আপনি কেন আর্মিতে যোগ দিতে চান?
-কারণ আমি আর্মিতে যোগ দিলে এর মাধ্যমে গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে পারব।
এ ছিল এক আর্মিতে যোগ দিতে চাওয়া তরুণের ইন্টারভিউতে দেয়া উত্তর এবং অতি অবশ্যই সেই তরুণ বীরদর্পে আর্মিতে যোগ দিতে পারেন।এ অবস্থা সেই ২০০১ থেকে চলমান। যাই হোক আসেন একটু হাদীসের আলোকে জানি what is this precious গাজওয়াতুল হিন্দ-
'আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি,রাসূল (স:) বলেছেন নিশ্চয়ই জান্নাতের দরজাসমূহ তরবারির ছায়ার নিচে।[সহিহ মুসলিম:হাদিস নং ১৯০২]
খেলাফতে রাশেদা ও খেলাফতে বনু উমাইয়ার সময় মুজাহিদ বাহিনী আরবের সীমানা ছাড়িয়ে আজমে প্রবেশ করে।সকল যুদ্ধ যা রাসুল (স:) এর জীবদ্দশায় সংঘটিত হয়েছে এগুলো হলো বাস্তবায়িত গাজওয়াহ।অন্যদিকে মুহাদ্দিসীন এবং সীরাত গবেষকদের মতে যেসব যুদ্ধে নবী (স:) সশরীরে অংশগ্রহণ করেননি সেগুলো হলো সারিয়া।আবু হুরাইরা বর্ণনা করেন "রাসূল(স:) ইরশাদ করেন,কিয়ামতের পূর্বে তোমরা ছোট চোখ,লালবর্ণের,সমতল নাকবিশিষ্ট তুর্কিদের সাথে যুদ্ধ করবে।তাদের চেহারা সম্ভবত চিনে ফেলেছো।ঐ সময় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ তোমরা সমন জাতির সাথে যুদ্ধ না করবে,যাদের জুতা হবে পশমের।"
এ যুদ্ধে অনেকে মারা যাবে।এক তৃতীয়াংশ মুসলিম বেঁচে থাকবে তারা ইস্তাম্বুল দখল করবে।আবু হুরাইরার মতে নবী(স:) তাঁর উম্মতদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দের ওয়াদা করেছেন।নবী(স:) এর আজাদকৃত গোলাম হজরত সাওবান(র:) হাদিসে বলেন যে নবী(স:) বলেছেন আমার উম্মতের মাঝে দুটি এমন দল হবে যাদেরকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।একদল যারা হিন্দুস্থানে অভিযান চালাবে আর অপর দল ঈসা ইবনে মারিয়াম(আ:) এর সঙ্গী হবে।
আবু হুরাইরা (র:) থেকে বর্ণিত,নবীজী আলোচনা করলেন এবং বললেন,"অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।আল্লাহ ঐ মুজাহিদদেরকে বিজয় দান করবেন।এমন কি ঐ মুজাহিদরা হিন্দু শাসকদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে বন্দী করে নিয়ে আসবে।এই মহান জিহাদের বরকতে ঐ মুজাহিদদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।অতঃপর যখন সেই বিজয় আসবে তখন ঈসা(আ:) কে সিরিয়াতে পাবে।"
এই বর্ণনার বিষয়বস্তু হলো নবী প্রেম,নবীজীর সাথে সাহাবীদের মহব্বত,নবীজীর সততার উপর সাহাবাদের বিশ্বাস,সিন্দ(পাকিস্তান) এর অস্তিত্ব,হিন্দুস্থানের অস্তিত্ব।সিন্দ আরবের পাশে এবং তার উপর আক্রমণ হবে গাজওয়াতুল হিন্দেরও পূর্বে,সিন্দ ও হিন্দ থাকবে কাফিরদের দখলে।হিন্দু ও ইহুদী হলো মুসলমানের শত্রু।
এত বাক্য যে লিখলাম এগুলা সব হলো আবু হুরাইরা বা আবদু শামস এর হাদিস।এখন এ জিনিস পড়ে আপনি ঢাকা কলেজ,আইডিয়াল কলেজ,জগন্নাথ কলেজ,নটরডেম থেকে বের হয়ে যদি ভাবেন নরেন্দ্র মোদিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাঁটাবেন ভাবতেই পারেন।কারণ আমরা জানি গাঁজার নৌকা পাহাড়তলি যায়।এসব হাদিস তৈরী করা হয়েছিলো আব্বাসীয় ও উমাইয়া খিলাফতকালীন সময় ভারতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে।
হাদিসের একশ একরকমের ফের আছে আমরা সবাই জানি।এখন যেটা বললে জোশ আসে,ভোটের রাজনীতি সহজ হয় সেটাই অনেকে বলে আর কি! কে না জানে বিনা আয়াসে বিনা পরিশ্রমে অর্থ সম্মান বিত্ত ক্ষমতা সব পাওয়া যায় ধর্ম ব্যবসায়।
আমি কিন্তু কিছু বলি নাই-নিজেরাই বলে যাচ্ছে ১৫ হিজরিতে ওসমান বিন আবুল আছের এর নেতৃত্বে হিন্দুস্থানের থানা (মুম্বাই),ব্রুছ(গুজরাট) ও দেবল বন্দর (করাচী) এ সফল অভিযান হয়েছে।সুতরাং গাজওয়াতুল হিন্দ হয়ে গিয়েছে।এ সময় শ্রীলঙ্কা মানে সরনদীপ অভিযানও হয়েছে।৫ম শতাব্দীতে গজনীর সুলতান মাহমুদ হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন।ভারতের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরের সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন।তারপর বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন।
এই হাদিস বাহিনী আবার বলে যাচ্ছে গাজওয়াতুল হিন্দ কেয়ামতের পূর্বে সংঘটিত হবে ইমাম মাহাদির মাধ্যমে,তিনি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন এবং তা অব্যাহত থাকবে ৭ বছর (এটার রেফারেন্স হলো আবু দাউদ হা/৪২৮৪-৮৫;মিশকাত হা/৫৪৫৩-৫৪;ছহীহাহ হা/১৫২৯)।এ খেলাফত এখন থেকে কত শতাব্দী পর প্রতিষ্ঠিত হবে,এমন কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট করার সুযোগ নাই।
তাই ভাই ও বোনেরা কলকাতায় মাত্র 'শক্তি' সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট করা বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ বিনিয়োগ করবে।সহসা কেয়ামত আসার সম্ভাবনা খুব কম।
যারা মিশনারি ও অন্যান্য কলেজে পড়েন তারা নবীজীর অপমাণ হয়েছে ভারতে এ দুর্বল কারণ দেখিয়ে আইচিচের পতাকা হাতে হাঁটা বন্ধ করে অটোপাশের খোয়াব ছেড়ে লেখাপড়ায় ফিরে যান।আপনাদের না আছে রূপ,না আছে জ্ঞান,না আছে বাপের টাকা।খয়রাতি টাকায় মার্সেনারি আন্দোলনে গা ভাসিয়ে মোদিকে বেড়ি পরায়ে হাঁটানোর স্বপ্ন ভাঁজ করে রেখে আপাতত অখন্ড বাংলাদেশে নাজির শাইল চালের ভাত খাইয়া বাঁইচা থাকেন।
বদর-উহুদ কিছুই আসবে না; লেখা থাকবে এক বছরে ইসরায়েলের হাতে ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি মারা যাবার ইতিহাস,থাকবে ইসরায়েলের কলোনি আমেরিকার বাইডেনের তত্ত্বাবধানে গাজাতে মারা যাওয়া মানুষের কথা আর সেই বাইডেনের কোলে কাঁখে সুদি ভায়ের লাফ দিয়ে উঠার সাতকাহন।