এই চুড়ান্ত দুঃসময়েও আমার কবিতার কথা মনে পড়ে,
আমি অসুস্থ সত্তার কপালে ছোঁয়াতে চেয়েছি সিক্ত রুমাল
বিশ্বাসের শিশির থেকে তুলে আনতে চেয়েছি বিশুদ্ধ বিচ্ছুরণ।
কিন্তু কার জন্য কুড়াই শেফালি ভোর?
প্রত্যেক পাঁজরের নিচে ঘাপটি মেরে থাকে একজন করে খুনি
প্রতিটি মুখ একেকটি আতঙ্ক, প্রতিটি জিহ্বা বর্শার ফলা
অন্যজন সম্ভাব্য শিকার নতুবা অহেতুক আক্রমণের লক্ষ্য।
নব্য নরখাদকের যুগে আখ থেকে বাকল অপসারণের মতো
ওরা ছিলে নিয়ে খায় মানুষের চামড়ার আচার।
অজস্র বিসর্জনের পালকে সাজানো সভ্যতায়
ঘন্টার কাঁটার মতো ফিরে ফিরে আসে অবাধ্য দুরভিসন্ধি।
বন্ধ হোক এইসব অশিষ্ট বন্দর, সন্ত্রাসের আনাগোনা
বন্ধ হোক বেদনার দোকানঘর, নির্বোধ কারবার
সমস্ত সংক্রমণ তুলে নিয়ে ছেড়ে যাক বর্জ্যবাহী শেষ জাহাজ
আর একটাও দেখতে চাই না গুলির খোলস
বিষের গেলাস পরিপূর্ণ হোক এবার সুপেয় শরবতে।
নীলকন্ঠ, ওদেরকে ভালোবাসতে শেখাও
হে শিন্ন সর্বস্ব পুরুষ, জেনো নিরুত্তাপ নারীর সঙ্গে
সঙ্গমের পূর্বে প্রয়োজন প্রগাঢ় চুম্বন- সম্মতির সিলমোহর
পূর্বপুরুষের যৌবন হাতড়ে দেখতে পারো
তোমাকে জন্মদানের আগে বীভৎস লালসা ছিল কি না
তবে কেন তুমি রক্তাক্ত করো পবিত্র শিশুর নিষ্পাপ যোনি?
বন্ধ হোক এইসব বিকৃত বিকার, নির্লজ্জ বেহায়াপনা
বন্ধ হোক সর্বগ্রাসী বর্বরতা, অবাধ জবরদস্তি
অন্ধ নক্ষত্রের ঘুর্ণন ঝড়ে উড়ে যাক জাগতিক জঞ্জাল
আর একটাও দেখতে চাই না কালিমালিপ্ত আক্ষেপ
দেখা হলে হৃদয় খুলে অপরকে কুশল জিজ্ঞেস করুক
মানুষের বিনয় আদিগন্ত আকাশের উপমায় বিশাল।
৩০.১১.২০