ট্যাগিং এর রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে সামাজিক বিভাজনও বন্ধ করতে হবে। বিভাজিত সমাজ কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। জুলাই বিপ্লবে আমরা যে জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেটা রক্ষা করতে হবে আপনাদের।
ট্যাগিং এর রাজনীতি সমাজকে বিভাজিত করে ফেললে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি পলিটিক্যাল স্পেস পাবে। তাদের পলিটিক্যাল স্পেস দেয়া যাবে না। তাদের পলিটিক্যাল স্পেস দিলে বিপ্লব ব্যার্থ হবে।
ইসলামপন্থীদের বুঝতে হবে জাতিরাষ্ট্রের কাঠামোতে ইসলামি শরীয়াহ বাস্তবায়ন অসম্ভব। তবে তারা যে মাকাসিদ - উশ শরিয়াহ র কথা বলে অর্থাৎ জান-মালের নিরাপত্তা। সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব। কিন্তু ৫ ই আগস্টের পর মাজার ভাঙা প্রকল্প ও কালেমা খচিত সাদা কালো পতাকা নিয়ে তাঁরা যে ইসলামোফোবিয়া তৈরি করছে। সেটার জন্য তাদের দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা সম্ভব নয়। ইসলাম পন্থীদের মধ্যপন্থী ও লিবারেল মানুষজন ভয় পায়। ইসলাম পন্থীদের হাতে দেশকে তারা অনিরাপদও ভাবে।
জনাব তারেক রহমান ও বিএনপিকেই জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটতে হবে। কেননা বিএনপির ধর্মীয় সাম্যাবস্থানের রাজনীতি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও বিএনপি বহুত্ববাদী রাজনৈতিক দল। উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান ডানপন্থীদের বামে ও বামপন্থীদের ডানে। এটাকে আমি রাজনৈতিক সাম্যাবস্থানও মনে করি।
জুলাই বিপ্লবের সফলতা ও ব্যর্থতা আমি নিজ হাতে লিখতে চাই। আমি জুলাই বিপ্লবের আদর্শকে বাংলাদেশে টিকিয়ে রাখতে চাই ও বিভাজিত সমাজের জাতীয় ঐক্য চাই। তাই আমি মনে করি জনাব তারেক রহমান ও বিএনপিকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে হবে। জনাব তারেক রহমান ও বিএনপিই পারে আগামীর নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও পুন:অর্জিত স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে।
দীর্ঘদিন জনাব তারেক রহমানকে আওয়ামী মিডিয়া সন্ত্রাস জনগণের কাছে ভিলেন রুপে হাজির করলেও উনি বিচলিত ছিলেন না। উনি গোপনে কাজ করে গেছেন। বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে জনাব তারেক রহমানের কথা ও কাজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। শুধু আমাকেই নয় বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উনার প্রতি মুগ্ধতা রীতিমতো দ্যুতি ছড়াচ্ছে।
কেবল জনাব তারেক রহমানের ম্যাজিক নেতৃত্ব ও বুদ্ধিদৃপ্ত রাজনীতি জুলাই বিপ্লবকে ধারন করে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে পারে নতুন বাংলাদেশে।