ট্রাফিক পুলিশ: শহরের প্রহরী
শহরের পথে, হুইসেলের সুরে,
ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়ায় নির্ভীক ভঙ্গিমায়, দেখে সুদূরে।
দুই হাতে সে থামায় যান্ত্রিক জনতা,
রাস্তার চারপাশে, কত পরিশ্রম, আনতে সমতা।
রোদ-ঝড় বৃষ্টি, দিন যায় রাত আসে,
শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চিত্রই ভাসে।
দিনে রাতে নগরের রাস্তায় দিতে চাই মোদের আরাম
কিন্তু তাঁদের চোখে নাই কোনো বিরাম।
ধোঁয়ার কুয়াশা, যানজটের খেলা,
সকাল গিয়ে বিকাল হচ্ছে যে বেলা।
পথিকের চোখে ভাসে নীড়ে ফেরার মেলা!
রাস্তার চার কোনোই ভাসে কেবল ট্রাফিক পুলিশের ভেলা।
পথে পথে শৃঙ্খলা আনার লড়াই।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় নেতাদের রাস্তায় কত বড়াই,
তাঁদের ইশারায় নাচে ঢাকার রাস্তা,
আমাদের কাছে কেন তবে তাঁরা আজও সস্তা?
চলছে গাড়ি, চলছে রিকশা, চলছে হরেক বাস,
ইউ নো, হাউ ন্যাচার ব্যায়ার আওয়ার মাছ!
মানছে কি সব পথিক নিয়ম?
যে দেশে অনিয়মই সবচেয়ে বড় নিয়ম!
কখনও ধমক, কখনও সাবধান বাণী,
এই শহরে আমরা কয়জনই বা সড়ক নিয়ম মানী?
সড়ক নিরাপত্তার দূত তারা,
আমাদের নিরাপত্তায় সর্বদায় তাঁদের পাহারা।
যাদের প্রচেষ্টা শহরকে দেয় প্রাণ,
আমরা কি পারি তাঁদের দিতে প্রতিদান?
গাড়ি যায়, পথিক যায় আবার ফিরে আসে,
এই নগরে কতজন তাঁদের ভালোবাসে?
কিন্তু কখনও কি থামে মানুষের অভিযোগ?
তাঁদের অবদানে বাঁচে, প্রতিদিন, কত প্রাণের বিয়োগ।
জীবনের ব্যস্ততায়, সময়ের দোহাই,
আমরা কি বাস করি নগরে? চিন্তা তো এখনো গুহায়।
তাদেরও আছে চাহিদা, আছে ক্লান্তি,
এই নগরে আমি কি কখনো আশা করতে পারি না শান্তি?
তারপরও তারা রয়ে যায় নিরবচ্ছিন্ন,
আমরা দিন শেষে শহরের প্রান্তে প্রান্তে হয় বিচ্ছিন্ন।
ছিন্ন বিন্ন এই মস্তকে নাই কোনো সুচিন্তা।
অযথা মাথা ভর্তি, অকাজে দুশ্চিন্তা।
আমাদের দেশে আসুক নিরাপত্তার অশ্বারোহী।
ট্রাফিকের যোদ্ধা, এ শহরের অতন্দ্র প্রহরী।