১৫ বছরে শেখ হাসিনা রেজিম গণমাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেগেছিল প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে। সংসদে দাঁড়িয়ে সদর্পে এই দুইটি পত্রিকা ও এর সম্পাদকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে কোনো ইস্যুতে তৎকালীন প্রাইম মিনিস্টার সংবাদ সম্মেলনে এলেও সাংবাদিক নামধারী স্তাবকদের উস্কানিতে ইনিয়ে বিনিয়ে ওই প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে লাগতেন। জুলাই বিপ্লবের সময় চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রভাষ আমিনদের কথায় চেতে গিয়ে সবাইকে ঢালাওভাবে রাজাকারের সন্তান বলে তিরস্কার করেছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে বিষোদগার করেন পিএম।
অথচ যেসব সংবাদ মাধ্যমকে আওয়ামী লীগ নিজেদের পোষ্যপুত্র বলে মনে করত তারা সবাই ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগকে পিঠ দেখিয়ে দিয়েছে।
ব্যাপারটা এমন হয়েছিল যে, পোষ্য সাংবাদিকরা যা বলত, শেখ হাসিনা অন্ধের মতো তা সাপোর্ট করতেন। দুনিয়ার সব ফেভার তাদের জন্য রাখতেন। এই সুযোগে চাটার গোষ্ঠী কোনোদিনই সরকারের বিরুদ্ধে এক অক্ষর সমালোচনা করেনি। শত্রু ছিল কেবল দুইটা। স্টার এবং প্রথম আলো।
কোথায় হারিয়ে গেছে স্তাবকেরা? তারা তাদের নতুন মক্কা খুঁজে নিয়েছে। যেখান থেকে আবার আরেক ধান্ধায় মনোনিবেশ করা যাবে।
অপরদিকে লাস্ট রেজিমের শত্রুপক্ষ দ্য ডেইলি স্টারকেই এখন ইতিহাসের সত্য স্টেবল রাখতে কলম ধরতে হয়। দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম তাঁর দ্য থার্ড ভিউতে 'Hasina’s misrule should not affect our judgement of Bangabandhu' শীর্ষক কলামে লিখেছেন, The history of Liberation War must be honoured.
হায় আওয়ামী লীগ! তোমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সওদা করে গেছো, সেখানকার বেপারীরা সব ভেগে গেছে। তারা এখন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতার বাজার বসাবে। এইসময় ওটাই লাভ বলে বিবেচিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল মিত্র মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামরা যার যার জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিবিষ্ট থাকতে
কোনো মানুষেরই আওয়ামী লীগ করা লাগে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ? সেটা আরো না!
-ফারদিন ফেরদৌস
১৯ অক্টোবর ২০২৪