জীবনের পথিক, কে তুমি?
জন্মের প্রান্তে দাঁড়িয়ে, তুমি কি দেখেছো ছায়া?
অন্ধকারের আলোতে, তুমি কি দেখেছো আশার ক্ষুদ্র আলো?
মৃত্যু কি তবে শেষ, না নতুন শুরুর মর্মর শব্দ?
জন্ম, এক মহাসমুদ্রের ঢেউ,
যেখানে আমরা ভেসে যাই, সময়ের স্রোতে।
কখনো পূর্ণিমার আলোতে, কখনো অমাবস্যার অন্ধকারে,
এই জীবন কি তবে স্রেফ এক স্বপ্ন, না গভীর সত্যের আড়াল?
মৃত্যু কি তবে সেই বিশ্রাম, যেখানে সব প্রশ্ন থেমে যায়?
নাকি মৃত্যুই সেই দরজা, যেখান থেকে শুরু হয় নতুন যাত্রা?
জীবনকে আমরা আঁকড়ে ধরি, যেন সেটাই সবকিছু,
কিন্তু মৃত্যু এসে মৃদু হাসে, বলে—এখনো কিছুই শেষ হয়নি।
সময়ের চক্রে, আমরা বারে বারে ফিরি,
জন্ম-মৃত্যুর এই খেলা, শেষ হবে কোথায়?
দেহ হারিয়ে যায়, কিন্তু আত্মা কি অবিনশ্বর?
শূন্য থেকে শূন্যে ফেরা, এই তবে আমাদের নিয়তি?
হয়তো জীবন, মৃত্যু—সবই এক মহা নাটক,
আমরা সবাই সেই নাটকের ক্ষণিক চরিত্র মাত্র।
তবে শেষ পর্যন্ত, কে জানে,
আমাদের আসল পরিচয় কি—তুমি, আমি, অথবা এক শূন্যতা?
নিজের কাছেই প্রশ্ন করি, উত্তর খুঁজি,
এই চক্র কি অনন্ত, নাকি শেষেরও আছে শেষ?