রক্তের স্পন্দন থামিয়ে দেয়া বীভৎসতম অরিন্দম এর চিৎকার
দেয়াল চিরে, অনেক যান্ত্রিক ব্যকরণের মুখোমুখি ব্যপক আস্পর্ধা নিয়ে
শত জন্মের দুঃখকে স্লান করে, ডাইভারজেন্স মিটার এর হৃৎস্পন্দন
যখন বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র কে লজ্জায় বর্ণহীণ রঙে রেঙে
বহু আলোকবর্ষের কথা হাটু গেড়ে ব্যার্থ প্রেমিকের অশ্রুর মত স্নাত হয়,
তখন, অন্তঃগহীনে সেরিবেরামের আফিমের রূপকথার জগৎ রঙ হারিয়ে
ট্রান্সলুসেন্ট রক্তের প্লাবনে চোখের কানির্শ ভেঙে আদিম ভাষায় চিৎকার করে বলে
“রক্তের রং লাল কেন ?”
অতীতের ফাঁদে আটকা পড়া আগামীর প্রায়শ্চিত্ত
অবশ আঙ্গুলে ভর করে, সিজিয়ামের স্পন্দনের দিকে মাদকাসক্তের মত
নিয়তির কাছে পরাস্ত হয়ে, মৃত্যুর কাছে মৃত্যু ভিক্ষার আয়োজন
যখন লক্ষ লক্ষ আত্মার জমকালো আলো মিশিয়ে দিয়ে
বহু মুহূর্তের অনিবার্য নিস্পাপ মাত্রার জন্ম দোষী সাবস্ত্য হয়,
তখন, অন্তঃগহীনে সেরিবেরামের ঘোর কালো বিধ্বস্ত জগৎ রঙ হারিয়ে
ট্রান্সলুসেন্ট রক্তের প্লাবনে চোখের কানির্শ ভেঙে আদিম ভাষায় চিৎকার করে বলে
“রক্তের রং লাল কেন ?”
কুয়াশার আঁচড়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া ঘোর নাস্তিক পোতাধাক্ষ
পর্বত সমান বক্ষ নিয়ে, জাগতিক নিয়মের উর্ধে উঠে একরোখা রাখালের মত
অন্তরীপের চোখ আকাশের বুকে রেখে, রঙ খোজার ব্যার্থ উদযাপন
যখন অজানা অচেনা অনেকের রুদ্ধ কন্ঠের প্রকোষ্ঠ ছিড়ে
নির্বাক হাহাকারের উন্মত্ত ডেমনিক কাল্টে ভোল পালটায়
তখন, অন্তঃগহীনে সেরিবেরামের হতবাক হতভাগা জগৎ রঙ হারিয়ে
ট্রান্সলুসেন্ট রক্তের প্লাবনে চোখের কানির্শ ভেঙে আদিম ভাষায় চিৎকার করে বলে
“খোদা, রক্তের রং লাল কেন ?”
খোদা, রক্তের রঙ লাল কেন?