পোস্টস

চিন্তা

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্তরায়

১৬ অক্টোবর ২০২৪

MD Abu Hanif Piyas

শিরোনাম:কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতি -অন্তরায় মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার???  "যেখানে রাজনীতি বা অর্থনীতি,সেখানে নৈতিকতা নেই″,কার্ল উইলহেম ফ্রেডরিক শ্লেগেল। এই কথা টা শ্লেগেল বাংলাদেশের জন্যই বলেছিলেন বুঝি। আমাদের দেশের অর্থনীতি তে নৈতিকতা বলতে কিচ্ছু নাই। কৃষকেরা ঠকছে,ঠকছে সাধারণ মানুষেরা। বড় বড় কোম্পানি ও আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সবকিছু। কোন সরকারই যেন অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করে এদের কাছে যেতে পারছে না।  আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাধারণ মানুষের একটা বড় অভিযোগ ছিল কাঁচামাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষেরা বড় রকমের বিপদে পড়ে গিয়েছিল। আমরা ইতিহাস থেকে জানি,নিম্নশ্রেণী ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বিপ্লবের সূচনা হয়। প্রতিটা বিপ্লবের সফলতার দাবিদার হলো এই দুই শ্রেণী। তবে হাস্যরসের বিষয় হলো আন্দোলন সফল হওয়ার আগেও এদের যে অবস্থা থাকে,পরেও এদের অবস্থার পরিবর্তন হয় না।২০২৪ এর স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর মানুষের বড় আশা গুলোর একটা হলো দ্রব্যমূল্য ও কাঁচামালের লাগাম টেনে ধরে সাধারণ মানুষের আয়ত্তে নিয়ে আসা।  বর্তমান বাজারের অবস্থা অস্থিতিশীল। বিশেষ করে কাঁচামালের মূল্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এক দোকানদার জানাল বাজারে এখন মরিচ কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে,বরবটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০-৭০ টাকা। অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা করে।  একজন দিনমজুরি যিনি দৈনিক ৪/৫শ টাকা মজুরি কাটেন,তার পক্ষে এই দামে চলা বেশ কষ্টকর। বিভিন্ন গার্মেন্টস ও কলকারখানায় কাজ করা শ্রমিক যারা মাসিক ১৫/১৬ হাজার টাকা আয় করেন,তাদের পক্ষে চলা অসম্ভব ত বটেই বরং প্রতিমাসে তারা ঋণ করে চলছে। বাসা বাড়া ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে এই দামে দ্রব্যমূল্য ও কাঁচামাল কিনে চলা যেন বামন হয়ে চাঁদে হাত দেওয়া।  দ্রব্যমূল্য ও কাঁচামাল বিক্রি করা কৃষকরা লাভবান হচ্ছে না। মূলত মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার,যারা সবজি ও কাঁচামাল কিনে হিমায়িত করে জমা রাখে, তারাই দামটা বাড়িয়ে রাখে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রাখে।  আগেও মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদারেরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা পুরোটাই ভুগ করত,এখনও তারাই করছে। মাঝখান থেকে কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা ঠকছে। এই মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণীর হাত থেকে কবে মুক্তি পাবে দেশের আপামর জনতা??  আবু হানিফ পিয়াস সাধারণ শিক্ষার্থী,ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় কুষ্টিয়া