প্রিয় ক্যাথরিন,
আজকাল তোমার সাথে দেখা হচ্ছে খুব
তোমার পাশে থাকার দিনগুলোর চাইতেও বেশি।
এইতো তুমি,
আমার অসহায় দেহের পাশে শুয়ে আছো_
অমন করে ইশারায় ডেকোনা রোজ
তোমায় আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে।
পাশ ফিরে পৃথিবীর সফেদ আভায় তোমার আঙুল ছুঁয়ে
তোমার ঠোঁটের কোমল উষ্ণ পরশ পেতে,
লাজুক হাসিতে আমার বুকে তোমার কুঁকড়ে যাওয়া দেহের ঢলে পড়া;
অনন্ত মুগ্ধতার চোখে তোমায় দেখার দিনগুলো
আবারও ফিরে পেতে ইচ্ছে করে।
ক্যাথরিন! আমি কি তোমায় দেখতে পাচ্ছি?
পাচ্ছি বটে।
সকল যুদ্ধ ছেড়ে ছুড়ে বিদ্রোহের নগর থেকে দূরে
যে ভেজা ঘাসের গালিচায় আমার দেহ পড়ে আছে,
তুমিও কি সেইখানে?
আমি কি শুনতে পাচ্ছি তোমায়?
হ্যাঁ, তোমার হাসির মতই,
একটা মিষ্টি স্বর পুনঃপুনঃ ডেকে বলছে "ভালোবাসি প্রিয়"।
আমি ছুঁতে পারছিনা তোমায়;
তবে কি তুমি কেবল কল্পনায়_?
সবুজ ঘাসের পরে আমার বিবশ যে দেহ,
রক্ত ঝরছে না তার ঠিক তবু আহত
তোমায় ছুঁতে পারছেনা আর।
অশ্রু ঝরছে_
সাত ফোঁটা রক্তের এক ফোঁটা অশ্রু,
খুব মনে পড়ছে প্রিয়।
নোটঃ বিখ্যাত আমেরিকান লেখক আর্নেস্ট হ্যামিংওয়ের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি উপন্যাস “অ্যা ফেয়ারওয়েল টু আর্মস"।উপন্যাসের নায়ক ক্যাথরিনের প্রেমে বিভৎস যুদ্ধ ছেড়ে পালানোর ছোট্ট প্লট থেকে আমার কবিতাটি অনুপ্রাণিত।