অবনী তোমাকে ছাড়া বেশ আছি,
বারটি বছর সেই আগের মতই আছি,
এখনো নদীর পাড়ের রাস্তা পেরিয়ে
শীতের সকালে শিশির- ঘাসের সংসার মাড়িয়ে
বকুল কাকার চায়ে চমুক দিয়ে আসি,
অবনী তোমাকে ছাড়া বেশ আছি।
বিদ্যা-নন্দনের মুল ফটকের দিকে চেয়ে মাথা নেড়ে হাসি।
বারটি বছর অবনী বেশ আছি
মকবুল চাচা গত হয়েছে ,
ভেঙ্গে গেছে চিনাবাদামের দোকান কাল বৈশাখির ঝড়ে,
মনে আছে কিনা জানিনা তোমার, আমার স্মৃতির বটগাছটা উঠেছে বেড়ে।
সেখানে কিঞ্চিত তোমাকে মনে পড়ে
আজলা নদীটি শুকিয়ে গেছে,নাও চলে না আর
ভিখু মাঝি স্বপ্ন দেখে, থৈ থৈ জলে নাও চলেছে আবার।
ভেলায় চড়ে আমিও দেই পাড়ি
তারপরেই খেসারির মাঠে গড়াগড়ি।
অবশেষে উস্কুখুস্কু চুলে খড়খড়ি ওঠা দেহে বাড়ি ফিরি
অবনী তোমাকে ছাড়া এইতো বেশ আছি।