বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরা ন্যায় অন্যায়, হালাল হারাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে। এরা নিজেরা ভাল না হয়ে। অন্যকে ভাল হওয়ার উপদেশ দিতে পছন্দ করে। এরা নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্মকে হাতিয়ার বানায়।
আমি মনে করি ধর্ম যখন দূর্বল হয়ে যায়, তখন সেটা রাজনীতি হিসেবে প্রকাশ পায়। ইসলামপন্থীরা রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জেনে বুঝে ধর্মকে রাজনীতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। এটা যে কত বড় অন্যায় সেটা তারা একবারও বিবেচনা করে না। স্কুল কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেগুলোর হাতে সাদা কালো পতাকা তুলে দিয়ে ইসলামপন্থীরা জেনে বুঝে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে জনমনে।
ইসলামপন্থীদের এমন উগ্রতা ও মৌলবাদী চিন্তা মুসলমানদের মনে ধর্মীসাম্যাবস্থা তৈরিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না উল্টো তাদের ইসলামফোবিক করে রাখে।
অপরদিকে বিএনপি ইসলামপন্থী কোন রাজনৈতিক দল না হয়েও প্রতিটা ধর্মের মূল্যবোধে গুরুত্ব দেয়। তাদের রাজনীতিতে ইসলামি মূল্যবোধের ধারণা স্পষ্ট। ধর্মের ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট সচেতন। তাদের স্লোগান "ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার "
বাংলাদেশ কোন গোত্রবাদী রাষ্ট্র নয়। এখানে রাজনীতি করতে হলে সকল ধর্মের মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে।বিএনপি যেটা করে আসতেসে যুগ যুগ ধরে।
তাই এখনো বাংলাদেশের জেনুইন ধার্মিক মানুষদের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক প্লাটফর্ম বিএনপি। আবুল মনসুর আহমেদ আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর বইতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটা কথা বলেছিলেন। 'আমাদের দরকার গণতন্ত্র। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি নয়।' গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনীতিতে ধর্মকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে প্রভাবক হিসেবে। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী রাজনীতি দিয়ে কখনোই আমাদের গণতন্ত্রের রক্ষা হবে না।
নতুন বাংলাদেশে যেমন ইসলামপন্থী রাজনীতির ভাত হবে না। তেমনি সেক্যুলারদেরও জায়গা হবে না। গণতন্ত্র ও ধর্মীয় সাম্যাবস্থা রক্ষা করতে হলে জনগণকে বিএনপির কাছে আসতে হবে। তবেই নতুন বাংলাদেশ জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে পারবে ও রাজনৈতিক ভাবে ভাবে পরিবর্তিত হতে পারবে। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।