পোস্টস

কবিতা

ভয় করো ক্ষয়

২৬ অক্টোবর ২০২৪

Hajrat Hania

মূল লেখক Hajrat Hania

ভয় করো ক্ষয় 

হযরত হানিয়া

 

মৃত্যুকে এতো ভয় পাও কেনো?

এই পৃথিবীতে যারা এসেছিল, কেউ থেকেছিল যেনো? 

তোমার পরিবর্তনশীল কায়ার ছাড়িতে হবে মায়া

প্রথিবীর উপরে তোমার দেহের পরবে না কো ছায়া!

 

তোমার মনে কি এতোই দয়া? 

যাই কিছু হোক রাখিতে হবে তোমার কায়া ? 

আমিতো এখনআর পাই নাকো কোনো ভয়

আমি জানি এই দেহ, কর্মের আছে নিশ্চিত ক্ষয়

আছে কি আসলেও কোনো দয়াময়?

পাপি সব করো তার নাম লয়।

তাহাঁর নামেতেই আছে অদম জৈবের জয়। 

 

কেন তবে সৃজন এই ধরা?

প্রতিটি প্রাণের আছে নিশ্চিত মরা!

কী লাভ জীবের তৈরী করে এতো জড়া? 

এই পৃথিবী নয়কো খালি সৃষ্টি দিয়ে ভরা। 

 

কেনো নদীতে বরফ তরল করে গাত্র মাখন? 

কেনো প্রাণ তবো হয় গো শীতল, নিজ গাত্র নামাই যখন!

আমি কেনো পবো মৃত্যু ভয়? 

যেখানে কুমির ও আমার জীবনগাহন হয়!

আমি কেনো করবো চিন্তা, করবো সংশয়?

দেখাও আমায় যে করেছে জীবনে কোনো কিছুর সঞ্চয়!

দেখো শীতের সকালে, কুকুরের বালিশে, রাস্তার পালিশে, 

ক্ষুদার্ত পেটের তীক্ষণ জোরে, নেত্র জোড়ে পাপ্রির মালিশে, 

করছে শিশু উষ্ম আলোর, সুন্দর পেট ভরিবার আশা

এই জীবন তোমার নহে, তাহার তরে খাসা। 

 

কেনো তুমি মৃত্যুকে পারো না নিতে টেনে বুকে 

তুমি কি যাবে মরে নিয়ে নিজেকে এক বুক শোকে,

এই পৃথিনীতে কয়জন পারে মরতে মনের সুখে

নিজের কথা কি তুমি মৃত্যুকে পারবে বলতে নিজ মুখে? 

 

আমি কেবলই আমার মুত্যুর আশা করি 

আমি তো নিজের সাথে নিজের মৃত্যু নিয়ে স্বপ্ন গড়ি। 

মানুষ পাবে কিনা জানে না যাহা, তাহার তরে তাহার সকল আহা, 

যাহা জীবনে আসিবে সত্য, তাহার প্রতি কেনো এতো অনিহা? 

 

তুমি কি আসলে চাও থাকতে এখানে চিরকাল? 

তুমি কি দেখোনা কতো সমস্যা, কতো নোংরা নর্দমা এই খাল। 

সমাজের যে বিষয় তোমায় খাপছাড়া দেখায় 

তুমি করতে চাও প্রতিবাদ কথায় কাজে কাজে কিংবা লেখায়? 

তবে কেনো এই এতো সমস্যা থাকতে চাও চিরকাল 

তোমার বুদ্ধি দেখে তোমায় দিতে চাই এখন গাল। 

 

দেখো সহজ একটা কথা, যাহা কিছু জীর্ণ তাহা করো ছিন্ন

তোমার জীবনের জন্য খোজেঁ তাহার বিপরীত কিংবা ভিন্ন। 

কেনো এক ক্লাসেই থাকতে চাও চিরকাল

জীবন যে একটা একটা খেলা, যেন মাছ ধরার জাল। 

 

আমি চাই না থাকিতে এই প্রথিবীতে

আমি খোজতে চাই জীবনের রহস্য আলোর গতিতে

আমি আমার এই জীবনকে করিতে চাই অগ্রাহ্য

আমার কাছে মেূল্যহীন যা তোমার কাছে গাহ্য। 

 

আমি আমার জীবনকে করতে চাই না এই দেখে বন্দি 

আমি বরং আমার দেহ দিয়ে করবো মৃত্যুসহিত সন্ধি। 

আমি মমুলি সব এই প্রথিবীর নিয়ময়ের প্রথাগত ফন্দি। 

আমি আমার এই জীবনের মাঝে ফুটাতে চাই জীবনের সুগন্ধি। 

 

এই প্রথিবীতে মুক্তি মিলে কেবলই যুদ্ধে গেলে

এই জীবনতো যাবে কেটে প্রতিযোগীতার খেলা খেলে। 

আমি কখনো শক্তির পক্ষের নয় যুদ্ধা 

আমি হতে চাই নিরীহ সংগ্রামীর দলের সামান্য বুদ্ধা। 

 

আমি সেথায় গিয়ে চাই যেতে করে

যেখানে যুদ্ধে ঘুমন্ত শিশু মরে থেকে ঘরে

যেখানে শিশু করে হত্যা নিজেকে বাচানোর ডরে

যেখানে মুনুষ কেবল বাচার জন্য লরে। 

 

আমি বলছি না কো আমি বাচতে চাই 

আমি অণ্যের জীবনের মৃত্যুর দায়

আমি কখনো চাই না এই প্রথিবীতে বাচতে 

আমি চাই এই পৃথিবীর জমের সাথে নাচতে। 

 

তুমি কি কখনো দেখেছো, মৃতের মুখের হাসি? 

তারা নিজের জন্য নিজের গলায় পরতে পরতে পারে ফাসি। 

আমি আমার জীবনের কাছে নয়কো কোনো দাসি

আমি জীবনের কূলে বসে বাজাতে চাই তীক্ষণ মৃতের বাঁসি। 

 

আমার চোখে মৃত্যুই জীবনের সফলতা 

মৃত্যুর মুখেই হবে জীবনের সবচেয়ে উৎফল্লতা। 

তোমার সভ্যতা কি ভীতু? 

জীবনে পালটাবে নাকো জীবন- মৃত্যর ঋতু? 

 

আমি চাই এই জীবনকে সমুদ্রের লোনা জলে বেজাবো 

আমি তুষার শুভ্রে জীবনকে উলঙ্গ করে সাজাবো। 

আমি কখনো এই জীবনে ধাত্রীভিন্ন কোনো নারী না জুড়াবো 

জীবন ডুরে বসে মৃত্যুকে মৃক্ত আকাশে উড়াবো। 

 

আমি মরার পর আমার কোনো ছবি থাকবে না ধরায় 

আমার নামে হয়বে না গাইবে না িশিশু ছড়ায় 

আমি গাঙচিল হয়ে আবার জন্মাতে চাই তো সমুদ্র দেখবো বলে

নয়তো নীলতিমি হবে চাইবো ভাসবো নীলজলে। 

 

আমি না হয় পেনগুইন হবো বরফে ঘুরবো বলে, 

না হয় মৃত্যু নিয়ে ঘুরতে যাবো আমাজন জঙ্গলে। 

মরুর বুকে উঠ হইলেও তো মৃত্যু পাবে শোভা 

না হয় একবার দেখবো ঘোরে বাংলার যত ডোবা। 

 

আমি কিন্তু হবো পথিক নায়তো ভ্রমণ পিপাশা

আমি শুধু মরবো সুখে এইতো মোর আশা। 

তুমি না হয় মরবে দুঃখে, চিন্তা যদি ঐসব বুকে, 

বাঁচবেও তুমি মরার দুঃখে।

আমি না হয় ভাববো না কো তোমার মরার গল্প

আমি তো তখন মরার সাথে করবো গল্পসল্প। 

এই জীবনে মরাই আসল, বাচার তরে মায়ের আচল, 

জীবনটাকে মৃত্যুভয়ে না বাচিয়ে সামনে চল। 

 

দুঃখ নিয়ে ভাবতে গেলে, এই জীবনের সময় খেলে, 

এই জীবনে উড়তে হলে, মৃত্যুটাকে ধরবে মেলে। 

মৃত্যুকে ভয় এতো পেলে, অজগরতো খাবে গিলে, 

মানুষ হয়ে বাচতে চাইলে, জীবন নিয়ে নামো ঝিলে। 

দেহটাকে ভাসাও ঢিলে, মাছ নিয়ে যায় যে চিলেে

আকাশেতোই খাইবে গিলে, ছু মেরেতো গেলো নীলে। 

 

জীবনটাতো হলো শেষ, তা তো চিলের বেশ

মৃত্যুটাকে না পেয়ে ভয়, জীবন হোক মৃত্যুময়। 

আমার মৃত্যু আসুক তবে সকল অমানবিকতার বিরুদ্ধে 

আমি মৃত্যুদিয়ে করে নিব সব কিছু শুদ্ধে। 

 

এইটাকে কেনো সবাই দেখোয় এমন

মৃত্যু হোক জীবন যেমন। 

নেপেয়ে ভয়, মৃত্যুকে করো জয়।

যেখানেই দেখবো অন্যায় দেখানেই ধরাবো ক্ষয়।