আষাঢ়ের মধ্য অবস্থান!সন্ধ্যা নামের আগ মূহুর্তে মেঘেদের ঘনঘটা, প্রকৃতির গর্জনে চারিপাশ প্রকম্পিত হচ্ছে...
অনেকের কাছে প্রকৃতির এই কাল খুব দারুণ লাগে,
কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে বিরক্তি মনে হয়।যদিও গ্রামের বাড়িতে আসলেই বিরক্তি প্রকাশ পায়.. কাঁদামাখা পথ!রাতের আধারে চারদিক নিরব.... তবে শীতকালীক গ্রাম্য পরিবেশ দুনিয়ার অন্যতম সুখকর মনে হয়...সকাল সকাল খেজুরের কাঁচা রস,কুয়াশায় আবৃত মেঠো পথ!
ও হ্যাঁ আমার সম্পর্কে একটু বলি,
আমি আনাফ,পেশায় একজন বেকার ছাত্র...মানে ঠিক তেমন লেখাপড়ায় মনোযোগ আসে নাহ!ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারে আছি, তবে ক্যাম্পাসে গ্যাঞ্জামের জন্য আলাদা খ্যাতি আছে....
বর্তমানে ফেরা যাক কেমন....
আম্মুর আবদারে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছি...তবে বলে রাখি গ্রাম্য এলাকা ঠিকই কিন্তু ৫/৬ মিনিট কাঁদা রাস্তা পেরিয়ে পাকাঁ সড়ক....
সরু পথ দু পাশে ধানক্ষেত! দারুনই লাগে, শুধু নানার বাসার সামনে ব্যাতিত...😁
তবে ভাগ্যিস কোন রকম বাইক নিয়ে যাওয়া যায়....
শেষ বিকালের দিকে মেঘেদের গর্জন,
টং দোকানে দাড়িয়ে চা খাচ্ছি....! মোটামুটি ভালোই লাগছে....
ঝড়ের দিনে এই গ্রামীণ এলাকায় প্রাইভেট কারের দেখা মিললো, একটু অবাকই হয়েছি...
তবে গাড়ি দেখে মনে হলো নিশ্চিত ঝামেলা বিদ্যমান।
তবুও সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রস্হান করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন শুনতে পাচ্ছি ---
~এরকমের ন*ষ্টামি যে আর কত কত দেখবো?
~আরে মজিদ ভাই শহরের পোলাপান মাইয়া মানুষ লইয়া আয় তো অকামের লাইগ্যাই(লোক)
~তা যা করার কর!কিন্তু কিছুদিন আগেই একটা ধর্ষণের পরে হ*ত্যা করে ফেলে গেলো একদল(মজিদ)
~কি কমু কও খোলা মাঠের ওখানে জনবসতি নেই বললেই চলে..আর ওদের কাছে যদি অস্ত্র থাকে তখন?(লোক)
~এই ভয়ের লাইগ্যাই কেউ কিছু বলতে পারে নাহ...আবার কয়েকদিন আগে একদলরে গ্রামবাসী আটকালো তারা বলে পার্টি না ফার্টি কি যেন করতে আইছে.. শহর থেইকা...তিনডা পোলা আর দুইডা মাইয়া! (মজিদ)
~হুমমমম...সেই জন্যই তো কারে ধরলে কি বলে তাই গ্রামবাসীও চুপ...
~আরে বাদ দাও তো গোল্লায় জাউক...বৃষ্টি বইন্না আইতাছে বাড়ি যাও আমিও ঘন্টা খানেক বাদে দোকান লাগামু(মজিদ)
কথাপোকথন শুনে যা বুঝলাম গ্রামের নির্দিষ্ট একটা স্হানে সামাজিক রীতির বাইরের ঘৃণিত কাজ সংঘটিত হয়...
~আচ্ছা মজিদ আঙ্কেল একটা কথা জিজ্ঞেস করি..
~বাবা কি কবা কইয়া হালাও....(মজিদ)
~আপনাদের কথা শুনে যা বুঝলাম তাতে ঐ স্হানে প্রায়ই লোকজন আসে!
~আসলে বাবা আগে প্রতিমাসে এরকম ঘটনা ঘটতো...কিন্তু তাও বছর ৫ আগের ঘটনা....এহন বছরে ২/৩ বার এরকম লোকজন আসে...অনেকে পিকনিক করতে আসে...
প্রশাসনের নজরদারি বাড়ায় শেষ বছর পাঁচ ধর্ষণ হইছে একটা..(মজিদ)
~আচ্ছা চাচা....তো জায়গাটা কতদূরে এখান থেকে?
~ ৪/৫ মাইল সোজা যাওয়ার পরে বামে মিনিট ৫ এর পথ..(মজিদ)
আর কথা না বাড়িয়ে বাইক নিয়ে রওনা হলাম..মজিদ চাচা বারোন করার পরেও কৌতুহল আর দামিয়ে রাখতে পারেনি...
সন্ধা হতে প্রায় আধ ঘন্টা বাকি...মেঘের জন্য কিছুটা সন্ধ্যা মনে হচ্ছে..
মিনিট দশেক লেগেছিলো পৌঁছাতে...
গাড়িটা সাইড করা কিন্তু লোকজন ভিতরে নেই....
কিছুদূরে ঝোপের মতো আড়াল থেকে কথা বলার আওয়াজ পেয়ে নিঃশব্দে এগিয়ে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মাথায় রক্ত উঠে যাওয়ার উপক্রম!
দুইটা ছেলে দাড়িয়ে কুকুরের মতো আচরণ করছে, পাশে একটা মেয়ে দাড়িয়ে হাসতেছে বাজে ভাবে...সামনে একটা মেয়ের মুখ, হাত বাঁধা অবস্থায়...
লুকিয়ে একটু শুনলাম....
~নিশা তোর খুব দেমাগ তাই নাহ?ক্লাস টপার তারউপর তোর বড় ভাই ক্যাডার! আমার প্রান প্রিয় দোস্ত রিসাদ তোকে প্রোপোজাল দিছিলো কিন্তু তুই ওর দেয়া ফুল পুরো ক্যাম্পাসের সামনে ওরে মুখে ছুড়ে মেরেছিলি,সাথে তোর ভাইয়ের হুমকিও দিয়েছিলি(অন্য মেয়েটি)
~রিসাদ দাড়িয়ে দেখছিস কি!তোর কাজ শুরু কর(অন্য ছেলেটি)
~আরে মামা কুল! হালকা আধারে নিশাকে দেখতে দারুণই লাগছে, দেখ কীরকম কাঁদছে... (হা হা হা)-রিসাদ
~আচ্ছা যা করার দ্রুত করে ওকে ফেলে চলে যাই জন্তু জানোয়ার ছিড়ে খাবে(মেয়েটি)
রিসাদ ততক্ষণে নিশা নামের মেয়েটির জামার হাতের অংশ ছিড়ে ফেলেছে....
হাতের কাছে থাকা একটা লাঠি ভাঙলাম...ওরা শব্দ পেয়ে ফোনের টর্চ মারতেছে....চারপাশে খুঁজতেছে....
কিন্তু ওরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিসাদ নামক ছেলেটির মাথায় আঘাত করলাম..সাথের ছেলেটির কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে আমাকে আঘাত করা চেষ্টা করে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি....
আমার বাম হাতের তালু কেটে গেছে।সেদিকে তোয়াক্কা না করে হাতে লাঠি দিয়ে ওর পায়ে সজোরে আঘাত করলাম...
ওদের দুজনকেই কাবু করে ফেলতে সক্ষম হই...সাথের মেয়েটিকে কশিয়ে থাপ্পড় দেই দুইটা....
নিশার হাতের এবং মুখের বাধন খুলে দিতেই কেঁদে দিয়েছে সাথে চোখ মুখে ভয় যেটা স্বাভাবিক....
কুকুরগুলোকে ওখানে রেখে যেতে হয়েছে কারন নিশার অবস্থা খুব একটা ভালো নাহ....
এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলেই প্যানিক অ্যাটাক করবে।
বললাম--
~আর ভয়ের কিছু নেই আপনার... আমাকে ভরশা করে সাথে আসুন...
নিশা কিছু বলে বাইকে উঠলো....
ঘুটঘুটে অন্ধকার আকাশে বিজলি চমকাচ্ছে...ভাগ্যিস বৃষ্টি আসেনি!হাতের রক্ত থামাতে সক্ষম হয়েছিলাম গায়ে থাকা টি-শার্টের কল্যানে।নানুদের বাসায় পৌছাতে পৌঁছাতে রাত প্রায় আটটা!
~আনাফ!এ কি অবস্থা তোমার হাতে টি-শার্ট প্যচানো..সাদা টি-শার্ট লাল হয়ে আছে....কি হয়েছে তোমার?(আম্মু হাত কাটা দেখে অবস্থা খারাপ)
~আম্মু কুল...আমি ঠিক আছি ওনাকে আগে পানি দাও....অরনির একটা ড্রেস দাও!
~আচ্ছা বাবা বুঝলাম কিন্তু মেয়েটা কে?(আম্মু)
~আম্মু প্রশ্নগুলো পরে করো! সব বলবো আগে যেটা বলছি সেটা করো...
আর অরনিকে দ্রুত ডাকো হাতে ব্যান্ডেজ করতে হবে...
আম্মু আর প্রশ্ন না করে নিশাকে ড্রেস চেইঞ্জের জন্য নিয়ে গেলো...
~আচ্ছা ভাইয়া এই সুন্দরী আপুটাকে কই পেলি?আর তোর হাত কাটলো কীভাবে? আর আপুটার অবস্থা এমন কেন?(অরনি)
~সব বলবো আগে হাতে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে দে.. ফার্মিসিও অফ তো সেলাইও এখন করানো যাবে নাহ...
(অরনি আমার খালাতো বোন, ক্লাস টেনে পরে কিন্তু যথেষ্ট প্যারা দেয়)
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পরে পরিবারের সবাই একসাথে আসলো..সকলকে বললাম যতটা আমি দেখেছি......
~আচ্ছা নিশা মা! ওরা আসলে কারা? আর কেনই বা এরকম করতে চাইলো?(আম্মু)
~আন্টি ওদের মধ্যে দুইজন আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড রিক এবং এনায়া..
এনায়ার স্কুল লাইফের বেষ্টফ্রেন্ড রিসাদ!রিসাদ আমাদের কলেজের স্টুডেন্ট নয়..এনায়ার বাসায় বার্থডে পার্টিতে গিয়ে রিসাদের সাথে পরিচিত হই!যেহেতু সেম ব্যাচের তাই রিসাদের সাথেও বন্ধুত্বের মতোন সম্পর্ক হয় মাঝে মাঝে টেক্সটে কথা হইতো, হঠাৎ একদিন রিসাদ ক্যাম্পাসে এসে প্রোপোজাল দেয় কিন্তু সেখানে রিসাদকে অপমান করায় আমার অজান্তেই ওদের আমার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়...ঘটনা প্রায় ৬/৭ মাস আগের...ওরা আমাকে বলে পিকনিকে যাবে,এনায়া ও রিকির জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যাই..রিসাদের ফ্যামিল আমেরিকায় সেটেলন্ড তাই রিসাদের গাড়ি করেই আমরা যাত্রা শুরু করি..তবে ওরা জানায়নি যে রিসাদের গাড়ি....তারপরের ঘটনা (বলতে গিয়ে নিশা কেঁদে দিয়েছে)
~আচ্ছা মা কান্নাকাটি করতে হবে নাহ..আল্লাহর রহমতে তোমার বড় কোন ক্ষতি হবার আগেই রক্ষা পেয়েছো..(আম্মু)
~আচ্ছা অনেক কথা হয়েছে এবার সবাই স্যাড মুড থেকে একটু রিভার্স করো..প্রচুর ক্ষুধা পেয়েছে খেতে আসো সবাই!আর নিশা তোমার কোন টেনশন নেই তোমার বাসার ফোন নম্বর দাও আমরা কথা বলে নিবো..আর কালকে সকালে ঢাকা ব্যাক করো কেমন...সাথে আনাফ যাবে(মামা)
~সাথে আমিও যাবো(আম্মু)
~আপা তুই আর কয়টা দিন থেকে যা(মামা)
~ভাইয়া নিশাকে বাসায় পৌঁছে দিতে হবে আর আনাফের হাতেও চোট তাই আমাকেও যেতে হবে...(আম্মু)
~আচ্ছা তাহলে আর কি বলার...(মামা)
সকালে সকলের থেকে বিদায় নিয়ে গন্তব্য শহর!বাইক মামাকে পৌঁছে দিতে বলে চলে আসলাম ঢাকার যানজট পূর্ন শহরে...
আসতে আসতে বিকাল!
বৃষ্টির সময় শহরে বেশ ভালোই বিশৃঙ্খল পরিবেশ..
সরাসরি আমাদের বাসায় গেলাম..ফ্রেশ না হয়ে সরাসরি নিশাদের বাসায় যাওয়া ঠিক হবে নাহ সাথে ব্যাকপ্যাক ছিলো ভালোই..
সন্ধায় নিশাদের বাসায় গেলাম আম্মুর সাথে আমাকেও যেতে হয়েছে!
নিশা চিন্তায় ও ভয়ে পুরো বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে নিশার পরিবার খুব কষ্টই পেয়েছে যদিও স্বাভাবিক ঘটনা! গতকাল রাতে তারা আমাদের নানুর বাসায় যেতে চেয়েছিল কিন্তু আম্মুর কথায় তারা আর যায়নি..
~বাবা তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দিবো আমাদের জানা নেই..তোমাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো(নিশার আম্মু)
~আন্টি এভাবে বলে লজ্জা দিবেন নাহ...মানুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিলো...আর নিশার যায়গায় আমার বোন থাকলে সেম কাজটাই করতাম..
~আচ্ছা ছোট ভাই ঠিক আছে.. কিন্তু রাত্রে না খেয়ে তোমাদের যেতে দিচ্ছি নাহ এটাই ফাইনাল..(নিশার বড় ভাই)
~আচ্ছা ভাইয়া...
নিশার ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সে পুলিশ ক্যাডারে আছেন...নিশাদের পরিবারের বন্ডিংটা বেশ দারুণ যা বুঝলাম...
যৌথ পরিবার একসাথে.।নিশার চাচা আর বাবা দুই ভাই একসাথেই বিজনেস করেন।এক কথায় বলতে গেলে বেশ দারুণ...
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১০ টা ৩০ বেজে গিয়েছি...
ও হ্যাঁ বলে রাখি, আমরা পরিবারে চারজন সদস্য!কিন্তু বর্তমানে আমরা বাসায় শুধু দুজই থাকি!
বাবা সপ্তাহে দুই বা তিনদিন আসেন ঢাকাতে, বাবার চট্টগ্রামে থাকেন..
গার্মেন্টসের ৬০% মালিকানা আমাদের তাই তার সবকিছু দেখাশোনা করতে বেশিরভাগ সময়ই সেখানে থাকতে হয়...
আর আমার বড় ভাই থাকেন পুরো পরিবার নিয়ে লন্ডনে..ভাইয়া আমার থেকে মাত্র ২ বছরের বড়! বছরে ২/১ বার ভাইয়ার সাথে দেখা হয়...পরিবার সম্পর্কে পরে বলা যাবে 😁
বর্তমানে ফিরি,
~আম্মু এক কাপ কফি নিয়ে আসো তো!
~আনাফ তোমার রাত্রে কফি না খেলে হয় নাহ?(আম্মু)
~আম্মু তুমিই গড়েছো এই অভ্যাস,সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি রাত্রে কফি না খেয়ে তুমি ঘুমাতে নাহ!
~ঐ এখন তো খাই নাহ!(আম্মু)
~এখন তো তুমি বুড়ো হয়ে গেছো তাই বাদ দিছো (একটু ক্ষেপানোর চেষ্টা)
~আনাফ ৫০ বছর এখনও হয়নি আমার যথেষ্ট স্ট্র আছি.. বুড়ো বলা বাদ দে নাহলে কিন্তু কফি পাবি নাহ.(আম্মু)
কিছুক্ষণ বাদে আম্মু দু টো কফির মগ নিয়ে হাজির!
~আমি তো এক কাপ কফি চাইলাম!দু কাপ কে খাবে?
~মিষ্টার আনাফের আম্মু খাবে!
~ওয়াও!(বলে জোরেই হাসতেছি)
~হাসবিনা আনাফ..তুই জানিস কফি আমার কত প্রিয়.. কিন্তু লাস্ট ৬ মাস খাইনি ঝোলার ডাক্তারের কথায়.. এখন আর এসব চলবে নাহ...
খাইয়া মরাও শান্তি (আম্মু)
~ওক্কে...চলো ছাঁদে যাই!
~বলদ...বাইরে বৃষ্টি, এটা শীতকাল নয় (আম্মু)
~ধুরররর! কতদিন পরে একসাথে খাচ্ছি তাও মন মতো হলো নাহ...
~আচ্ছা আনাফ তুই বিয়ে করে নে! (আম্মু)
~হঠাৎ এই কথা কি জন্য? তুমি জানো নাহ আমার গ্রাজুয়েশন এখনও কম্পিলিট হয়নি..
~তোর আর গ্রাজুয়েশন হবে নাহ বাবা!দুই বার ফেল মেরে ফাইনাল ইয়ারে উঠেছিস(আম্মু)
~আম্মু ফেল মারছি কেন তা তো তুমি জানোই.. আবার খোঁচা দাও?
~একবার নাহয় ঠ্যাং ভেঙে শুয়ে ছিলি!কিন্তু পরে থার্ড ইয়ারে ফেল করলি কেন? তুই আমার ছেলে হয়ে ফেল করিস তাও কার জন্য যে মেয়ে তোর সাথে চিট করছে তার জন্য!হাস্যকর (আম্মু)
~আম্মু!ঐ ছলনাময়ী জিনিয়ার কথা আবার উঠাইলা!
~কেন বাবা? কষ্টহয়(হেসে হেঁসে)
~আরে নাহ....মেজাজ খারাপ হয়!
~তাইতো বলি বিয়েটা করাইয়া দেই...রাজি হয়ে যা(আম্মু)
~আচ্ছা আম্মু ফাইনাল ইয়ার শেষ করি তারপর ওকে?
~ওকে...কফি শেষ ঘুমাতে যা..আজকে সারাদিন জার্নি করে আসছিস আর তোর হাতেও ব্যান্ডেজ ভুলে যাস নাহ...(আম্মু)
~হুমমমম! তুমিও যাও ঘুমাও..জেগে থেকো নাহ....
~হুমমমম...রাত ১১ টা ৩০ বাজে আপনার ড্যাডের কল আসবে কথা বলে তারপর...(আম্মু)
~এ আর নতুন কি!গেলাম গুড নাইট....
শুনতে হাস্যকর বা আজব লাগলেও এটা সত্যি সেই মুঠোফোন আবিষ্কারের পর থেকে এখনও রুটিন বাবা ফলো করেন..!মানে বাবা রোজ ১১ঃ৩০ এ আম্মুকে কল দিবেই...তাতে সারাদিনে যতবার কথা হোক....তাদের ভালোবাসা এখনও কত জীবন্ত...
আর বর্তমান সময়ে ভালোবাসার পরবর্তন হয়ে নাম হয়েছে "চাহিদা"
অপর প্রান্তে নিশা ভাবছে--
~এরকম মানুষই তো জীবনে আশাটা সবচেয়ে সৌভাগ্যের!সে যদি আমার পাশে সারাজীবন থাকতো............
To be continue.....