেয়ের জন্য পুরো জীবন দিয়ে দিতে রাজি আছি,কিন্তু বিয়ে করবো নাহ" আমিই ওর মা আমিই ওর বাবা....
সেদিনের পর থেকে কেউ কোন কথা বলেনি বিয়ের ব্যাপারে....
তখন তৃণার বয়স মাত্র এক বছর!
দেখতে দেখতে আরও একটা বছর কেটে গেলো...
বর্তমানে দাড়িয়ে ভাবনার জগৎ এ শুধুই আমার মেয়ে!
গ্রাজুয়েশন শেষ করে একটা বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়াই..যদিও কাজ করি শুধু নিজের জন্যই কেননা বাবার ইনকাম দিয়ে ৩/৪ টা ফ্যামিলি ভালো মতোন চলতে পারে...
তবে লেখাপড়ার মর্যাদা রাখতে কাজ করতে হবে, সেটাই করছি!
তবে হ্যাঁ সবসময় ভাবতাম কখনো যদি তৃণার জন্মদাত্রী মায়ের সঙ্গে দেখা হতো,
তাহলে জিজ্ঞেস করতাম কেন করলেন এমনটা?
কেন করলেন একটা ঠেলে দিলেন অনিশ্চিত জীবনে?

আসলে প্রতিনিয়ত কত কত তৃণা ডাস্টবিনে,ঝোপঝাড়ে প্রাণ হারায় তা আমাদের অজানা...
প্রেম নামক অবৈধ মেলামেশার পরিনতি হিসেবে ঝড়ে যেতে হয় এরকম নবজাতককে!
এছাড়াও কত কত নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে মাতৃত্বের স্বাদ পাবার আগেই শিশুর অস্তিত্ব নষ্ট করে দেয়!
আবার অনেক নারী বন্ধুত্বের নামে প্রতারিত হয়েও সতিত্ব বিসর্জন দিয়ে দেয় ফলস্বরূপ জন্ম নেয়ার আগেই ম*রতে হয় তৃণাদের...
তবে সত্য হলো আল্লাহ কোন কোন প্রানকে বাঁচাবার জন্য প্রেরন করেন আনাফের মতো মানুষদের।

Comments

    Please login to post comment. Login