বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আগামী বছর প্রকাশিত একটি স্মৃতিকথায় তার জীবনের গল্প বলবেন। এটি একজন ক্ষমতাসীন পোপের লেখা প্রথম স্মৃতিকথা হবে। এর আগে পোপের দায়িত্ব পালন করার সময়ে কেউই স্মৃতিকথা প্রকাশ করেননি।
'হোপ' নামের নন ফিকশন এই বইটি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বের হবে। পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস (পিআরএইচ) জানিয়েছে, বইটির সহ লেখক হিসেবে থাকছেন ইতালির কার্লো মুসো। পোপ নিজে তাকে বেছে নিয়েছেন। বইটি একসঙ্গে ৮০টি দেশে প্রকাশিত হবে।
পোপ ফ্রান্সিস এবং মুসো গত ৬ বছর ধরে বইটি নিয়ে কাজ করছেন। এটি পোপের মৃত্যুর পর প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৫ সাল রোমান ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি বা জয়ন্তীর বছর হিসেবে পালিত হবে। প্রতি ২৫ বছরে এটি উদযাপন করা হয়। এ সময় ক্যাথলিকদের পাপের ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় উদযাপনের বছরেই স্মৃতিকথাটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফ্রান্সিসের জীবনের গল্প বলবে হোপ। তার ইতালীয় শিকড় এবং তার পূর্বপুরুষদের দেশত্যাগ করে লাতিন আমেরিকায় যাওয়ার কাহিনী থেকে শুরু করে তার শৈশব, কৈশোর, পেশা ও বর্তমান জীবন পর্যন্ত সবকিছুই এই বইয়ে তুলে ধরা হবে। মূলত এই স্মৃতিকথার মাধ্যমে ৮৭ বছর বয়সী পোপের জীবনের অনেক অজানা কাহিনীই জানতে পারবে পাঠক।
এদিকে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, আমার জীবন নিয়ে লেখা বইটি একটি প্রত্যাশার যাত্রার গল্প। এই যাত্রায় আমার সঙ্গে রয়েছে আমার পরিবার, আমার সঙ্গী সাথী এবং ঈশ্বরের সমস্ত লোক। এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায়, প্রতিটি অনুচ্ছেদে তাদের কথা লেখা হয়েছে, যারা আমার জীবনের সঙ্গে ভ্রমণ করেছেন। একটি আত্মজীবনীতে আমাদের নিজস্ব গল্পের পাশাপাশি যারা আমাদের সঙ্গে থাকেন তাদের কাহিনীও বলা হয়।
বইটিতে আগে প্রকাশ করা হয়নি এমন অনেক দুর্লভ ছবিও থাকবে বলে জানিয়েছেন সহ লেখক কার্লো মুসো। হোপ ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান