গুরুবাবা লুঙ্গি মাথায় বান্ধিয়া নিজের বীজ কোথায় কোথায় ফালাইয়া তাহা আবার আদিবাসী নারীর গর্ভ হইতে এবরশন করাইয়াছেন খাতায় লিপিবদ্ধ করিতেছিলেন গভীর মনোযোগে।
এককালে তাহার বান্ধবী ফসলের বীজ লইয়া একখানা এনজিও খুলিলে তিনিও তাহাতে যোগ দেন।সকল বয়সী নারী,যাহাদের বেশিরভাগ আদিবাসী তাহাদের মা টা ডাকিয়া যথেচ্ছ ভোগ করিয়া দিনে গুরুবাবা ডাক উপভোগ করিতেন,আর রাতে ভোগবাবা হইয়া যাইতেন।
পরে তো বাধ্য হইয়া বান্ধবীর সাথে কয়েক বছরের লিভ টুগেদার সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণত করিলেন।
হিসাব করিতে করিতে দেখিলেন সবার এবরশন করাইতে পারিলেও একজনের করাইতে পারেন নাই।একখানা পশু সদৃশ পুত্রসন্তান দেখিলেন মাদ্রাসায় বড় হইতেছে।উহাকে তিনি স্নাতক পড়িবার সময় আরও কিছু সঙ্গী সাথী লইয়া ঘরে আনিয়া তুলিলেন।
তাহাদের রাত দিন এক চিমটি আব্দুর রাজ্জাক,দুই চিমটি ছফা,এক চিমটি গ্রামসি,আগাম্বেন,মার্কস,লেনিন,ধর্ম,নারীবাজি যেমন শিখাইলেন,তেমনি অস্ত্র শিক্ষাও দেয়াইলেন দেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে লইয়া।
দেশটা অর্ধশিক্ষিত,নিম্নবুদ্ধির মানুষে গিজগিজ করে বলিয়া নিজে নিজে খুশিতে আইঢাই হইয়া দেশে নৈরাজ্য লাগিলে পশুসদৃশ পুত্রকে প্রধানের সহকারী করিয়া কাফেলায় গুঁজিয়া দিয়া মিটি মিটি হাসিতে থাকেন।এদিকে স্ত্রী আসিয়া শোর করিতে থাকিলে তাহাকেও মৎস্য বিভাগে ঠুসিয়া দেন,বহুকালের অপকর্মের সঙ্গী মিথ্যাবাদী শ্যালকসম ব্যক্তিকেও প্রধানের দলে যুক্ত করিবার পরে তাহার মনে পড়ে তাহার নিজের সরাসরি কোন প্রাপ্তি যোগ ঘটিলো না।
নিজের ভাগ্যের কথা স্মরণ করিয়া মাথার লুঙ্গি হাতে লইয়া নীচের লুঙ্গির ভেতর হাত দিয়া বুঝিলেন বয়সের সাথে শয়তানি শিথিল না হইলেও যে অঙ্গ লইয়া গুরুবাবা থেকে ভোগবাবায় পরিণত হইয়াছিলেন তাহা কোনভাবেই জাগিতেছে না।