মুখের ভাব সদা কেমন যেন বিস্তৃত। সমুদ্রের মতো, তার থেকেও তলহীন চিন্তায় নিমগ্ন যেন। মাঝে মাঝে ওর চুলের কিছু অংশ মুখের আশেপাশে ইতস্তত দেখা যায়। তখন বাতাসে চুলের থেকে আগন্তুকের বুক কাপে বেশি। বাঁকাভাবে যখন তাকে ক্ষেপণাস্ত্রের থেকেও বেশি বেগে আঘাত হানে পাঁজরে। চোখের উপরে দুইপাশে দুইটি ভ্রূ শিশুর আনমনে বলপয়েন্ট কলমে ঘষে যাওয়া কালো পাখির মতন মনে হয়। দুই ঘন ভ্রূ যুগলের মাঝে ছোট মাছের ডিমের মতো তিল। প্রথমবার দেখলে কপালে আনমনে দেওয়া টিপ মনে হয়।
চোখের পাতার অগ্রভাগে টানাটানা বাঁকানো পাঁপড়ি, নৌকার পালে উথালপাথাল বাতাসের তাড়নায় বেঁকে থাকার মতন বেঁকে আছে। কথা বলার সময় ঠোঁট স্বতন্ত্র আপনা আপনি প্রত্যেকটি কথার সাথে নিজে নিজেই নতুন ভঙ্গিমায় সজ্জিত হচ্ছে। একাধারে উড়তে উড়তে স্থির থাকা হামিংবার্ডের মতো নাক। হাসলে চিকবোন(কপোলের চোখের নিচের উঁচু হাড়) উঁচু হয়ে সোমপুর বিহার যেন। সব মিলিয়ে একেবারে মহাবিশ্ব যেন।