শোন মেয়ে তোমার যেহুতু এই শহরে পরিচিত কেউ নেই আর ফেরারও জায়গা নেই সেহুতু তোমার উচিত আমার সব কথা মেনে চলা। আসার সময়ই দেখেছ আমার বাড়িতে গার্ডের অভাব নেই। এক ইশারাতেই তুমি কেল্লাফতে। আর এত বাড়ি যার সে নিশ্চয়ই ক্ষমতাবান। দেখলে না ওরা কেমন এক ইশারাতেই দমে গেল। ওই যে বারের লোকগুলোর কথা বলছি।
মায়া খেয়াল করল, লোকটি সোফায় হেলান দিয়ে সম্মুখের দেওয়ালে তাকিয়েই বলে যাচ্ছে কথা। একবারও নজর ফিরাচ্ছে না।
আমাকে দেখার জন্য অনেক সময় পাবে মিস বলেই বারিস মুখখানা মায়ার মুখের কাছাকাছি আনে। মায়া হকচকিয়ে পেছনে সরে যায়। চোখগুলো ভয়ে বন্ধ হয়ে যায় আপনা-আপনি। বারিস মায়ার মুখের দিকে ফুঁ দিয়ে স্বাভাবিক হয়ে বসে। তখনই আলাইনা উপস্থিত হয়।
বারিস মায়কে লক্ষ্য করে বলে, ওনার সাথে যাও। আপাতত ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করো। মায়া চোখ মেললে প্রথমে আলাইনার পায়ের দিকে নজর পড়ে। বাড়িতে আসার পর কোন মহিলাকে না দেখতে পেয়ে ভয়ে বরফ হয়ে যাচ্ছিল যেন। মহিলাটিকে দেখতে পেয়ে প্রাণে পানি ফিরে এল কিছুটা। মায়া দ্রুতবেগে উঠে দাঁড়ায়। মহিলাটির সাথে এক প্রকার পালাতে চায়। দু'জনে কয়েক কদম ফেলে সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে বারিস পেছন থেকে আওয়াজ দেয়,