আমরা সফল ব্যক্তিদের জীবনি গল্প পড়তে পছন্দ করি।আমাদের সমাজে বা দেশে অনেক টেলেন্টেড মানুষ আছে যাদের সম্পর্কে আমরা কখনো জানতে চাইনা অথচ তাদের কোন আবিষ্কার বা অর্জন দেখলে হিংসা করি।আমরা ফেজবুকের প্রতিষ্ঠাতা বা টেসলার প্রতিষ্ঠাতাদের জীবনি অনেক শোনেছি।চলুন আজকে একজন বাংলাদেশি স্কুল পড়ুয়া ছেলের কথা জানি, তার গল্প তার সফলতা এবং বর্তমানে তিনি কি কাজ করেন।
পরিচয়ঃ জন্মস্থান- গাজীপুরের ফাউগান গ্রাম,শ্রীপুর থানা, প্রহলাদপুর ইউনিয়ন।জন্মসাল সঠিক জানা নেই ২০০৫-জানুয়ারী।ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে PSC পাশ করে।গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে JSC & SSC পাশ করে।গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজ থেকে HSC এবং MIST তে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ডিপ্লোমা করছেন বর্তমানে।
সজীব ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিলো।সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়ে পড়ে থাকতো।খুবই শান্ত ছিলো।ক্লাসে চুপচাপ থাকতো।কারো সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতো না।মাথা নিচের দিকে করে হাটতো।এমনটাই ছিলো।ক্লাস ৬ এর ঘটনা ক্যান্টমেন্ট বোর্ড স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক কম্পিউটার ক্লাসে খেয়াল করতো তার নিজস্ব বাড়িতে কম্পিউটার না থাকলেও তার কম্পিউটার চালানোর ধরন টাইপিং দেখে মনে হয় সে যেনো কম্পিউটারে পারদর্শী।
স্কুলে শিক্ষকের ক্লাসে শিক্ষকের মোখে শোনা একটি কথা “অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়” এইটা শোনার পর তার কম্পিউটার ইন্টারনেটের প্রতি আরো জানার আগ্রহ বেড়ে যায়।কিন্তু সে সময় তার ছিলোনা কোন এন্ডোয়েড ফোন।
সপ্তম শ্রেনিতে প্রথম সে তার টিফিনের টাকা জমিয়ে একটা স্মার্টফোন কিনে।স্মানফোন কেনার পর থেকেই ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতে থাকে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।সেই থেকে একটা ওয়েবসাইটে কাজ করে ১০ টাকা উপার্জন করে।তখন তার মাথায় আসে যদি এই ওয়েবসাইটের মালিক আমি নিজে হতাম তাহলে আমার আন্ডারে সবাই কাজ করতো।আমি সবাইকে টাকা দিতাম। এসব প্রশ্নের ঘোরপাক মাথায়।
ঠিক ১ মাস পর একজন অ্যাপ ডেবলাপারের সাথে তার পরিচয় তার থেকে অনেক বলার পর ২০০০ টাকায় একটা আর্নিং অ্যাপ বানিয়ে নেয় সে।প্রথম মাসে এটাতে ইউজার হয় ৭০০ জন।এতে তার এক মাসে ৩০০ ডলার+ ইনকাম হয়।পরে সে তার বাবার সহযোগীতায় কম্পিউটার কিনে।
কম্পিউটারে অ্যাপ ডেবলাপের কোর্স করে সে কাজ শিখে এবং ২০১৮ তে তার প্রথম প্রকাশিত অ্যাপ Elaxux প্লে স্টোরে আসে।২ বছরে ২০২০ সালে ব্যবহারকারী ছাড়ায় ৭০ হাজার এটা মূলত একটা ইবুক অ্যাপ ছিলো।২০২৩ সালে ইউজার ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি।২০২৪ এ কোন এক কারনে অ্যাপটা প্লে স্টোর থেকে রিমোভ হয়ে গেছে।জানা গেছে কনসোল আর অ্যাপে ভায়োলেশনের কারনে রিমোভ করে দিছে।পরে আর অ্যাপটা প্লে স্টোরে পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে সে Weekmotion ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম তৈরি করে।ইউটিউব জনপ্রিয় প্লাটফর্ম থাকায় এটাতে ব্যবহারকারি কম ছিলো।এর জন্য ভিডিও দেখে ইনকাম সিস্টেম + মেসেজিং সিস্টেম যুক্ত করা হয় এতে এক মাসে ইউজার ছাড়ায় 100K + শুরুতে বিনোদনের জন্য বানানো হলেও এখন এখানে ভিডিও মনিটাইজেশন করেও ইনকাম করা যায়।
সজীব তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে।এবং পূর্ববাংলা সাপ্তাহিক পএিকাতেও কাজ করে।জানা যায় rumble.com সাইটার ডিজাইনার সে rumble বিশ্বের ৩য় বৃহওর ভিডিও শেয়ারিং সাইট।
আজকের মতো এই পর্যন্তই পোস্টটা ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন।