তোমায় নিয়ে মুনলাই পাড়া যাব কোন একদিন
সাংগু নদীর তীর ঘেঁসে বম গোষ্ঠীর নিরালা সে গ্রাম,
মহুয়ার ছায়া ঘেরা নির্জন পাহাড়ী বাস্তু-
পাহাড়িয়া সে পথের ধারে বাঁশের মাচার ওপর ঘর।
তেমন ঘরেই না হয় থাকব আমরা,
বেড়ার ফাঁক গলে আমাদের ঘরে এসে পড়বে
পূর্ণিমার স্নিগ্ধ রুপোলী আলো।
তুমি গান গাইবে নাকি?
আমি কিন্তু গাইব, চাঁদ ঘুমিয়ে পড়বে আমার গানে,
এরপর আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ব নিস্তব্ধ রাতের কোলে
চারপাশে ঝিঁঝির ডাক ছাড়া আর কোনও শব্দ থাকবেনা-
একটা জোনাকী তখন আমাদের ঘরে এসে আলো বিলিয়ে যাবে,
যদিও আমরা দেখবনা তার আলোর উড়ান।
আমি তোমার সাথে মুনলাই যাব
সেখানে পাহাড়ের নিচে মেঘ, সে মেঘের ওপর দাঁড়িয়ে
তোমার চোখে চোখ রেখে বলব, ভালবাসি।
এক বিশাল রংধনু এ পাহাড় থেকে সে পাহাড়ে
ছড়িয়ে দেবে তার আয়েশী সাতরঙা তনু,
রংধনুর সে বিচিত্র রঙে চোখ রেঙে তোমায় বলব, ভালবাসি।
কুল কুল করে বয়ে চলা সাংগুর বুকে নৌকা ভাসিয়ে দেব
পাহাড়ী নদীর ঢেউয়ে ধুয়ে নেব আমাদের সংসারী ক্লান্তি যত,
নদীর শীতল পরশ গায়ে মেখে আমরা বলে উঠব, ভালবাসি।
মুনলাইপাড়ার আকাশে রাতের আঁধারে ছায়াপথ ভেসে ওঠে,
কত সহস্র কোটি তারা, কত গ্রহ, নক্ষত্র, পুরো গ্যালাক্সি যেন সম্মুখে;
অগুনতি তারার সে মেলায় হারিয়ে গিয়ে,
হাতে হাত রেখে আমরা নাহয় গেয়ে উঠব, ভালবাসি।
হয়তবা এ স্বপ্ন- মায়া - প্রহেলিকা কোনও
অথবা নিছকই এ বিরহী মনের বাঞ্ছনা এক,
তবুও দেখে নিও, আমরা দুজনে একদিন মুনলাই যাব
পাহাড়ী ঝোরার কাছ থেকে আকন্ঠ পান করব জীবন সুধা,
আমরা একদিন দুজনে দুজনকে শুধুই ভালবাসব।