জুলাই নৈরাজ্যে ব্যক্তিগত ছোট একটা ক্ষতি হয়েছে-আমি পড়ার,লেখার সবধরনের মনোযোগ হারিয়েছি।আমার ভেতর সর্বদা একধরনের হাহাকার কাজ করে,মনে হয় দেশটা আবার সুস্থ হবে তো!নানাজনের নানা ঠাট্টামশকরা,ঘাড় বাঁকানো কথা পড়ি আর ভাবি সত্যিই মানুষ এত বেকুব,না ডিনায়ালের ভেতর আছে!
সন্ধ্যায় চোখে লেগে এসেছিলো,তখন মাথার ভেতর ছাড়াছাড়া অক্ষরদের হাঁটতে দেখলাম...
দীর্ঘ এক পথে হাঁটছিলাম,যেন যাদু বাস্তবতার প্রহর সেখানে ঝুলে আছে থোকা থোকা হয়ে।
অনেকে বদলে যাওয়ার গান গেয়ে রক্তস্নানে মেতে উঠেছে পথের ধারে ধারে,
কেউ বা হ্যান্ডমাইক হাতে সেই লালে পা ডুবিয়ে হাসছে,বলছে ওরা নির্বাচিত হলেও আমাদের অপছন্দের ছিল,
ওদের নিক্ষেপ করো মৃত্যুকূপে কিংবা অন্ধকার কোন কারাগারে।
নারীরা কেউ কেউ বলছিলো আমরা তো বদলের ছাপে এঁকেছিলাম ট্যাটু,
আমাদের কেন বন্দীত্বের ছায়ায় আটকে দেয়া হলো তাহলে এ পরিবর্তন সঠিক কতটুকু!
তুমি রিসেট বাটনের পক্ষে অথবা তুমি আমার শত্রু,তোমার জন্যে জেল জুলুম হত্যা গুম,
খুব মিহি স্বরে সুবিধাবাদী স্বর্ণলতা সদৃশ আগাছারা মাথা তুলে বলে উঠে পনেরো বছর চুপ ছিলাম,এখন ধর্মের নামে মারব আর তলোয়ার খাপে ভরে অভিনয়ে বলব লাকুম দি নুকুম।
এত ক্লান্ত আমার চোখের পাতায় চাপাতির ছায়া,পায়ে বেঁধে যাচ্ছিলো অচেনা মানুষের মৃতদেহ আর জীবনের বিনিময়ে মুখে ওঠা ভাতের গ্রাস,
এই পরাবাস্তব সময়ে একবার তোফাজ্জল একবার শামীম হবার আগেই শুধু ওদের নিজেদের স্নাইপারে মৃত সাঈদ বা মুগ্ধ মুগ্ধ বলে আহাজারি করতে থাকে কিছু উন্মাদ নারী-আমি হাঁটি,উলটে পালটে দেখি ইট কাঠ পাথর নগর প্রহরার পুলিশের ছাই-আমাদের সব ভেসে গিয়েছে লোভের হোমানলে,গুচ্ছ গুচ্ছ মাথা দেখা যায় কোথাও কোন মানুষ নাই।আমি আসল চিনি হাতে নিয়ে জিম মরিসনের সাইকাডেলিক রকে কান গুঁজে দিতেই মার্ক জাকারবার্গের করা তামাশায় দেখতে পাই মূর্খেরা বৃত্ত করে নাচছে,ঐদিকে শরীয়ার কোপে ছিন্নভিন্ন মানব শিশুর ইহকাল পরকাল।নরকের দরোজায় খিল দেব এ সময় পাবো কি পাবো না ভেবে আমি পাশের নারীর হাত ধরে দাঁড়াই নিরাশার স্তূপে বারুদ ঠোঁটে-মরতে হলে লড়াইয়ে মরণ করব বরণ,এ বার্তা পৌঁছে যাক ভূত থেকে ভূতে।