জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ নতুনভাবে জেগেছে। একটা প্রজন্ম আওয়ামী রেজিমের বিরোধীতা করছে। তাদের পতন ঘটিয়েছে। তবুও ডিপ্রেশন কমছে না। যে সকল তরুণরা জুলাই বিপ্লবে রাজপথ কাঁপিয়েছে তারা নতুনভাবে ডিপ্রেশনে পড়তেসে। এ্যাকাডেমিক ডিপ্রেশন, পারিবারিক ডিপ্রেশন, অর্থনৈতিক ডিপ্রেশন, রাজনৈতিক ডিপ্রেশন তথা সামাজিক ডিপ্রেশন। কেন এই ডিপ্রেশন?
এই ডিপ্রেশনের কারন খুঁজতে গেলে আপনাকে ফিরে দেখতে হবে আওয়ামী রেজিমের দীর্ঘ সতেরো বছরের শোষণ। গত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী পিরিয়ড তরুণদের মগজকে বিকৃত করে দিয়েছে। এখনো কেউ মুক্ত চিন্তা করতে পারছে না। তরুণদের মধ্যে হাসিনা ভীতি পুরোপুরো দূর হয় নাই। দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণরা অত্যাচারিত হয়েছে। মার খেয়েছে। ১৭ বছরে যারা মুক্ত চিন্তা করতে চাইতো আওয়ামী রেজিম তাদের চিন্তা ভাবনায় একটা বাউন্ডারি বানাইয়া দিসে। ফলে এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহনে তরুণরা কোন কনসেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না। রাজনীতিকে হাসিনা এতটা জঘন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; যে রাজনীতি করাটাই দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক কাঠামোকে হাসিনা ধ্বংস করে দিসে। কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। সামাজিক কাঠামো ধ্বংস করে দিসে। সমাজকে বিভাজিত করেছে। সেই বিভাজিত সমাজে এখনো ফ্যাসিবাদ বিদ্যমান। হাসিনা সংস্কৃতি বিক্রি করে দিসে বিদেশিদের কাছে। ভারতীয় ও কোরিয়ান সংস্কৃতিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে। তাই আমাদের সংস্কৃতিতে এখনো ফ্যাসিস্টদের আধিপত্য। মোদ্দা কথা হাসিনার ১৭ বছরের শোষনে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ শুধু ডিপ্রেশনেই থেকেছে। তাদের মধ্যে ভয় কাজ করতো। আয়নাঘরের ভয়। পুলিশের ভয়। আওয়ামী রেজিমের নেতাদের ভয়। এই ভয়কে আমি ডিপ্রেশন হিসেবেই দেখি।
জুলাই বিপ্লবের পরও শেখ হাসিনার ম্যাডনেস ও ক্রেজিনেসে সায় দিয়ে আওয়ামী রেজিম অনলাইন ও অফলাইনে রাজনৈতিক কন্সপিরেসি তৈরি করে যাচ্ছে। তাদের এইসব কর্মকান্ড জনগণকে বিভ্রান্ত করে। এই বিভ্রান্তিতে এক প্রকার গণহতাশা তৈরি হয় জনগণের মাঝে। জনগণের এই হতাশা ও আওয়ামী রেজিমের ভয়ের সংস্কৃতিই সামাজিক ডিপ্রেশন।
তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আওহ্বান ফ্যাসিবাদী সমাজকে উপ্রে ফেলে বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে ১৭ বছরের গণহতাশা দূর করতে হবে। এই গণহতাশা দূর করতে না পারলে সামাজিক ডিপ্রেশন আরও বাড়বে। তাই আমি মনে করি ফ্যাসিবাদী ডিপ্রেশন ও গণহতাশা দূর করতে হলে আওয়ামী রেজিমকে স্বমূলে উৎখাত প্রয়োজন।
#রকিমেরাজ