যে সরকারটি জনরোষ সামলাতে না পেরে ভিনদেশ ভারতে থিতু হয়েছে, ঠিক সেই সরকারের গড়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতিকে গণ-আন্দোলনে প্রাণ পাওয়া সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি থাকবার নৈতিক কোনো বল আসলে নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার জানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই। তারা দেখাতেও পারবে না। তারপরও রাষ্ট্রপতি বলাতে দোষ কী হয়েছে? একটা বড় দোষ হয়েছে রাষ্ট্রপতি একমুখে তিন কথা বলেছেন।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কেন চুপ করে থাকতে চাইলেন না, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমদিনের বক্তব্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্পষ্ট বাণী দিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনাকে চুপ থাকতে হবে, বিদেশে বসে তিনি তাঁর দলের লোকজনকে উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল রাখবেন -এটা বরদাশত করা হবে না। এই কথাটি রাষ্ট্রপতির প্রতিও সমানভাবে প্রযোজ্য।
সাহাবুদ্দিন যদিও প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতো দল নিরপেক্ষ হয়ে উঠবার কোনো নমুনা দেখাতে পারেননি, তবে একটা কাজ করেছেন সংবিধান মেনে অন্তর্বর্তী সরকারকে শপথ পড়িয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদ তাঁর স্বাক্ষরে গড়ে উঠেছে। এরপরও তাঁকে একমুখে তিন কথা কেন বলতে হলো?
এটা হতে পারে যে, রাষ্ট্রপতি ৫ আগস্টের ভাষণে আরোপিত তথ্য উপস্থাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। সেটি তিনি সরাসরি বলতে না পেরে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে পূর্ব সম্পর্কের জেরে আবেগপ্রসূত হয়ে আসল সত্য ঝেড়ে দিয়েছেন। এটা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর পুনরায় সরকারের নির্দেশেই বিবৃতিতে বলতে বাধ্য হয়েছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করা ঠিক হবে না।
আসলে কোনো করণীয়ই এখন আর রাষ্ট্রপতির নিজের হাতে নেই। রাষ্ট্রপতি যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন সেটা তাঁর নিজের অসম্মান হলেও ইন্টেরিম গভমেন্টেওয়ালাদের জন্য ভালো। অপরদিকে রাষ্ট্রপতি যদি নিজে থেকে বঙ্গভবন ছাড়তে না চান, এই সরকার তাঁকে বিদায় করবেই। এবং সে ক্ষেত্রও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গভবন ঘেরাও হয়েছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আলটিমেটাম এসেছে। আরো আসবে। এখন আর এই রাষ্ট্রপতিকে রেখে দেয়ার দায় কারো মধ্যেই থাকবে না।
প্রথম আলো লিখেছে, "শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কারও কারও সন্দেহ, হঠাৎ রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’
আইন উপদেষ্টার পর রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন যুব, ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখার কথাও বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
আসলে সরকারের উপদেষ্টাদের মত হচ্ছে—আসিফ নজরুলের বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপতির নিজে থেকেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেটা না হলে উপদেষ্টা পরিষদের আগামীকালের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তখন সব দিক বিবেচনা করে সরকারের করণীয় ঠিক করা হবে।"
রাষ্ট্রপতি কেন চুপ থাকলেন না। সাধারণত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলাপ দিতে পারেন না। সংসদীয় সরকার পদ্ধতির ওটাই নাকি নিয়ম! কনভোকেশনে রঙ তামাশাপূর্ণ ভাষণ দেয়া, জানাজায় অংশগ্রহণ আর সরকারের কথামতো ফাইল স্বাক্ষর করার বাইরে ওই পদটির কোনো কাজ নেই। সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতাহীন একটা পোস্ট পুতুলবৎ ছাড়া আর কিছুই না।
তারপরও সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কেন এই মুহুর্তে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেন? ধারণা করা যায় আসলে তিনি বঙ্গভবনের মায়া কাটাতে চান। তবে তিনি চান অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে অপসারণ করুক। তাতে তার দুইটা লাভ। আওয়ামী লীগের কাছে তিনি তাঁর অবস্থান ধরে রাখতে পারলেন। দ্বিতীয়ত তিনি ব্যর্থ হয়েছেন এই তকমাটি নিজের তরফ থেকে নিজের ওপর আরোপ করার বদনাম থেকেও বেঁচে থাকলেন। আমরা মনে করি ব্যক্তিত্ব থাকলে এই সরকারের প্রথম সপ্তাহেই তিনি পদভার থেকে মুক্ত হতে পারতেন। তিনি যে সরকারের লোক না, তবু কেন পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। সবাই কেন রাষ্ট্রপতিকে মহামান্য না বলে চুপ্পু সম্বোধন করবে? এই নজির ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। আমরা সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠানকেই আর যথোপযুক্ত সম্মানের জায়গায় রাখতে পারছি না।
কী হবে রাষ্ট্রপতি যদি অপসারিত হন? প্রথমত এখন আর কোনো কিছুই সংবিধান মেনে হচ্ছে না। চলমান সংবিধানকে ব্যান্ড অথবা কাস্টমাইজড করবার আলাপ উঠেছে জোরেশোরে। এবং ইতোমধ্যে মার্কিন প্রফেসর আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশনও গঠন করা হয়েছে। তারা নাকি কাজও শুরু করেছে।
হতে পারে গায়ে যদি জোর থাকে, চেনা-অচেনা প্রভুদের সবুজ সঙ্কেত পান, তবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি পদে তার চেয়ে অন্য উপযুক্ত ব্যক্তি তো এই মুহুর্তে আর দেখি না। অপরদিকে সেনাবাহিনী যদি দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসে সেটিরও প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তিপ্পান্ন বছরের বাংলাদেশে নয় কেবল সারাবিশ্বেই এমন ঘটনা খুব হাতেগোনা। এমন বাস্তবতায় দেশের বাইরে ছিটকে পড়া শাসকের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্রের থাকা না থাকায় আলাদা কোনো মহিমা বহন করে না। শেখ হাসিনার পরিবর্তে নতুন একটি সরকার এসেছে এটিই বাস্তবতা। আওয়ামী লীগ অনুসারীদের এটা মানতে না পারা পরাবাস্তব কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি'—এই দাবি প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দুটি ক্ষেত্র ছাড়া বাকি সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির আলাপ-আলোচনা গোপনীয়তার মধ্যে হয়। কাজেই তারা গোপনীয়তা রক্ষা করে কী আলোচনা করেছেন, তা তারাই জানেন। তাদের মধ্যে একজন যখন বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তখন সেটাই গ্রহণযোগ্য ও চূড়ান্ত।'
কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রপতি একমুখে তিনকথা বলে সব ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছেন। এটার সমাধান ওই একটাই এক কথায় স্থির থাকতে না পারা পদটির প্রতি ক্ষমতাসীনরা অনাস্থা দেবেন। এবং এটাই ঘটবে।
আজকের এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায় অন্তর্বর্তী সরকারের। তাদেরকে যে পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতা অর্পণ করেছিল, সেই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতিকে মান্যতা না দিলেই এত কথার অবতারণা হয় না। উপরন্তু শেখ হাসিনা 'দালিলিকভাবে পদত্যাগ করেননি' এই সত্যটা সরকার স্বীকার করে নিলেও মহাভারত অশুদ্ধ হতো না।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক ভাষ্যকার কবি ফরহাদ মজহার মোক্ষম কথাটিই বলেছেন, "উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া লিখেছেন, "রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় খুনি হাসিনা"।
আসিফ, এটা সত্য নয়। মৌখিকভাবে পদত্যাগের কথা কখনোই বলা হয় নি। সবসময়ই প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র দেবার কথা বলা হয়েছে। যে জন্য আমি আমার একটি ভিডিওতে পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছি। আপনারা তখন দেখাতে পারেন নি। এখন কেন মৌখিক পদত্যাগ পত্রের ভুয়া গল্প প্রচার করছেন?
শুরু থেকেই আমরা বলেছি যে চুপ্পুর কাছে শপথ নেওয়া ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কিন্তু আপনারা সেটাই করেছেন। আপনারা সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার বানিয়েছেন। সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকারতো এখনও অবৈধ। এর বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য কি করছেন? বাস্তব সত্য স্বীকার করুন। এটা কি ঠিক করেছেন?
আপনারা আমাদের কারো কথা শোনেন নি। এমনকি কথা বলাও প্রয়োজন বোধ করেন নি। আপনাদের অনেকে দাবি করেছেন, ট্রেন মিস হয়ে গিয়েছে, এখন আর কিছু করা যাবে না। এটাও ঠিক নয়। অবশ্যই সমাধান আছে। এখন সমাধানের কথা আলোচনা না করে খামাখা পদত্যাগপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আপনাদের এখন ব্যাখ্যা করতে হবে কোন যুক্তিতে আপনারা গণঅভ্যুত্থানকে ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে ঢুকিয়েছেন এবং সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। এখন যে ভয়াবহ রাজনৈতিক এবং আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেই অবস্থা থেকে নিষ্ক্রান্ত হবেন কিভাবে?"
মিস্টার ফরহাদ মজহার আরো বলেছেন," জুলাই অভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতা-সৈনিকদের অভ্যুত্থান। কিন্তু আপনারা সাধারণ সৈনিকদের অবদান অস্বীকার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিযুক্ত সেনা প্রধানদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সাধারণ সৈনিকদের দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি আনুগত্যকে গণশক্তিতে রূপান্তরিত করবার পরিবর্তে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জেনারেলদের সঙ্গে আঁতাত করা কি আপনাদের ঠিক হয়েছে? আত্মসমালোচনা করতে শিখুন। আমরা বারবার সমালোচনা করেছি। তথাকথিত 'সাংবিধানিক শূন্যতা' এবং 'সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা'-র নামে যেভাবে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা আপনারা টিকিয়ে রেখেছেন তা আবার বিষধর সাপ হয়ে বাংলাদেশকে ছোবল মারতে উদ্যত। গণভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের অভিপ্রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়নে আপনারা যে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন দয়া করে তা উপলব্ধি করুন। সমাধানের পথ খুঁজুন। আসুন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার সঠিক রণনীতি ও রণকৌশল আমরা আগে নির্ণয় করি।
মনে রাখবেন, জনগণই আমাদের শক্তির উৎস, জেনারেলরা নয়। জনগণের শক্তির মানে হচ্ছে ছাত্র-জনতা ও সৈনিকের মৈত্রী। এই মৈত্রীকে জোরদার করুন। জনগণের জয় হোক।"
রাষ্ট্রপতি যাবেন। আরেকজন নতুন রাষ্ট্রপতিও আসবেন। দেশে যে সাংবিধানিক সংকট ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে -সেই আলাপ সহসা দূর হবে না। যেভাবে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, আমরা চাই বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্ত করুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নড়বড়ে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী গার্মেন্টস ওরিয়েন্টেড মহাসড়কগুলো শ্রমিক অসন্তোষে দিনের পর দিন বন্ধ থাকছে। ভয়ানক দুর্বিপাকে পোহাচ্ছে এই রুট ব্যবহারকারীরা। পোশাক কারখানাগুলোর স্থিতিশীলতাও বিঘ্নিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। ক্রেতারা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
খরচ কুলাতে না পেরে সাধারণ মানুষ ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সন্তানদের পাতে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস তুলে দিতে পারছে না। সবজির দামও আকাশছোঁয়া। শিশুরা পুষ্টিমঞ্চিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি, সংবিধান, অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নিয়ে এখন আর সাধারণ মানুষের আলাদা ভাবনা নেই। গ্রামীণ প্রান্তিক মজুর চায় তার পাতে দুমুঠো পান্তাভাত, দুটো কাঁচা মরিচ, একটি পেঁয়াজ ও এক চিমটি লবণের নিশ্চয়তা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা নতুন রাষ্ট্রপতির বহালে যাপিত জীবনে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া সাধারণ মানুষের কিছুই আসবে যাবে না। সরকারে যারা আছেন তাদের শানশৌকতের অভাব থাকে না। অন্ত্যজ মানুষের ভাষা বুঝবার সক্ষমতা যেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা অর্জন করেন। তাদের মায়াভরা চোখের দিকে তাকিয়ে ভালোবাসার কথা বলবার নৈতিক সাহস যেন তাদের থাকে। নইলে সবই মিছে। সবই বৃথা। রাজনীতির লীলাখেলা তথা সংবিধান রক্ষার আলাপের চেয়ে ঢের বেশি জরুরি খাদ্য ও জননিরাপত্তা। আমরা যেন আসল পথ থেকে চ্যুত না হয়ে পড়ি।
লেখক: সাংবাদিক
২৩ অক্টোবর ২০২৪