Posts

গল্প

অভূতপূর্ব

September 25, 2024

সর্দার ইমাম

68
View

বিয়ে ছাড়াই নীলার সাথে থাকছি গত তিনমাস।অথচ  নীলার বাবা-মা একসময় নীলাকে বিয়েই দিতে চায় নি,আমার কাছে।

এখন আমি কখন,কিভাবে নীলার রুমে আসা-যাওয়া করি সেটা কেউ টের-ই পায়না।

একসময় আমাকে এ গলির আশেপাশে দেখলেই মারতে ধরতো নীলার বড় ভাই।আর এখন তো তার নাকের ওপর দিয়ে নীলার রুমে আসা যাওয়া করি।গর্দভটা বুঝতেই পারে না।

নীলা খাবার খায়,আমি হা করে তাকিয়ে থাকি।নীলা ঘুমায়,আমি চুপ করে পাশে বসে থাকি।আমার সামনে বসে নীলা নতুন প্রেম করে,আমি নীলার প্রেমালাপ শুনি।

আমি নীলাকে খুব বেশিই ফিল করি।নীলা যে করেনা,তাও কিন্তু না।প্রায় আচমকিত চোখে তাকায় আমার দিকে।হয়তোবা ভয়ে তাকায়।কিন্তু,আমি সে চোখে ভয় দেখিনা।পুরোনো প্রেম দেখি।দেখি অপরুপ এক জোড় মায়াকাজল চোখ।

নীলার পুঁটিমাছের মতন চোখ।রসগোল্লার মতন মিষ্টি নাক।রক্তের মতন টকটকে লাল ঠোঁট।নরম হাড়ের মতন কুড়মুড়ে শরীর।প্রায় ইচ্ছে করে নীলাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি কিংবা টুক করে ঘাড় মটকে দেই।কিন্তু পারিনা।

বন বাদাড়ে একা একা পড়ে থেকে জনম বিষিয়ে ওঠেছিল।তারপর-ই হঠাৎ একদিন গোরস্থানের দিকে হাঁটতে গিয়েছিল নীলা।আর তখনি তাকে পুনরায় দেখেছিলাম।

মরার পরে—প্রথম যেদিন নীলাকে দেখেছিলাম,সেদিন-ই বুঝেছিলাম আমার জন্যে আর প্রেতাত্মার রাজ্য নয়।যার ভালোবাসার জন্য আত্মহত্যা  করেছিলাম,সেই তো বেঁচে আছে।তাহলে আমি আর গোরস্থানে পড়ে থাকবো কেন?

ভেবেছিলাম আমার অভাবে নীলার জীবনে বুঝি জ্যাম লেগে আছে।কিন্তু,না আসার পড়ে বুঝলাম আমিই আসলে জ্যাম ছিলাম।আমি যাবার পর,নীলার জীবন এখন বুলেট গতির ট্রেন।

আজকাল কেমন জানি কানাঘুষা করছে সবাই।হয়তো আমার উপস্থিতি টের পেয়ে গেছে।নীলা ও দেখি ওঠে পড়ে লেগেছে,ঝাঁড়-ফুঁক লাগবেই লাগবে তার।আমাকে না তাড়িয়ে তার দেখি শান্তি নেই।ঘুম নেই।

কথা ছিল একসাথে বাঁচবো,নয়তো মরবো।একাই মরেছি।ভাবতেছি,এবার ও যদি তাড়িয়েই দেয়।তবে যাবার বেলায় একদম ঘাড় মটকে সাথে করে নিয়ে যাবো,হুম।

 

Comments

    Please login to post comment. Login