২৪ শের মুক্তিযুদ্ধে অনেক গুলো ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ যেহেতু মানুষ মারা যাবেই।মরেছেও, ভয়ংকর ভাবে মারা হয়েছে। কিন্তু আমার এমন কোনো যুদ্ধের কথা জানা নেই যেখানে শিশুদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।হয়তো থাকবে কোনো এক ইতিহাসে। ইতিহাস তো, পুনরাবৃত্তি হবেই।
এই যে টোকাই বলি আর পথ শিশুই বলি,
কয়েকদিনের খাবারের টাকার বিনিময়ে এত এত ইমারত, স্থাপনা ভেঙ্গে দিলো। কত ষড়যন্ত্র, ধ্বংসযজ্ঞ বাস্তবায়ন করা হলো কিছু নিষ্পাপ মুখের মুখোশ ব্যবহার করে। হাতুরির মতো ব্যবহার করা হলো প্রাণ থাকা কিছু লৌহাস্ত্র ।
আমারা genZ যারা প্রশংসিত হচ্ছি, তারা ভুলে গেলে হবে, এরাও আমাদেরই একটা অংশ!
কবে যেন একটা পোস্ট দেখেছিলাম,
এক লোক একটা বাচ্চাকে গাম খেতে দেখে বলল,
তুমি গাম খাও কেন।যে টাকা দিয়ে গাম খাও সেই টাকা দিয়ে খাবার কিনে খেতে পারো না?
ছেলেটা জবাব দিলো,
৫০৳ র গাম দিয়া আমার তিনদিন যাইবো।এই ট্যাকায় তিন বেলার খাওন পাওয়া যাইবো?
আপনি আমি যতটুকু ভাবি,জানি তার থেকেও অনেক কঠিন ওদের জীবন। একজন ক্ষুধার্ত মানুষের থেকে হিংস্র ও ভয়ানক অস্ত্র আর কিছুই হতে পারেনা।ক্ষুধাকে পুঁজি করে আপনি সব কিছু করতে পারবেন।
শাহাবাগের মোড়ে কত দাবী ওঠে, কত র্যালি হয়, আন্দোলন হয়।ওরাও তো সংখ্যায় অনেক।ওদের দাবী কে তুলবে?
আচ্ছা ওরা কি জানে যে ওদেরও দাবী আছে, অধীকার আছে।
সরকার আসবে সরকার যাবে ওরা ওদের মতোই থাকবে। দেশ পুনর্গঠন চলছে।অনেক প্রস্তাবনা জারি হচ্ছে,প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষার মানদণ্ড দাড় করাতে আমাদের কত প্রচেষ্টা।
অথচ রানা রা সেই কবে থেকে বলছে,
❝শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জ্বলবে
আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে❞!
আমি অনেক কিছু বুঝিনা। এতটুকু বুঝি কিছু প্রকল্প আছে যেমন সেতু, রেললাইন,এজাতীয়। একবার বাস্তবায়ন আর সারাবছর কিছু রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হলে সেদিকে আর না তাকালেও চলবে।
ময়লার স্তূপে পড়ে থাকা এই genZ, gen Alpha দের জন্য কি এমন কোনো বৃহৎ প্রকল্প নেয়া হবেনা? এদের জন্য সূদুর ইউনেস্কো, চ্যারিটি, আর সেচ্ছাসেবীদের ছাড়া সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
ওরা যে আমাদের কত বড় দূর্বলতা আবার কতবড় শক্তি এই চব্বিশে সেটাও তো দেখলাম। এ শক্তিকেও তো বাড়াতে হবে। ওদের শক্ত হাত গুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
আপনি অবৈধ অস্ত্র গুলো নষ্ট করে দিতে পারবেন।দূর্নীতিবাজ অসাধু স্বৈরাচারের দোসরদের শাস্তি দিতে পারবেন। কিন্তু এই যে হাতিয়ার গুলো যেগুলো অন্যায় কাজে ব্যবহার করল কেউ।এগুলোকে কিভাবে নষ্ট করবেন।ওদের শাস্তিই বা কি!
ওদের কেউ নেই বলে ওরা এভাবেই ইউজড হতে থাকবে!
কখনো স্বৈরাচার কখনো একনায়ক এভাবেই ওদের ব্যবহার করে যাবে! এর দায় কি আমাদেরও না?!
শুধু কথা বলার স্বাধীনতাই কি চেয়েছিলাম, নাকি ন্যায্য অধিকার "সকলের" কাছে পৌঁছে দেয়ার মতো স্বাধীনতা ও চেয়েছিলাম।
আমার সোনার দেশে, স্বাধীন দেশে সুন্দর জামা জুতো পরে যখন বের হবো,
কেউ ময়লা হাতে পিছন থেকে সে জামা টেনে ধরে না বলুক,
আফা কয়ডা টাহা দ্যান ভাত খামু।
এমন স্বাধীনতাও তো চেয়েছিলাম। এটা অর্জনের দিকেও লক্ষ্য দেয়া জরুরি। অতীব জরুরি। ওদের কষ্টের নিশ্বাস ভারী হয়ে আবার এক স্বৈরাচারী দৈত্য তৈরি হওয়ার আগেই কিছু করা দরকার। কঠিন হবে,,, কিন্তু আমরা জানি,দেখছি আন্তরিকতা আর সদিচ্ছার কাছে কোনো কিছুই কঠিন না।।।।