হ্যালোইন মূলত একটি পশ্চিমা উৎসব। বিশেষ করে আমেরিকানরা বিপুল উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে। কিন্তু বিশ্বায়নের ফলে এবং হলিউড সিনেমার কল্যাণে বর্তমানে বাংলাদেশেও এই উৎসব নিয়ে অনেকেই মাতামাতি করে থাকেন। হ্যালোইন মানেই হলো ভূত-প্রেতের কারবার। আপনি যদি বইপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে এই উৎসবে পড়ার জন্য কিছু বিখ্যাত ভৌতিক কাহিনী বেছে নিতেই পারেন। আগামী ৩১ অক্টোবর হ্যালোইন। এই উপলক্ষে পড়ার জন্য কিছু বইয়ের নাম দেয়া হলো। হ্যাপি হ্যালোইন, হ্যাপি রিডিং।
১. এন্ডলেস নাইট
আগাথা ক্রিস্টিকে কুইন অব ক্রাইম বলা হয়। কিন্তু এন্ডলেস নাইট উপন্যাসে অপরাধ, সাইকোলজি এবং ভয়কে তিনি অনায়াসেই একত্রিত করতে পেরেছেন। বইটি পড়তে গিয়ে প্রচন্ড ভয়ে তাড়িত হবেন পাঠক।
২. ম্যাকবেথ
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের লেখা বিখ্যাত নাটক ম্যাকবেথ। হ্যালোইনে পড়ার জন্য আদর্শ বই হতে পারে ম্যাকবেথ। এখানে প্রেতাত্মা, ডাইনী সবকিছুরই দেখা পাবেন পাঠক।
৩. বিলাভড
টনি মরিসনের উপন্যাস বিলাভডকে ভূতের উপন্যাসের চেয়ে বেশি কিছু বলা যেতে পারে। ১৯৮৭ সালে লেখা এই উপন্যাসে দাস প্রথার ভয়াবহ দিক তুলে ধরেছেন লেখক। বিলাভড উপন্যাসের ভূতটি চিরাচরিত ভূতের মত নয়। শিশু এই ভূতটি একইসাথে পাঠককে ভয়ও দেখায়, আবার কাঁদায়ও।
৪. দ্য ক্যান্টারভিল ঘোস্ট
অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা ছোট গল্প দ্য ক্যান্টারভিল ঘোস্ট। এটি একটি মজার ভূতের গল্প। ক্যান্টারভিলের ভূত স্যার সাইমন নিঃসন্দেহে একটি হাস্যকর ভূতের চরিত্র। ওটিস পরিবারকে ভয় দেখানোর জন্য তিনি যেসব কান্ড করেন তা পড়ার পর না হেসে থাকতে পারবেন না কেউ। স্যার সাইমন এমন একটি ভূতের চরিত্র যার প্রতি পাঠকের ভয়ের পরিবর্তে সহানুভূতি তৈরি হয়।
৫. ড্রাকুলা
ব্রাম স্টোকারের ভৌতিক উপন্যাস ড্রাকুলার নাম শুনেননি এমন পাঠক বিরলই বলা যেতে পারে। ট্রান্সসিলভানিয়ার ভ্যাম্পায়ার কাউন্ট ড্রাকুলার রোমহর্ষক কাহিনী পড়ার জন্য হ্যালোইনের চেয়ে ভালো সময় আর হতেই পারে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া